ছোট একটা বিরতির পর আবার মঞ্চে উঠতে যাচ্ছেন নন্দিত কণ্ঠশিল্পী জেমস। এবার এই রকতারকা পারফর্ম করবেন বন্দর নগরী চট্টগ্রামে আয়োজিত ‘ফ্লাওয়ার ফেস্ট’-এর ‘গালা নাইট’ কনসার্টে। সঙ্গে থাকছে তাঁর ব্যান্ড নগর বাউল। 

আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হবে। জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের এ আয়োজনে জেমস ও নগর বাউলের পাশাপাশি পারফর্ম করবে এ সময়ের আলোচিত আরও ৭টি ব্যান্ড। সে তালিকায় রয়েছে আর্টসেল, শিরোনামহীন, লালন, আভোয়েড রাফা, আর্বোভাইরাস, উন্মাদ ও তীরন্দাজ। আয়োজকরা জানান, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট ডিসি পার্কে মাসব্যাপী ‘ফ্লাওয়ার ফেস্ট’র আয়োজন করা হয়েছে। এই ফুল উৎসবের সমাপনী দিনে অনুষ্ঠিত হবে ‘গালা নাইট’ কনসার্ট। সব শ্রেণির দর্শকের জন্য কনসার্ট  উন্মুক্ত থাকবে।

 ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে দর্শকের জন্য স্টেডিয়ামের গেট খুলে দেওয়া হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে শুরু হবে ব্যান্ডগুলোর পরিবেশনা। ৭টি ব্যান্ডের পরিবেশনা শেষে শো স্টপার হিসেবে ব্যান্ড নগর বাউল সদস্যদের সঙ্গে মঞ্চে উঠবেন দেশসেরা রকস্টার জেমস। ফুল ও সংগীতপ্রেমীদের জন্য কনসার্টটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন। জেমসের কথায়, সংগীতের মাধ্যমে যে কোনো উৎসব আরও বর্ণাঢ্য করে তোলা যায়। 

‘ফ্লাওয়ার ফেস্ট’-এর ‘গালা নাইট’ কনসার্ট তারই একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। জেমসের এ কথার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন কনসার্টে অংশ নেওয়া অন্যান্য ব্যান্ড সদস্যরা।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কনস র ট

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।

কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।

এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।

অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।

একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।

যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুন্দরবনে দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু আজ, এবারও নেই মেলার আয়োজন
  • শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 
  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
  • উদ্ভাবন–আনন্দে বিজ্ঞান উৎসব
  • নবীনদের নতুন চিন্তার ঝলক