নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইব্রাহিম হোসেন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সামনে তার ওপর হামলা হয় বলে ফেসবুক লাইভে এসে নিজেই জানান ইব্রাহিম হোসেন।

ঈশ্বরদী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, “এ ঘটনায় শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টা পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে কারখানায় হামলা-ভাঙচুর, ২ শ্রমিক আহত

ফরিদপুরে হামলায় ৩ ডিবি পুলিশ আহত

আহত ইব্রাহিম হোসেন ঈশ্বরদী পৌর শহরের পূর্বটেংরি এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে। তিনি পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। 

এলাকাবাসী জানায়, গতকাল রাত ১০টার দিকে ইব্রাহিম ও তার এক বন্ধু কলেজের সামনে বসে চা পান করছিলেন। এসময় ৩-৪ জনের একটি দল হাতে লাঠি নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় ইব্রাহিমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। 

আহত সমন্বয়ক ইব্রাহিম হোসেন তার ফেসবুক আইডিতে একটি লাইভ ভিডিওতে হামলার ব্যাপারে জানান, পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাকিল হোসেনসহ আরো কয়েকজন লাঠি নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় শাকিল তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে গুলি করার চেষ্টা করলে স্থানীয়দের তোপের মুখে পালিয়ে যান। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন।

ওসি শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, “ঘটনাটি শোনামাত্রই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলার বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।”  

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও এক মামলায় ৩ বছর কারাদণ্ড

প্রতারণার আরও একটি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এ নিয়ে প্রতারণার পৃথক পাঁচটি মামলায় রাসেল ও শামীমা নাসরিনের ১২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হলো।

এর আগে সর্বশেষ গত ১৪ এপ্রিল প্রতারণার একটি মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

আজ যে মামলায় রাসেল দম্পতির সাজা হয়েছে, সেই মামলায় প্রতারণার মাধ্যমে ২৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন আবুল কালাম আজাদ নামের একজন গ্রাহক।

৬ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালত প্রতারণার আরেকটি মামলায় এই দম্পতিকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া গত ২৯ জানুয়ারি প্রতারণার অভিযোগে করা আরেকটি মামলায় তাঁদের দুই বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।

গত বছরের ২ জুন চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রামের আদালত।

২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুজন জামিনে মুক্ত হন।

আরও পড়ুনইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও ৩ বছর কারাদণ্ড১৩ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ