ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে সে দেশের হাইকমিশনে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে সরকারের উপদেষ্টাদের উপস্থিতি খুব স্বাভাবিক ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

তিনি বলেছেন, “কোনো দেশের প্রজাতন্ত্র দিবস বা জাতীয় দিবসে তারা যেতেই পারেন।”

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।

গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ভারতের ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের দেখা গেছে। এর মধ্য দিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “আপানারা সব সময় দেখে আসছেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সব সময় বলে আসছেন, সব দেশের সঙ্গেই সুসম্পর্ক আশা করেন। এখানে উপদেষ্টাদের উপস্থিতি আলাদাভাবে দেখার কোনো কারণ আমি দেখছি না।”

তিনি আরো বলেন, “কোনো দেশের প্রজাতন্ত্র দিবস বা জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে সব সময় একজন প্রধান অতিথি থাকেন, উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি থাকেন, এটা স্বাভাবিক ঘটনা। সে ঘটনার ধারাবাহিকতায় এখানেও আপনারা প্রধান অতিথিকে উপস্থিত থাকতে দেখেছেন। এখানে আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। আমরা সব সময় মনে করি, বাংলাদেশ সবার সাথেই সুসম্পর্ক প্রত্যাশা করে। বাংলাদেশের কার্যক্রম সেভাবেই পরিচালিত হয়ে থাকে।”

ঢাকা/হাসান/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট দ র পরর ষ ট র উপস থ ত সব সময়

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ