জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় তারা রওনা হন। সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল আই সেন্টারে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হবে।
এর আগে এই সাতজন চিকিৎসা নেন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে। তারা হলেন– আবদুল্লাহ আল বাকী, আকতার হোসেন, মো.

ইয়ামিন, ফয়েজ আহমেদ, মিনহাজুল ইসলাম শুভ, মোহাম্মদ রমজান ও সালমান বিন শোয়াইব।

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক যাকিয়া সুলতানা নীল সমকালকে বলেন, পুলিশের গুলিতে আহত সাতজন দৃষ্টি হারিয়েছে। এর মধ্যে একজনের দৃষ্টি চলে গেছে দুই চোখেরই। অন্যদের এক চোখে সমস্যা হয়েছে। তাদের সবার চোখে আলো ফেরার আশায় বিদেশ পাঠানো হয়েছে। জটিলতা বিবেচনায় আরও কয়েকজনের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনে আহতদের মধ্যে দেড় হাজারের বেশি জনকে আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয় ১০৩৪ জনকে। তাদের মধ্যে ৩০০ জনের বেশি হারিয়েছে দৃষ্টি। ৫০ জনের দুই চেখের আলোই চলে গেছে। 

অধ্যাপক যাকিয়া সুলতানা জানান, সবগুলো গুলিই ছিল শটগানের। এ কারণে ক্ষতের গভীরতা ছিল অনেক বেশি। তাদের দীর্ঘদিন ধরে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অনেকের ১৫টির বেশি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন পড়ে। ফয়েজ আহমেদের চোখে এখনও গুলি রয়েছে। একাধিক অস্ত্রোপচারের পরও সেই গুলি বের করা সম্ভব হয়নি। শুভর এক চোখ গুলিবিদ্ধ হওয়ায় অন্য চোখেও সমস্যা হচ্ছে। 
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান ও জাতীয় নাগরিক কমিটির আহতদের চিকিৎসাবিষয়ক সেলের আহ্বায়ক ডা. মাহমুদা আলম মিতু ফ্লাইটের টিকিট তুলে দেন। ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আহতদের চিকিৎসার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এ পর্যন্ত ১৩ জনকে দেশের বাইরে পাঠিয়েছে সরকার। 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কুলিয়ারচরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, ৩০ যাত্রী আহত

কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কে যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে ৩০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মহাসড়কের আগরপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রাইম পরিবহন নামের একটি বাস ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে শেরপুর থেকে সিলেট যাচ্ছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাত ১টার দিকে বাসটি মহাসড়কের আগরপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে পূর্ব জগৎচর নামক স্থানে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়ে যায়।

দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে রাতে ৯ জনকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

আহতদের বরাত দিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একজন নার্স জানান, যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন শেরপুর থেকে আসেন। তারা প্রয়োজনীয় উপকরণসহ ছাগল নিয়ে সিলেট মাজারে যাচ্ছিলেন।

হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে হারিছ মিয়া (৫৫) নামে এক যাত্রী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার স্বজন ফজর আলী (৫০) বলেন, তিনি কিশোরগঞ্জের যশোদল গ্রামে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। রাতে তিনি কিশোরগঞ্জ থেকে বাসে উঠেন। সুনামগঞ্জের বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। বাকিরা আজ সকালে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।

এ ব্যাপারে ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুর রহমান বলেন, রাতে দুর্ঘটনার পর আমরা ঘটনাস্থলে এসে যাত্রী ও তাদের মালামাল উদ্ধার করি এবং বুঝিয়ে দেই। কম বেশি সব যাত্রীই আহত হয়েছেন বলে তিনি জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নরসিংদীতে তিন গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ১
  • চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে কেউ নিচ্ছেন চিকিৎসা, কেউ করাচ্ছেন পরীক্ষা
  • ১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে সেবা চালু
  • ১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু
  • রাজধানীতে ছিনতাইকারীর ছুরিতে দু’জন আহত
  • কুলিয়ারচরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, ৩০ যাত্রী আহত