ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের স্ত্রী লায়লা কানিজের রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। তাকে একদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন রিমান্ড শুনানিতে উঠে আসে সাংবাদিক মুন্নী সাহা প্রসঙ্গ।

গত ১৫ জানুয়ারি ভোরে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে লায়লা কানিজকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো.

ইসমাঈল তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে রিমান্ড শুনানির জন্য ১৯ জানুয়ারি ধার্য করে। তবে ওইদিন শুনানি পিছিয়ে ২৬ জানুয়ারি রাখা হয়।

আরো পড়ুন:

শেরপুরে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে স্মারকলিপি 

খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন হাসান হাফিজ 

দুদক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি বলেন, “সহকারী প্রফেসর হিসেবে তিনি চাকরি করেন। তার সম্পদের সোর্সের অস্তিত্ব নাই। চাকরি জীবনে যা আয় করেছেন তার বাইরে যেসব সম্পদ রয়েছে, সেগুলো অবৈধভাবে অর্জিত। তার এসব সম্পদের আয়ের উৎস পাওয়া যায়নি। আলোচিত ছাগলকাণ্ডের মতিউরের স্ত্রী, তার কাছে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ রয়েছে। তিনি কোনো মানিলন্ডারিং করেছেন কি না এবং অবৈধ সম্পদের তথ্য জানতে তাকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। এজন্য তার সাত দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেন।”

আসামিপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শাহান শাহ তাপস বলেন, “তার বিরুদ্ধে অতিরঞ্জিতভাবে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। ট্রায়ালে এটা প্রমাণ করব। তার স্বামী মতিউরের কারণে এ মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা সবকিছু পূর্ণাঙ্গভাবে আদালতে উপস্থাপন করেছি। তাকে হেনস্তা করতেই এ মামলায় রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। ন্যায়বিচারের স্বার্থে তার রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জামিন দেওয়া হোক।”

এ সময় লায়লা কানিজের আরেক আইনজীবী মো. ওয়াহিদুজ্জামান সাংবাদিক মুন্নী সাহা প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, “সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো। তখন দুদক বলেছিল, তার বিরুদ্ধে ১১২ কোটি টাকা লেনদেনের খবর। তাকে কিন্তু গ্রেপ্তার করেনি। ছেড়ে দিয়েছে।”

তখন দুদক প্রসিকিউটর মামলার ম্যারিট নিয়ে কথা বলতে বলেন। আইনজীবী মুহাম্মদ শাহান শাহ তাপস বলেন, “ত্রুটিপূর্ণ এজাহার, মিথ্যা বলেছেন।” তখন মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, “সত্যা মিথ্যা ন্যায়বিচারের মাধ্যমে প্রমাণ হবে। আদালত ন্যায়বিচার করবেন।”

পরে আদালত লায়লা কানিজের রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে একদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।

ঢাকা/মামুন/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা যেভাবে পড়বেন

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষা ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীদের সুবিধার জন্য লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির পরামর্শ প্রকাশ করা হচ্ছে। আজ পঞ্চম পর্বে থাকছে বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২ বিষয়ে প্রস্তুতির পরামর্শ। পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী রিয়াজুর রহমান।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২ মূলত আইনজীবীদের পেশাজীবনের অনুসরণীয় বিধিমালা। এ আইন থেকে আইনজীবী তালিকাভুক্তি লিখিত পরীক্ষায় দুটি প্রশ্ন আসবে। উত্তর দিতে হবে একটি। নম্বর থাকবে ১০।

প্রশ্নপত্রের মানবণ্টন দেখেই বোঝা যাচ্ছে আইনটি কেমন হতে পারে। মূলত বার কাউন্সিলের গঠন, আইনজীবী হওয়ার যোগ্যতা এবং একজন আইনজীবী হিসেবে সমাজের প্রতি, মক্কেলের প্রতি, সহকর্মীদের প্রতি যেসব দায়িত্ব পালন করতে হবে, তা এ আইনে বলা হয়েছে। বাস্তবধর্মী ও পেশাজীবনে অতি চর্চিত একটি আইন হলো বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২। এ আইন থেকে বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা করলে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব।

যেমন বার কাউন্সিল কীভাবে গঠিত হয়, বার কাউন্সিলের কার্যবালি কী, সদস্যরা কীভাবে নির্বাচিত হন, কতগুলো কমিটি রয়েছে, কমিটির কাজ কী কী—এগুলো পড়তে হবে। অনেকেই আছে বার কাউন্সিল ও বার অ্যাসোশিয়েশনের মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না। এটি ভালো করে রপ্ত করতে হবে। এমন প্রশ্ন হরহামেশা পরীক্ষায় আসে।

এ ছাড়া বার ট্রাইব্যুনালের গঠন ও কার্যাবলি, আইনজীবীদের পেশাগত অসদাচরণের জন্য কী কী ধরনের শাস্তি রয়েছে, বার কাউন্সিল কি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে সুয়োমোটো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে—বিষয়গুলো কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। অনুচ্ছেদ ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩২ এবং বিধি ৪১, ৪১ক ও ৫০–এ এসব বিষয়ে বিস্তারিত বলা আছে। সেগুলো ভালো করে পড়তে হবে। অনুসন্ধান করার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা, একজন আইনজীবী হিসেবে আরেক আইনজীবীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়েরের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তর জানতে হবে। এসব বিষয় থেকে নিয়মিত প্রশ্ন আসে।

পেশাগত বিধি অংশে রচনামূলক প্রশ্ন আসতে পারে। যেমন পেশাগত বিধি এবং নীতিমালার আলোকে আদালতের প্রতি, মক্কেলের প্রতিসহ আইনজীবীদের প্রতি ও জনসাধারণের প্রতি একজন আইনজীবীর দায়িত্ব ও কর্তব্য পর্যালোচনা করতে বলা হয়। বর্তমান ঢাকা বারসহ বেশ কয়েকটি বার অ্যাসোশিয়েশনে এডহক কমিটি রয়েছে। এডহক বার কাউন্সিলের গঠন ও ফাংশনস সম্পর্কে প্রশ্ন আসতে পারে। এগুলো ভালো করে পড়তে হবে।

অনেক সময়ে আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরসংক্রান্ত মুসাবিদা করতে দেওয়া হয়। তাই এই মুসাবিদা নিয়মিত অনুশীলন করবেন। মনে রাখবেন, মামলার মুসাবিদা ও আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগের মুসাবিদার ধরন কিন্তু এক নয়। তাই যেকোনো ভালো একটি বই থেকে ফরমেটটি দেখে নেবেন এবং অনুশীলন করবেন। একই সঙ্গে বিগত কয়েক বছরের প্রশ্ন সমাধান করবেন। এ আইন থেকে বিগত বছরের প্রশ্ন রিপিটও হয়।

একটি বিষয় মনে রাখবেন, আইনটি সহজ বলে অবহেলা করার সুযোগ নেই। কারণ, কৃতকার্য হওয়ার জন্য এই ১০ নম্বর অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা যেভাবে পড়বেন
  • দণ্ডাদেশ বহালের রায়ের বিরুদ্ধে ১০ আসামির আপিল ও লিভ টু আপিল
  • যে ‘ধর্মীয় অনুপ্রেরণায়’ ইরানে এই হামলা চালাল ইসরায়েল
  • দক্ষিণ ভারতের নিষ্পেষিত মুসলিম নারীদের কণ্ঠস্বর