আড়াইহাজারে ছিনতাই ও মাদক ব্যবসার সহযোগিতার অভিযোগে জনতার হাতে আটক ইমরান হোসেনকে (কনস্টেবল নম্বর ১১৮৪) প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার (সি- সার্কেল) মেহেদী হাসান। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলে জানান এএসপি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার ব্রাক্ষন্দী ইউনিয়নের মারুয়াদী এলাকা থেকে ইমরানকে আটক করা হয়। আটক কনস্টেবল জেলার রূপগঞ্জ থানায় কর্মরত। ঘটনার দিন তার ডিউটি ছিল বাণিজ্য মেলায়।

মাসুম উপজেলার মারুয়াদী দেওয়ান পাড়া গ্রামের নাঈমের ছেলে। কনস্টেবল ইমরানের বাড়ি চাদঁপুর জেলায়। এক সময় তিনি আড়াইহাজার থানায় কর্মরত ছিলেন।

এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে মারুয়াদী এলাকায় বেশ কয়েকজন যুবকের সঙ্গে মিশে ইমরান বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিলেন।  

অভিযোগ আছে, তিনি পুলিশের পোশাক ও হ্যান্ডকাপ ব্যবহার করে ছিনতাই ও মাদক ব্যবসার সহযোগিতা করেন। এ অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল ইমরান ও মাসুম নামে ২ জনকে আটক করে জনতা পুলিশের হাতে তুলে দেন।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ইমর ন

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ