ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমন্বয়কের কাজ করা মোহাইমিনুল ইসলাম ওরফে শিহাবের বাড়ির দেয়ালে লাল রং দিয়ে ‘সমন্বয়ক মরার জন্য প্রস্তুত হ’ লিখে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) দিবাগত রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা হুমকি দিয়ে এমন লেখা লিখে যায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার ঈশ্বরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।

মোহাইমিনুল ইসলাম ঈশ্বরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের আবদুল মোতালিবের ছেলে ও নাসিরাবাদ কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের পাশাপাশি ঈশ্বরগঞ্জ এলাকায় সমন্বয়ক হিসেবেও কাজ করছেন তিনি।

এদিকে, এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন মোহাইমিনুল ইসলাম। তিনি লিখেছেন, ‘‘ঠিক আছে আমিও মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। আমাকে দমায় রাখতে পারবেন না। দেশের জন্য ও দেশের মানুষের জন্য জীবন দিতে আমি প্রস্তুত।’’

তিনি আরো লিখেছেন, ‘‘৫ আগস্টের আগে ও পরে ঈশ্বরগঞ্জের কোনো আওয়ামী লীগ নেতার কোনো রকম ক্ষতি আমি করি নাই। আমার বাসার সামনে লিখে গেলেন ‘সমন্বয়ক মরার জন্য প্রস্তুত হ’। আরে ভাই আমি তো অনেক আগে থেকেই প্রস্তুত হয়ে আছি মরার জন্য। মানুষ মানেই মরণশীল। মরতে এক  দিন হবেই, দেশের জন্য না হয় জীবন দিলাম।’’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, ‘‘সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। এ সময় দেয়ালে কোনো লেখা ছিল না। পরের দিন সকাল ৮টার দিকে আমার মা বাড়ির সামনের দেয়ালে লাল রং দিয়ে ‘সমন্বয়ক মরার জন্য প্রস্তুত হ’ লেখাটি দেখে ডাক-চিৎকার শুরু করেন। মায়ের চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে এসে লেখাটি দেখতে পাই। অধিকাংশ সময় মা-বাবা ও বোন বাড়িতে একা থাকে। তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আতঙ্কিত হচ্ছি। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।’’

ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

ওবায়দুর রহমান বলেন বলেন, ‘‘এ বিষয়ে মোহাইমিনুল ইসলাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’’

ঢাকা/মিলন/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সমন বয়ক

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক

গাজীপুরের শ্রীপুরে অধিক বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৬ জুন) সকালে ওই নারী শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

রবিবার (১৫ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ।

ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. লিটন (৩৫) তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন বুথে দায়িত্ব পালন করতেন। 

লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করতেন।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এটিএম বুথে টাকা তোলার সূত্র ধরে এই নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। একপর্যায়ে লিটন ভুক্তভোগীকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার সকালে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন। সকাল ৬টার দিকে বুথে গেলে লিটন তাকে ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং জানান যে, নতুন চাকরির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তার সাক্ষাৎকার নেবেন।

ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ে চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিলে লিটন জানান, চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক আছে। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। এরপর আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে লিটন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।

ঘটনার বিষয়ে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।

ঢাকা/রফিক/টিপু  

সম্পর্কিত নিবন্ধ