নতুন করে কেউ স্বেচ্ছাচারিতা করবে, এটা হবে না: সারজিস
Published: 20th, October 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, ‘‘আগামীর নির্বাচন কখন, কীভাবে, কতটুকু গ্রহণযোগ্যভাবে হবে; এটা নির্ধারণ করবে দেশের মানুষ। নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে তারা করবে, এটা ভুল। এই মানুষের সামনে আবার কেউ নতুন করে স্বেচ্ছাচারিতা করবে, এটা হবে না।’’
বগুড়ায় এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ সব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় সারজিসের অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণ
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া নির্বাচন হলে সরকার শহীদ পরিবারের মুখোমুখি হবে
সারজিস আলম বলেন, ‘‘পিআরের বিষয় সামনে রেখে জামায়াত এত বড় একটা আন্দোলনের ডাক দিল, মাঠে নামল; অথচ পিআরের বিষয়ে জুলাই সনদে কিছু লেখা নেই। জুলাই সনদেরই আইনগত ভিত্তি নেই অথচ সেটাতে স্বাক্ষর করে চলে আসলেন। এটা তো জামায়াতের শক্তিশালী অবস্থানের সঙ্গে আরো শক্তিশালী দ্বিচারিতা। এটা তো তাদের কাছে কখনো প্রত্যাশিত ছিল না।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের জায়গা থেকে চাই, রাজনৈতিক দলগুলো, যাদের কাছে মানুষ অনেক আশা রাখে; তাদের কাছে এমন কথাটাই প্রত্যাশা করে, যেটার উপর তারা অটল থাকতে পারবে। আমরা আশা করি, তাহলেই আগামীর বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সকল রাজনৈতিক দলের উপরে মানুষের আস্থা থাকবে।’’
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘‘এককভাবে দেশের রাজনীতিতে কেউ শক্তিশালী না। আগামীতে আওয়ামী লীগ এবং আধিপত্যবাদ প্রশ্নে বিএনপি কিংবা জামায়াত কেউ এককভাবে দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। এনসিপির শক্তিশালী প্রতিনিধিত্ব রাজপথে যেমন লাগবে, সংসদেও প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে আমরা সাংগঠনিকভাবে শক্তিমত্তা বৃদ্ধির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’’
সারজিস আলম বলেন, ‘‘আগামীর বাংলাদেশের সংসদে তরুণরা যদি প্রতিনিধিত্ব না করে তাহলে গতানুগতিক যে কালচার, এগুলোর পরিবর্তন সম্ভব নয়। ওই আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে যারা কাজ করবে, যারা জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করবে, যারা খুনিদের বিচারের জন্য আজ থেকে ৫ বছর পরও কাজ করবে; তাদের সঙ্গে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে যে কোনো পরিস্থিতিতে কাজ করব।’’
এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দেওয়ার নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে কথা বলেন সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘‘আমরা খুব করে চাই, স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশন তার মেরুদণ্ড সোজা রাখুক। নির্বাচন কমিশন যদি চায়, শাপলা প্রতীক এনসিপিকে দিতে পারে। এরপরও আমাদের সঙ্গে স্বেচ্ছাচারী আচরণ করা হচ্ছে। এই আচরণ যদি এখনো করে, আগামী নির্বাচনে এই নির্বাচন কমিশনের উপর এনসিপি আস্থা রাখবে না।’’
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির রাজশাহী বিভাগ সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন, সংগঠক ডা.
ঢাকা/এনাম/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এনস প জ ল ই সনদ এনস প র ক জ করব ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
স্বাধীন দেশে আমরা ছিলাম পরাধীন: ফয়জুল করীম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘‘১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলেও বিগত সরকারের আমলে স্বাধীন দেশে আমরা ছিলাম পরাধীন। চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর আশা করেছিলাম, দেশ সঠিক পথে এগোবে। কিন্তু, আজকের বাস্তবতায় সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হচ্ছে না।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমরা পাঁচ দফা দাবির মাধ্যমে আন্দোলন শুরু করেছি। ৩১টি দল ঐক্যমত্য কমিশনে অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে, ২৫টি দল পিআরের পক্ষে মত দিয়েছে এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দাবি করেছেন। রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে ঐক্যমত হওয়া ৮৪টি বিষয়ে তালবাহানা না করে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে।’’
সোমবার (২০ অক্টোবর) নোয়াখালী জেলা জামে মসজিদ চত্বরে ইসলামী আন্দোলন নোয়াখালী জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ফয়জুল করীম বলেন, ‘‘৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে কেউ (শেখ হাসিনা) সরকার গঠন করে। তারপর সংবিধানকে নিজেদের খেলার মাঠ বানায়। এটা চলতে পারে না। ৪০ শতাংশ ভোটের সরকার হলে বাকি ৬০ শতাংশ ভোটের মূল্য কোথায়?’’
তিনি বলেন, ‘‘আগামীতে পরীক্ষিত দুর্নীতিবাজ, খুনি ও জুলুমবাজদের ক্ষমতায় নেওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগ নিজেদের দেশের মালিক আর জনগণকে তাদের দাস মনে করত। তাদের অপশাসনের বিরুদ্ধে কথা বললেই গুম, খুন করেছে। দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে আছে জানিয়ে জনগণকে মিথ্যে গল্প শুনিয়েছে। অথচ দেশের কোনো ব্যাংকে টাকা নেই। সব টাকা তারা পাচার করেছে। বৈদেশিক ঋণের চাপে দেশের অগ্রযাত্রা থমকে যাচ্ছে।’’
ঢাকা/সুজন/রাজীব