বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন সেবা নগদ গত মাসে (অক্টোবর ২০২৫) মাসিক সর্বোচ্চ লেনদেনের নতুন রেকর্ড করেছে। শেষ হওয়া এই মাসে প্রতিষ্ঠানটি ৩৪ হাজার ৭০৫ কোটি টাকার বেশি লেনদেন করেছে। এই অসামান্য অর্জন উপলক্ষে কয়েক কোটি নিবন্ধিত গ্রাহকের বিশাল পরিবারের সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে নগদ কর্তৃপক্ষ।

যাত্রা শুরুর পরপরই গ্রাহকপ্রিয় মোবাইল আর্থিক সেবা হিসেবে বাজারে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে নগদ। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকসংখ্যা ও লেনদেন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ মাসে প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ লেনদেনের অঙ্ক পার করল। এর আগে চলতি বছরের মার্চে একবার মাসে ৩৪ হাজার কোটি টাকার লেনদেনের অঙ্ক ছুঁয়ে যায় নগদ। তারও আগে ২০২৪ সালের জুন মাসে একবার নগদের মাধ্যমে ৩২ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের সামগ্রিক ডিজিটাল লেনদেন নতুন উচ্চতায় তুলে আনার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখছে নগদ।

নগদের রেকর্ড গড়া এই লেনদেনের ক্ষেত্রে সরকারি ভাতা বিতরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। অক্টোবর মাসে নগদের মাধ্যমে সমাজসেবা ও মহিলা অধিদপ্তরের প্রায় ৭৯ লাখ মানুষের মধ্যে ভাতা বিতরণ করেছে নগদ। তা ছাড়া উল্লেখযোগ্য লেনদেনের মধ্যে ছিল ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, সেন্ড মানি, পেমেন্ট এবং মোবাইল রিচার্জ।

সর্বোচ্চ লেনদেনের এই মাসে এক দিনে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ১৫ অক্টোবর। এদিন নগদের গ্রাহকেরা মোট ১ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকার লেনদেন করেছেন।

নতুন এই মাইলফলক অর্জন সম্পর্কে নগদের প্রশাসক মো.

মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, ‘সাফল্য কখনোই ঘটনাচক্রে আসে না। এটি সবার যৌথ পরিশ্রম ও প্রচেষ্টার ফসল। তা ছাড়া সবাই যখন একই লক্ষ্য ও একই মূল্যবোধ ধারণ করে কাজ করে, তখন শ্রেষ্ঠত্বের জন্য লড়াই করাটাও সহজ হয়।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল নদ ন র নগদ র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ