লাল টুকটুকে অপুর নজরকাড়া কয়েকটি লুক
Published: 28th, January 2025 GMT
ইদানিং নজরকাড়া একাধিক লুকে দেখা যাচ্ছে জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাসকে। অপু বিশ্বাস হঠাৎ লাল টুকটুকে সাজে দেখা দিলেন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একাধিক স্থিরচিত্র পোস্ট করেছেন তিনি। হঠাৎ এমন সাজে চমকে গেছেন ভক্তরা।
এই নায়িকাকে একেবারে আবেদনময়ী লুকে দেখা গেছে। গাঢ় লাল গোলাপের পাপড়ির মতো ঠোঁটের লিপস্টিক। চোখের মনিতে বাদামি রঙ ফুটে উঠেছে। আর আইলাইন ছুঁয়ে গেছে সাদা কাজল। চোখের ওপরের পাপড়িতে কালো গাঢ় মাশকারা। চোখের কোনা বেয়ে সামান্য দূরে এগিয়েছে কাজলের উইং শেপ।
আরো পড়ুন:
পাঁচ মিনিটে মেকআপ করার উপায়
ডাবল চিনের সমস্যা দূর করার উপায়
অপু বিশ্বাসের কানে শোভা পাচ্ছে এক পাথরের টপ। দুই গালে ছুঁইয়ে দেওয়া হয়েছে হালকা ব্লাশ। ভ্রু যুগল সাজানো হয়েছে কাজলে। অপুর বড় বড় নখে শোভা পাচ্ছে সাদা নেইল পলিশ। অনামিকায় পরেছে আংটি। আর গলায় চিকন চেইন। চুলগুলো ব্যাকব্রাশ করে আটকে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে আবেদনময়ী রূপে দেখা দিয়েছেন ঢালিউড কুইন।
ফুলস্লিভ লাল পোশাকে অপুকে সাহসী দেখাচ্ছে। তাকে এই রূপে সাজিয়ে দিয়েছে ‘ফেস বাই সালেহা’। স্টাইলিংয়ে ‘কাদরী’। অপু পরেছেন ‘সেলিব্রেটি চয়েস’-এর পোশাক। ফটোগ্রাফীতে ছিলেন মোবারক ফয়সাল।
অপুর পোস্টের নিচে মন্তব্যের ঘরে একজন লিখেছেন, লাল ড্রেসে একটা পরী রূপে লাগছে। আরেকজন লিখেছেন, আজকে উরাধুরা সাপোর্ট হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন অপু বিশ্বাস। প্রথম চলচ্চিত্র ছিল আমজাদ হোসেনের পরিচালনায় ‘কাল সকালে’।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।