বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা একবার ফ্যাশন সেন্স নিয়ে একটি সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, ‘‘শুধুমাত্র দুই জোড়া জিনস আর কয়েকটা টপস দিয়েই সারা বছর কাটিয়ে দিতে পারি।’’ এই অভিনেত্রী ব্যক্তিজীবনে খুব সাদামাটা থাকতে পছন্দ করেন। সম্প্রতি বিয়ে করেছেন সোনাক্ষী। বিয়েতে নিজেকে মায়ের পুরনো শাড়ি, গয়নায় সাজিয়েছিলেন। বলতে গেলে জীবনকে সহজভাবে গ্রহণ করার উপায় জানেন সোনাক্ষী। রূপচর্চায়ও সহজ নিয়ম মেনে চলেন তিনি। 

সম্প্রতি একটি ভিডিওতে সোনাক্ষী বলেছেন, আমার ত্বক খুব শুষ্ক। ত্বকের যত্নে সপ্তাহে তিন দিন ফেসিয়াল অয়েল দিয়ে মুখ ম্যাসাজ করি।  ফেসিয়াল অয়েল না থাকলে নারকেল তেলও ব্যবহার করা যায়। এতেই ত্বক মসৃণ হয় আর জেল্লা ফিরে আসে।’’

আরো পড়ুন:

ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে যে অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন

সামনেই বিয়ে? ত্বকের যত্নে যা যা করতে পারেন

রূপচর্চাবিদরা বলেন, ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ক্রিম বা লোশন মাখা যায়। কিন্তু যাদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তাদের ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে শুধু ক্রিম মাখলে হবে না। অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বকের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি ফেসিয়াল অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে। হাতের কাছে ফেসিয়াল অয়েল না থাকলে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলও মুখে মাখা যায়। তবে ত্বকে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক ফেসিয়াল অয়েল অথবা অলিভ অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করে নেওয়া ভালো।

ত্বকে ফেসিয়াল অয়েল ম্যাসাজ করার উপকারিতা

এক.

ত্বকে ফেসিয়াল অয়েল ম্যাসাজ করলে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। এতে ত্বকে বলিরেখা বা সূক্ষ্মরেখা পড়ে না। বরং ত্বক অনেক বেশি উজ্জ্বল দেখায়। এমনকি অয়েলি স্কিনেও আপনি ফেসিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

দুই. রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফেসিয়াল অয়েল ব্যবহার করা উচিত। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এরপর তিন-চার ফোঁটা ফেসিয়াল অয়েল নিয়ে ত্বকের উপর লাগিয়ে নিন। আঙুলের মাধ্যমে ত্বকের উপর মালিশ করুন। ভালোভাবে মালিশ করার জন্য জেড রোলার বা ম্যাসাজ টুলও ব্যবহার করতে পারেন।

তিন. রাতে ফেসিয়াল অয়েল মেখে ঘুমালে ত্বক অনেক বেশি তরতাজা দেখাবে। 

উল্লেখ্য, বাজারে বিভিন্ন ধরনের ফেসিয়াল অয়েল পাওয়া যায়। সেগুলো কিনে ব্যবহার করা যেতে পারে আবার কেমিকেল এড়িয়ে যেতে চাইলে অলিভ অয়েল বা নারকেল তেলও মাখতে পারেন।

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম য স জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়। 

গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’ 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।

টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন। 

এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’ 

সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ