নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ০৫নং ওয়ার্ডের দেলপাড়া মৌজার আদর্শ নগর এলাকায় এক নারীর জমি দখল ও তাকে হত্যার চেষ্টাকরার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন হাজেরা আক্তার মুক্তা নামে ভুক্তভোগী ঐ নারী। 

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নিজের ক্রয়কৃত জমিতেবাড়ি নির্মাণ করে ও কিছু জায়গা খালি রেখে বসবাস করে আসছি। তার পাশেই ৩.

৭৫ শতাংশজমি ক্রয় করে আওয়ামী সন্ত্রাসী বিল্লাল হোসেন মিয়াজী। সে চলাচলের জন্য রাস্তার কোনোজায়গা খালি না রেখেই পুরো জমিতে টিনশেড বাড়ি নির্মাণ করে এবং আমার জায়গার উপরদিয়ে রাস্তা তৈরি করতে চায়। তখন আমি স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানের দারস্থ হলেও তারাকোনো সুরাহা করতে না পারায় আমার জায়গা আমাকে বুঝে নিতে বলেন। আমার জায়গায় উন্নয়নমূলককাজ করার সময় বিল্লাল হোসেন মিয়াজী, তার স্ত্রী নাজমা আক্তার বকুলি, নাজমুল হাসান উজ্জ্বলকাজে বাধা দেয় এবং আমাকে ও আমার মেয়েকে ব্যাপক মারধর করে এবং গলাটিপে হত্যার চেষ্টাকরে। এ বিষয়ে থানায় মামলা গ্রহন না করায় কোর্টে মামলা দায়ের করি, যার নং ৪৩৭/১৮। মামলা করার পর আওয়ামীলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী খালেক, হক, আহসান উল্লাহ বাহিনী মামলা তুলে নিতে আমাকে হুমকি দেয়। 

মামলা তুলে না নেয়ায় তারা আবার আমাদের উপর হামলা করে। আমাকে ও আমার মেয়েকে মেরে রক্তাত্ব জখম করে ও আমার মেয়ের ২টি দাত ভেঙ্গে ফেলে এবং ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে এসপি সাহেবের নির্দেশে ফতুল্লাথানায় আরও একটি মামলা দায়ের করি, যার নং ৬৯(৮)২১। পরবর্তীতে, আমার দায়ের করা ৪৩৭/১৮মামলায় বিল্লাল হোসেন মিয়াজী ও উজ্জ্বলের ১ বছর সশ্রম কারাদন্ডের রায় দেয় মহামান্য আদালত। আদালত থেকে জামিন নিয়ে তারা আমার মেয়েকে একা পেয়ে ব্যাপক মারধর করে, আমাকে খুন করারজন্য আমার মাথায় ২টি কোপ দেয় এবং আমার মুখ থেতলে দেয়। আমার মেয়ের মাথায় একটি কোপদেয়, হাত দিয়ে সেই কোপ ঠেকালে তার হাতে আঘাত লাগে। আমরা মা ও মেয়ে মারাত্মক রক্তাত্বজখম হই। আমার মাথায় ১৮টি সেলাই পড়ে। 

দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর বাসায় আসলে তারা আবারআমাদের উপর হামলা করে এবং আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়। এই মিথ্যা মামলায় আমাকে২৫ দিন কারাগারে থাকতে হয়। এই সুযোগে তারা আমার বাড়ির সামনের গেট, দেয়াল, সিসিক্যামেরা ভাংচুর করে এবং ইট ও রড নিয়ে যায়। মামলা তুলে নিতে অপরাধীরা এখনো বিভিন্নসন্ত্রাসী দিয়ে আমাকে হুমকি দিচ্ছে। মামলা করেও সন্ত্রাসী বিল্লাল ও তার সহযোগীদের হাতথেকে রক্ষা পাচ্ছি না। মিথ্যা মামলায় হয়রানী করাসহ গুম-খুন করার ষড়যন্ত্র করছে। পরিবারনিয়ে আমি খুবই কষ্টে এবং আতঙ্কে জীবনযাপন করছি। আমি আমার মেয়েকে নিয়ে শান্তিতে বাঁচতেচাই। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনে অন্তবর্তীকারীণ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা,বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি, প্রধান বিচারপতি, জেলা জজ নারায়ণগঞ্জ, জেলা প্রশাসক ও পুলিশসুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। 

শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।  

গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।

এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে। 

পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএনপি কি জামায়াতকে চাপে রাখার কৌশলে
  • সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কমিটি গঠন
  • ৮নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন
  • আড়াইহাজারে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কমিটি গঠন
  • মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
  • ইসলামী আন্দোলনের বাবুরাইল ইউনিট কমিটি গঠন
  • পরিবার নিয়ে চীন ভ্রমণে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা
  • নারায়ণগঞ্জে ফ্যাসিবাদদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে : আবদুল্লাহ
  • আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার