মধ্যরাতে ফুটপাতের দোকানে গরম কাপড় কিনতে ভিড়
Published: 25th, January 2025 GMT
পাবনার ঈশ্বরদীতে সপ্তাহজুড়ে কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট বেড়েছে। গরম কাপড় বিক্রিও বেড়ে গেছে। ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে শহরের স্টেশন রোডের ফুটপাতে সাধারণ মানুষ ছুটছেন কম দামে শীতের কাপড় কিনতে।
শুক্রবার মধ্যরাতে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফুটপাতে অনেকে পুরোনো গরম কাপড় নিয়ে বসেছেন বিক্রি করতে। মধ্যরাত পর্যন্ত নিম্ন আয়ের মানুষ এসব কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
চালক আলমগীর হোসেন রিকশা থামিয়ে ১৭০ টাকায় একটি পুরোনো জ্যাকেট কিনে নেন। তিনি বলেন, ‘রাতে রিকশা চালানো কঠিন হয়ে গেছে। এখান থেকে পুরোনো জ্যাকেট কিনলাম।’
শিশুসন্তানকে সঙ্গে নিয়ে ফুটপাত থেকে গরম কাপড় কিনতে এসেছিলেন পশ্চিম টেংরি এলাকার সহিদুল ইসলাম। দরাদরি করে ৪৮০ টাকায় তিনি নিজের এবং সন্তানের জন্য কাপড় কিনে নেন।
ঢাকা থেকে গাঁইট ধরে পুরোনো সোয়েটার, জ্যাকেটসহ গরম কাপড় কিনে এনে বাছাই শেষে ফুটপাতে বিক্রি করেন দোকানি মজিবুল হক। গড়ে ১০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব পোশাক। আরেক বিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পৌষের শুরু থেকে বিক্রি মোটামুটি হচ্ছিল। গত ৮-১০ দিনে শীতের তীব্রতা বাড়ায় বিক্রিও বেড়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদীতে দেশের সর্বনিম্ন ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। পরে শুক্রবার ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন বলেন, প্রতিদিনই হিমেল বাতাসের কারণে ঘরের বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে গেছে। শনিবারও তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১০ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।
মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।