পারিশ্রমিক না পেয়ে দুর্বার রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটাররা ম্যাচ বয়কট করেছিলেন। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ওই ম্যাচে জিতেছে তাসকিন আহমেদের দুর্বার রাজশাহী। গ্রুপের শেষ ম্যাচে রাজশাহী দুই বিদেশি নিয়ে খেলতে নেমেছে। ম্যাচে এসএম মেহরবের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৯ উইকেটে ১১৭ রান করতে পেরেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
মিরপুর স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সিলেটের জাকির হাসান, জাকের আলী ও আহসান ভাটিয়া সেট হয়েও ফিরে যান। জাকির ২৫ বলে ২৪ ও আহসান ২১ বলে ২৫ রান করেন। জাকের ১৮ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া শেষে সুমন খান ২০ রান করেন।
সিলেটের অন্য ব্যাটাররা ব্যর্থ হন। সামিউল্লাহ সেনওয়ারির সঙ্গে আরিফুল হক ওপেনিংয়ে নেমে বিস্ময় উপহার দেন। তারা যথাক্রমে ৯ ও ৭ রান যোগ করেন। চারে নামা সাজ্জাদুল শূন্য করে ফিরে যান।
রাজশাহীর হয়ে এসএম মেহরব একাই ৪ উইকেট নিয়েছেন। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দেন। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী নেন ৪ ওভারে ৩৩ রানে ৩ উইকেট। তাসকিন একটি ও আফগান পেসার আফতাব আলম ১ উইকেট নেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তি দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ
জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তির দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ক্যাম্পাসের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। পরে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হন।
আরো পড়ুন:
নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
যবিপ্রবিতে বাতাস হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়, অভিযোগ শিক্ষার্থীদের
মিছিলে তারা ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরো দেব রক্ত’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সাবেক সমন্বয়ক এসএম সুইট, সাবেক সহ-সমন্বয়ক ইয়াসকিরুল কবীর সৌরভ, গোলাম রব্বানী, ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিন, রাফিজ, শিবির নেতা রায়হান নেজামী প্রমুখ।
এসএম সুইট বলেন, “যারা গণহত্যার বৈধতা দিয়েছিল তাদের শাস্তির আওতায় আনতে প্রশাসন থেকে একটা তালিকা করা হয়েছে। কিন্তু সেই তালিকায় অনেক রাঘববোয়ালদের নাম আসেনি। যারা গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে, তাদেরও নাম আসেনি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে জুলাইবিরোধী সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”
তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে আমরা কখনোই না। কিন্তু অভ্যুত্থানের বিরোধী শক্তি শিক্ষার্থীদের ম্যানিপুলেট করে জুলাইবিরোধী কাজগুলো করানোর চেষ্টা করছে। আশা করছি, এটি ধোপে টিকবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়-দায়িত্ব যেহেতু শহীদ ও আহত ভাই-বোনদের প্রতি। সে জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতিপয় শিক্ষককে বহিষ্কৃত সিদ্ধান্তকে নাটক ও প্রহসন দাবি করে ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিন বলেন, “প্রশাসন কতিপয় শিক্ষককে বহিষ্কার ও হাতেগোনা কয়েকজন ছাত্রের ছাত্রত্ব বাতিল করেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাতের নাম বাদ দিয়েই তারা বাদবাকি চুনোপুঁটিদের বহিষ্কার করার যে নাটক, যে প্রহসন, সেই প্রহসনকে আমরা সে ঘৃণ্যাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী