নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী দশতলা এলাকায় অর্ধশত কোটি টাকার মূল্যের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে কাঁচাবাজার বসায় আদমজীর লোহা চোর আকরাম। অবশেষে ৫দিনের মাথায় সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে সেই বাজার উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদের সময় জায়গার মালিক উপস্থিত ছিলেন। 

এদিকে উচ্ছেদের সময় ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও লোহা চোর আকরাম ভয়ে ঘটনাস্থলে আসেনি। পরে বিকালের দিকে আকরামের শ্যালক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সোহাগ ও আকরাম বাহিনীর সদস্যরা নিলামে অনেক পণ্যসামগ্রী বিক্রি করে দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কদমতলী ১০তলার সামনে ৯৫ শতাংশ জায়গা দখল করে গত ৫দিন ধরে কাঁচাবাজার বসায় আদমজীর লোহা চোর আকরাম। সে নাকি এই জায়গার লীজ এনেছে। এসময় সে নিজেকে বিএনপির নেতা পরিচয় দেয়। এবং সেনাবাহিনীর কাছ থেকে পারমিশন নিয়ে বাজার বসাচ্ছে বলে প্রচার করে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাত পর্যন্ত ৩০টি দোকান নির্মাণ করা হয়। আকরামের নির্দেশে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে সিদ্ধিরগঞ্জের দুই নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহসভাপতি ও আকরামের শ্যালক সোহাগ, আকতার, বাদল, আলম, লিটন, সুমন ও রিতু। 

এদিকে অবৈধ বাজার নিয়ে এলাকাবাসী ও স্থানীয় ব্যবসায়িদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি জানতে পারে জমির মালিকরা। রোববার বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভেতর অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প থেকে দুটি গাড়ি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এবং খোঁজ খবর নেয়। 

ওদিকে সোমবার দুপুরে এক ঘন্টার মৌখিক নোটিশে কাঁচাবাজারের সকল ব্যবসায়িদের তাদের দোকান নিজ দায়িত্বে অপসারণ করার নির্দেশ দেন জমির মালিক। এসময় জমির মালিকদের একজন জাহাঙ্গীর আলম জানান, এই জমির মালিক নীট কনসার্ন গ্রুপ।

আমাদের কাছে না জিঞ্জেস করে কে বাজার বসিয়েছে? পরে ব্যবসায়ীরা তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেয়া শুরু করে। সময় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন লোহা চোর আকরামের উপর।

তারা বলেন, টাকা খরচ করে দোকান নির্মাণ করে সেখানে মালামাল উঠিয়েছি। এখন হঠাৎ করে আমাদের এই জায়গা ছাড়তে হচ্ছে। এতে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতি হয়েছি। আকরামের কোন খবর নাই। সে এখন দুরে সরে আছে।

এলাকাবাসী জানায়, নানা অপকর্মের হোতা লোহা চোর আকরাম দীর্ঘ বহু বছর পলাতক থাকার পর ৫ আগস্টের পর প্রকাশ্যে আসে। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিনের নাম ভাংগিয়ে  শুরু হয় তার দখল বাণিজ্য।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ চ র আকর ম ব যবস য় আকর ম র

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্ধিরগঞ্জে প্রবাসী স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর তালা

সিদ্ধিরগঞ্জে জোর পূর্বক সম্পত্তি লিখে নিতে সন্ত্রাসী দিয়ে নিজাম উদ্দিন নামে এক প্রবাসীর ৬ তলা বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রী উম্মে হাবিবা বিন্দুর বিরুদ্ধে। গত বুধবার (১১ জুন) সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল তাঁতখানা এলাকার প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনায় বন্দর থানার গকুলদাসেরবাগ এলাকার আ: বাতেনের মেয়ে ও প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের ভাগ্নী মাহমুদা (৪০) বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্ধা তার মামী উম্মে হাবিবা বিন্দু (২৬), মামীর বাবা বাবুল (৫০) ও মামীর মা সখি (৪৫) সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামী করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগে মাহমুদা উল্লেখ করেন, গত ৯বছর পূর্বে আমার মামার সাথে উম্মে হাবিবা বিন্দুর বিবাহ হয়। আমার মামার পরিবারে ২টি পুত্র সন্তান আছে। আমার মামা একজন প্রবাসী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী হওয়ার সুবাদে বিবাদীরা আমার মামার টাকা বিভিন্ন ভাবে অপচয় করিত। গত ৫বছর পূর্বে বিবাদী বাবুল আমার মামার কাছ থেকে জমি ক্রয় ও ব্যবসায়ীক কারণে হাওলাত বাবদ ৩৫ লাখ টাকা নিয়ে যায়।

গত ৩ বছর পূর্বে আমার মামা দেশে এসে তার স্ত্রী বিন্দুর কাছে উক্ত টাকা দাবি করলে তিনি ক্ষীপ্ত হয়ে আমার মামাকে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করিতে থাকে। এসময় আমার মামা উক্ত বিষয়টি তার শ্বশুর বাবুলকে জানাইলে তারা উক্ত টাকা দিব-দিচ্ছি বলে টালবাহানা করতে থাকে।

এরই উপর ভিত্তি করে গত ২ মাস পূর্বে পুনরায় আমার মামা তার শ্বশুরের কাছে টাকা দাবি করলে তিনি উক্ত টাকা দিবে না মর্মে জানায়। এমনকি আমার মামাকে জানায় আমার মামা যদি সিদ্ধিরগঞ্জের তাঁতখানা এলাকার গোদনাইল মৌজাস্থিত ৬তলা বিশিষ্ট বাড়িটি তার স্ত্রীর নামে লিখিয়া না দেয় তাহলে তাকে বড় ধরণের ক্ষতি সাধন করবে।


অভিযোগে মাহমুদা আরো উল্লেখ করেন, গত বুধবার আমার মামার শ্বশুর ও শ্বাশুড়ী সহ আরো ১০/১২ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গোদনাইল তাঁতখানা এলাকার আমার মামার বাড়ীতে প্রবেশ করে আমার মামার অজ্ঞাতসারে ভাংচুর চালায়।

এসময় উক্ত বাড়ীতে আমার খালা সালেহা (৫০) অবস্থানকালে তারা তাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। একপর্যায়ে তারা উক্ত বাড়ী তালা বদ্ধ করে চলে যায়। এসময় তারা আমার খালাকে জানায় আমার মামা যদি উক্ত বাড়ী তার স্ত্রীর নামে লিখিয়া না দেয় তাহলে তারা আমার মামাকে জানে মারিয়া ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযোগের তদন্তকারী সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হাসান আলী জানান, দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। তবে বাড়িতে তালা দেয়ার বিষয়ে নিজামের স্ত্রী বিন্দু ও তার শ্বশুর বাবুলকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তারা অস্বীকার করেছে। যেহেতু বিষয়টি পারিবারিক তাই উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিলে দিনে দুপুরে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই
  • সিদ্ধিরগঞ্জে প্রবাসী স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর তালা