‘টাকা নিয়ে দরজায় নক করলেও বিদেশিরা দরজা খোলেনি’
Published: 27th, January 2025 GMT
বিপিএলের চলতি আসরে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না দুর্বার রাজশাহীর। পারিশ্রমিক সংক্রান্ত ইস্যুতে এবার চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে দলের বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে গতকাল নাটকীয় জয় পেলেও, ম্যাচে অংশ নেননি রাজশাহীর ছয়জন বিদেশি খেলোয়াড়। এই ঘটনায় ম্যাচের পর মুখ খুলেছেন রাজশাহীর অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ।
রংপুরকে মাত্র ২ রানে হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে তাসকিন জানান, ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই দলে চলছিল নানা নাটকীয়তা। তিনি বলেন, ‘দিনের শুরু থেকেই অনেক ড্রামা দেখেছি। শুনেছি, টিম ম্যানেজমেন্ট নাকি টাকা নিয়ে বিদেশিদের রুমে নক করেছে, কিন্তু তারা দরজা খোলেনি। সবাই শুরুতে একটু হতাশ ছিল। তবে, উইকেট সহজ ছিল না। শেষ পর্যন্ত পুরস্কার পাওয়া গেছে।’
বিদেশি ক্রিকেটাররা কেন খেলেননি, সে বিষয়ে তাসকিন বলেন, ‘আমাদের বোর্ড থেকে তাদের অনুরোধ করা হয়েছিল মাঠে নামার জন্য। বলা হয়েছিল পারিশ্রমিক নিয়ে সমস্যা হলেও খেলতে। কিন্তু তবুও তারা খেলেনি। এমন অভিজ্ঞতা আমার জীবনে প্রথম।’
রাজশাহীর খেলোয়াড়দের নিজেদেরও ম্যাচের দিন পারিশ্রমিকের আংশিক পরিশোধ করা হয়। তাসকিন বলেন, ‘আমাদেরও আজ (গতকাল) চেক দেওয়া হয়েছে, ২৫% পরিশোধ করা হয়েছে। আশা করি, আর কোনো ঝামেলা হবে না। যদিও শুরুটা সুখকর ছিল না, জয় পাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি এসেছে।’
পরবর্তী ম্যাচেও বিদেশি খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ নিয়ে নিশ্চিত নন তাসকিন। তিনি বলেন, ‘তারা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আশা করব তারা আসবে। তবে এখনো কিছু বলতে পারছি না।’
বিসিবির ভূমিকা নিয়ে তাসকিন বলেন, ‘ফারুক স্যার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, টাকা নিয়ে দেরি হলেও বিসিবি বিষয়টি সমাধান করবে। তবে বিদেশি খেলোয়াড়রা পরিষ্কার জানিয়েছে, টাকা না পেলে তারা খেলবে না।’
এ বিষয়ে বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু জানান, ‘এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অনাকাঙ্ক্ষিত। এই সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধান করতে হবে। বোর্ড মিটিংয়ে বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। তবে প্রতিনিয়ত নতুন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি, যা ঠিক করতে হবে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
কারও ওপর আক্রমণ হলে যৌথভাবে জবাব দেবে পাকিস্তান ও সৌদি আরব
পাকিস্তান ও সৌদি আরব ‘কৌশলগত যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি’ সই করেছে। বুধবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এ চুক্তি সই করেন। চুক্তি অনুযায়ী, কোনো একটি দেশ আক্রান্ত হলে সেটাকে দুই দেশের ওপর ‘আগ্রাসন’ হিসেবে দেখবে রিয়াদ ও ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রিয়াদের ইয়ামামা প্রাসাদে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে শাহবাজ শরিফের বৈঠক হয়। সেখানে দুই নেতা চুক্তিতে সই করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ জোরদার করার লক্ষ্যে দুই দেশের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও নিজেদের সুরক্ষিত করা এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি অর্জনের জন্য উভয় দেশের অভিন্ন প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটেছে এই চুক্তিতে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসলামাবাদ ও রিয়াদের মধ্যে ‘প্রায় আট দশকের ঐতিহাসিক অংশীদারত্ব...ভ্রাতৃত্ব ও ইসলামি সংহতির বন্ধন...অভিন্ন কৌশলগত স্বার্থ এবং ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার’ ভিত্তিতে এ চুক্তি সই করা হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বলেছে, দু্ই পক্ষ ও তাদের প্রতিনিধিদল উভয় দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও কৌশলগত সম্পর্ক পর্যালোচনা করেছে। একই সঙ্গে দুই পক্ষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কয়েকটি বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে।
এর আগে সৌদি আরব সফররত শাহবাজ শরিফ ইয়ামামা প্রাসাদে পৌঁছালে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান সৌদি যুবরাজ। এ সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে সৌদি আরবের যুবরাজের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠক করেন তিনি।