চোখে আলো ফেরার আশায় সিঙ্গাপুর গেলেন সাতজন
Published: 24th, January 2025 GMT
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় তারা রওনা হন। সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল আই সেন্টারে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হবে।
এর আগে এই সাতজন চিকিৎসা নেন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে। তারা হলেন– আবদুল্লাহ আল বাকী, আকতার হোসেন, মো.
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক যাকিয়া সুলতানা নীল সমকালকে বলেন, পুলিশের গুলিতে আহত সাতজন দৃষ্টি হারিয়েছে। এর মধ্যে একজনের দৃষ্টি চলে গেছে দুই চোখেরই। অন্যদের এক চোখে সমস্যা হয়েছে। তাদের সবার চোখে আলো ফেরার আশায় বিদেশ পাঠানো হয়েছে। জটিলতা বিবেচনায় আরও কয়েকজনের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনে আহতদের মধ্যে দেড় হাজারের বেশি জনকে আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয় ১০৩৪ জনকে। তাদের মধ্যে ৩০০ জনের বেশি হারিয়েছে দৃষ্টি। ৫০ জনের দুই চেখের আলোই চলে গেছে।
অধ্যাপক যাকিয়া সুলতানা জানান, সবগুলো গুলিই ছিল শটগানের। এ কারণে ক্ষতের গভীরতা ছিল অনেক বেশি। তাদের দীর্ঘদিন ধরে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অনেকের ১৫টির বেশি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন পড়ে। ফয়েজ আহমেদের চোখে এখনও গুলি রয়েছে। একাধিক অস্ত্রোপচারের পরও সেই গুলি বের করা সম্ভব হয়নি। শুভর এক চোখ গুলিবিদ্ধ হওয়ায় অন্য চোখেও সমস্যা হচ্ছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান ও জাতীয় নাগরিক কমিটির আহতদের চিকিৎসাবিষয়ক সেলের আহ্বায়ক ডা. মাহমুদা আলম মিতু ফ্লাইটের টিকিট তুলে দেন। ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আহতদের চিকিৎসার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এ পর্যন্ত ১৩ জনকে দেশের বাইরে পাঠিয়েছে সরকার।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে জমি দখলকে কেন্দ্র করে হামলা, আহত ৪
সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ৪ নং ওয়ার্ড সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং এলাকায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় অন্তত চারজন আহত হয়েছে। আহতদের এলাকাবাসী উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হসপিটালে নিয়ে যায়। আহতরা হলেন, আব্দুল সোবহান (৬২), আব্দুল আজিজ (৪৫),রবিন (৩৮) ও মুক্তার হোসেন।
সোমবার সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। উক্ত মারামারির ঘটনায় মুক্তার হোসেন বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ আজিবপুর এলাকার বাসিন্দা বিবাদী আহমাদুল্লাহ (৫০), মোহাম্মাদ হোসেন (৪৫), সফর আলী (৪৫), জাফর হোসেন (৫০) সর্ব পিতা মৃত মমির আলী, সাইফুল ইসলাম (২৬), ফয়সাল হোসেন (২৪) উভয় পিতা মোহাম্মাদ উল্যাহ, রব কাজির ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৮), কামাল হোসেন সহ অজ্ঞাত আরো ২০ থেকে ৩০ জন নুর বানু বেগম (৬৫) এর সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং ছাপাখানা মোড়ে ক্রয়কৃত ৫ শতাংশ জমি দখল করতে যায়।
মানুষের মুখে দখলের কথা শুনে নুর বানু বেগমের ছেলে মুক্তার হোসেন উক্ত জমির সামনে গেলে উক্ত বিবাদীরা মুক্তার কে দেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। মুক্তার হোসেন গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে উক্ত বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্র এসএসের পাইপ দিয়ে মুক্তারকে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে।
মুক্তার কে মারধর করছে এমন খবর পেয়ে মুক্তারের চাচাতো ভাইরা ঘটনাস্থলে আসলে তাদেরকেও মারধর করে গুরুতর আহত করে উক্ত বিবাদী গং। তাদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে বিবাদীগণ পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় বাদীদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যান।
এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হসপিটালে নিয়ে যান। চিকিৎসা শেষে মুক্তার হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এসে বিবাদীদের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
বাদী মুক্তার হোসেন জানান, আমার মা নুর বানু বেগম সিদ্ধিরগঞ্জ ছাপাখানা মোড়ে ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন।আমার মায়ের নামে নামজারি খাজনা সহ যাবতীয় কাগজপত্র রয়েছে। উক্ত বিবাদী গং দীর্ঘদিন যাবত এই জায়গাটি দখল করার পায়তারা করছে।
বিবাদীরা সোমবারে বিকালে আমার মায়ের জমি দখল করতে আসলে আমরা বাধা প্রদান করি। এক পর্যায়ে বিবাদীরা দেশী অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপরে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে।
এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করেছি। আমি উক্ত বিবাদীগণের কঠিন শাস্তি কামনা করছি প্রশাসনের কাছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার (উপ- পরিদর্শক) এসআই সালেকুজ্জামান বলেন, মারামারির ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।