বন্দরে ইয়াবাসহ ২ মাদককারবারি গ্রেপ্তার
Published: 22nd, January 2025 GMT
বন্দরে ১৩৯ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলো বন্দর উপজেলার আমৈর বটতলা এলাকার মৃত সফুর উদ্দিন মিয়ার ছেলে অপর মাদক ব্যবসায়ী হাসান (৩৪) ও মদনপুর ইউনিয়নের আন্দিরপাড় এলাকার হেলাল উদ্দিন মিয়ার বাড়ি ভাড়াটিয়া মৃত সিরাজুল ইসলাম মিয়ার ছেলে আবু মিয়া (৪০)।
গ্রেপ্তারকৃত ২ মাদক ব্যবসায়ীকে পৃথক মাদক মামলায় বুধবার (২২ জানুয়ারী) দুপুরে এদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারী) বিকেল সাড়ে ৪টায় বন্দর উপজেলার নয়ামাটিস্থ কান্দাপাড়া কবরস্থানের সামনে রাস্তার উপরে ও বুধবার (২২ জানুয়ারী) দিবাহত রাত সোয়া ২টায় একই উপজেলার আন্দিরপাড়স্থ জনৈক হেলাল উদ্দিনের ভাড়াটিয়া বাড়িতে অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
পৃথক স্থান থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারের ঘটনায় বন্দর থানার উপ পরিদর্শক মোঃ শহিদুল ইসলাম ও ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ি উপ পরিদর্শক মোঃ শরিফ হোসেন বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় পৃথক মাদক মামলা রুজু করেন। যার মামলা নং- ২৯(১)২৫ ও ৩০(১)২৫।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিকেলে সাড়ে ৪টায় বন্দর থানার এসআই মো: শহিদুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্দর উপজেলার নয়ামাটিস্থ কান্দাপাড়া কবরস্থানের সামনে রাস্তার উপরে অভিযান চালিয়ে ৮৭ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী হাসান (৩৪)কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
এ ছাড়াও ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ি উপ পরিদর্শক মোঃ শরীফ হোসেনসহ সঙ্গী ফোর্স বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ২টায় বন্দর আন্দিরপাড়স্থ জনৈক হেলাল উদ্দিনের ভাড়াটিয়া বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৫২ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আবু মিয়া (৪০) নামে আরো এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না, মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, 'আমাদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে একটা নেতিবাচক সংবাদ দেখলেই যাচাই-বাছাই না করে শেয়ার করে দেওয়া হয়। অত্যন্ত ভিত্তিহীন সংবাদও আমরা শেয়ার করে দেই।'
সিইসি বলেন, 'দয়া করে সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না। এই মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন। তথ্যটা যেন আগে যাচাই করে তারপরে শেয়ার করেন।'
আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন সিইসি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভুয়া সংবাদের প্রচার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপপ্রয়োগ রোধে করণীয় সম্পর্কে তিনি এসব কথা বলেন।
থানা আনসার কোম্পানি/প্লাটুন সদস্যদের আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণের (৪র্থ ধাপ) সমাপনী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইসি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো সংবাদ দেখা মাত্রই নাগরিকদের যাচাইবাছাই করতে আহ্বান জানান সিইসি। নিশ্চিত হওয়ার আগে শেয়ার না করতে বলেন তিনি।
জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে আনসার ভিডিপির ভূমিকাকে মূল শক্তি বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, 'এনারাই অধিক সংখ্যায় নিয়োজিত থাকেন। এবং আমাদের হিসেব করতে গেলে প্রথম এদেরকেই হিসেব করতে হয় যে, কতজন আনসার ভিডিপি সদস্য আমরা মোতায়েন করতে পারব। মূল কাজটা আঞ্জাম (সম্পাদন) দিতে হয় কিন্তু আনসার এবং ভিডিপির সদস্যদের।'
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। নির্বাচনকালীন জনগণের নিরাপত্তা, ভোট কেন্দ্রের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণে আনসার বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি। নির্বাচনে দেশজুড়ে প্রায় ৬ লাখ আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্বপালন করবেন বলেন মহাপরিচালক।
অনুষ্ঠানে মহড়ায় ঢাকা মহানগর আনসারের চারটি জোনের অধীন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩২০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য অংশ নেন। আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা টহল, দায়িত্ব বণ্টন ও জরুরি প্রতিক্রিয়া অনুশীলনে অংশ নেন।
মহড়ায় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া, ভোটারদের শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ভোট প্রদানে সহায়তা, জাল ভোট প্রতিরোধ, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা এবং সেনা, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে দ্রুত সমন্বয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন জোনের অধিনায়ক এবং প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।