জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি ঘোষণার ৩২ দিন পর ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেছে এ কমিটি।

কমিটি ঘোষণার পর থেকেই কর্মসূচি ও সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তুতি নেওয়া হলেও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কারণে তারা এতদিন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারেনি বলে জানা গেছে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে নবগঠিত কমিটির নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে সমবেত হন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলায় মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।

এ সময় শাখা ছাত্রদলের নতুন আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল ও সদস্য সচিব সামসুল আরেফিনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সদ্য সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা। 

সভায় তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ছাত্রদলের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।

এর আগে, গত ২৪ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। নবগঠিত কমিটির ক্যাম্পাসে এতদিন প্রবেশ করতে বিলম্বের অন্যতম বড় বাধা ছিল পদবঞ্চিতদের একাংশের প্রতিবাদ। তারা কমিটিতে নিজেদের যথাযথ মূল্যায়ন না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন।

তবে নবগঠিত কমিটির নেতারা জানান, তারা ইতোমধ্যে পদবঞ্চিতদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। তাদের অভিমান নিরসনের জন্য কাজ চলছে। অচিরেই সংগঠনের ঐক্য আরও দৃঢ় হবে বলে তারা আশাবাদী।

সদ্য সাবেক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময়ই দেশের ক্রান্তিকালে জনগণের পাশে থেকেছে। আমি নবগঠিত কমিটির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল যেন সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকে এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আদর্শ সমুন্নত রাখে।”

নবগঠিত কমিটির সদস্য সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, “ছাত্রদল সুদৃঢ়ভাবে ৩১ দফার আলোকে নতুন বাংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। দেশ ও ইতিহাসের দায়কে মাথায় নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।”

আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “নেতৃত্বে প্রতিযোগিতা থাকবে, এটা স্বাভাবিক। জবি শাখা ছাত্রদল একটি বৃহৎ ছাত্র সংগঠন। এখানে নেতৃত্বে আসতে ত্যাগ ও শ্রমের মূল্যায়ন করা হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রদল গত কমিটির ২৮৬ জনের মধ্যে ২৭ জনের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে। এখানে যারা বাদ পড়েছেন, তাদের অভিমান স্বাভাবিক। আমি তাদের এ অভিমানকে স্বাগত জানাই।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে সিনিয়রদের সঙ্গে একাধিকবার বসেছি। যারা বাদ পড়েছেন, তাদের ক্ষোভ নিরসনে কাজ করছি। ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করাই আমাদের অঙ্গীকার।”

মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজি জিয়া উদ্দিন বাসেত, শাখা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ইব্রাহিম কবির মিঠু, নতুন আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক জাফর আহমেদ, মো.

শাহরিয়ার হোসেন, মো. মাহমুদুল হাসান খান মাহমুদ, কাজী রফিকুল ইসলাম, নাহিয়ান বিন অনিক, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, মেহেদি হাসান রুদ্র, মো. মোজাম্মেল মামুন ডেনি, হাসিবুল ইসলাম হাসিব এবং কমিটির সদস্য রিয়াসাল রাকিব, মুবাইদুর রহমান, এম তানভির রহমান, মাহিদ খান, ইমরান হাসান ইমন প্রমুখ।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল র ক কম ট

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি পাকিস্তানের, জানা গেল না শুল্কের পরিমাণ

যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান একটি বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করেছে। চুক্তিটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক কমাতে সহায়ক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বুধবার রাতে এ চুক্তি চূড়ান্ত হয়। তবে পাকিস্তানি পণ্যে নতুন করে কী পরিমাণ শুল্ক আরোপ করা হতে পারে তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

শুল্ক নিয়ে সমঝোতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করতে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব বর্তমানে ওয়াশিংটনে রয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে পাকিস্তানের একটি প্রতিনিধিদল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

ওয়াশিংটনে অবস্থিত পাকিস্তানের দূতাবাস বৃহস্পতিবার সকালে এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে বলেছে, ‘ঐতিহাসিক অগ্রগতির অংশ হিসেবে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র আজ একটি বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করেছে। এই চুক্তির লক্ষ্য দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদার করা, পণ্য রপ্তানি বাড়ানো, বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করা।’

বৃহস্পতিবার সকালে নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ চুক্তির ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তিনি লিখেন, ‘আমরা মাত্রই পাকিস্তানের সঙ্গে একটি চুক্তি সম্পন্ন করেছি। এই চুক্তির মাধ্যমে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে তাদের বিশাল তেলসম্পদ উন্নয়নে কাজ করবে।’

আরও পড়ুনদক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা ট্রাম্পের, শুল্ক কমে ১৫ শতাংশ১৩ ঘণ্টা আগে

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘এই অংশীদারত্বে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমরা তেল কোম্পানি বাছাইয়ের কাজ করছি। কে জানে, হয়তো একদিন তারা ভারতেও তেল রপ্তানি করবে!’

তবে কী পরিমাণ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে, কোনো পক্ষই তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। পাকিস্তান দূতাবাস জানিয়েছে, এই চুক্তির ফলে পাল্টা শুল্ক কমবে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা পাকিস্তানি পণ্যের ওপর। এ চুক্তি অর্থনৈতিক সহযোগিতার একটি নতুন যুগের সূচনা করছে বিশেষ করে জ্বালানি, খনিজ ও খনিজ সম্পদ, তথ্যপ্রযুক্তি, ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং অন্যান্য খাতে।

উল্লেখ্য, এর আগে বুধবার ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১ আগস্ট থেকে এটি কার্যকর হচ্ছে।

আরও পড়ুনভারতের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য আলাদা ‘দণ্ড’৩০ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ