অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, “অচিরেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। নির্বাচনে বিএনপি জামায়াতসহ অন্য সংগঠনগুলো একটি পজেটিভ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে নতুন সরকার গঠন করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আসবে। তবে, যারা আসবে এরা সবাই বাংলাদেশপন্থি। কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হবে না।”

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। নিজ জেলা লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে যাওয়ার পথে হাজিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে এসময় উপদেষ্টাকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

মাহফুজ আলম বলেন, “শেখ মুজিব ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্র নস্যাৎ করার প্রচেষ্টা করেছিলেন। ওই সময়ে কয়েকটি বাদে সব পত্রিকাকে শেখ মুজিব বন্ধ করেছিলেন। তার সেই বাকশাল মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে লুণ্ঠিত করেছিল। বাকশাল প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী সময়ে শেখ মুজিব তার বিরোধী কয়েক হাজার নেতাকে গুম-খুন করেন। তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের ওই সময়ের নেতারা হাজার হাজার মা-বোনদের ধর্ষণ করেছিল। তাই মুজিববাদ ও হাসিনাবাদীদের আর এই বাংলাদেশে ঠাঁই হবে না। এদেরকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হবে না।”

আরো পড়ুন:

পাহাড় কাটা নিয়ে টম অ্যান্ড জেরি খেলা চলবে না: উপদেষ্টা রিজওয়ানা 

‘মানুষকে শাস্তি দিতে চাইলে বলতে পারেন, তুমি সন্দ্বীপ যাও’ 

তিনি আরো বলেন, “হাসিনা যেসব প্রতিষ্ঠানের ওপর ভর করে টিকে ছিল তার সংস্কার চলছে। ওগুলো সংস্কার না করলে হাসিনা ফিরে আসলে আবারো ফ্যাসিবাদ তৈরি হবে। তাই এই সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের শাসনামলের সব গুম, খুন, হত্যা ও ধর্ষণের বিচার করছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশপন্থিদের নিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। তার মাধ্যমে ইনসাফমূলক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হবে এবং এ জন্যই নূন্যতম সংস্কার শেষে নির্বাচন দেওয়া হবে।”

ঢাকা/অমরেশ/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট আওয় ম ল গ উপদ ষ ট কর ছ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে

একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।

এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।

আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫

প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।

সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ