Risingbd:
2025-05-01@09:52:48 GMT

ইফতেখারে ‘মুখ রক্ষা’ রংপুরের

Published: 29th, January 2025 GMT

ইফতেখারে ‘মুখ রক্ষা’ রংপুরের

ব্যাটিংয়ে আবারও বিপর্যয়ে রংপুর রাইডার্স। চিটাগং কিংসের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে তাদের রান ৬৮। সেখান থেকে তারা কতদূর যেতে পারে তা নির্ভর করছিল ইফতেখার আহমেদের ওপর। পাকিস্তানের অভিজ্ঞ স্পিন অলরাউন্ডার দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে লড়লেন শেষ পর্যন্ত। তাতে রংপুর রাইডার্স পেয়েছে গড়পড়তা সংগ্রহ।

ইফতেখার আহমেদের ৪৭ বলে ৬৫ রানের হার না মানা ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেটে ১৪৩ রান তুলেছে রংপুর। ৭ চার ও ৩ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ইফতেখার। এছাড়া তার সঙ্গে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন মাহেদী হাসান। ২০ বলে ৩ চারে ২২ রান করেন তিনি। দুজন ষষ্ঠ উইকেটে ৪৭ বলে ৭৫ রান করেন। তাতে মাথা তুলে দাঁড়ানোর শক্তি পেয়েছে বিপিএলের সাবেক শিরোপাধারীরা।

ইনিংসের প্রথম ওভারটিই ছিল মেডেন। শ্রীলঙ্কান পেসার বিনুরা ফার্নান্দোর ওভার থেকে কোনো রান নিতে পারেননি স্টিভেন টেইলর। বাঁহাতি ওপেনার দ্বিতীয় ওভারে ফেরেন সাজঘরে। পেসার শরিফুল ইসলাম তার উইকেট উপচে ফেলেন।

আরো পড়ুন:

ইমন-বিনুরাকে নিয়ে রংপুরের বিপক্ষে বোলিংয়ে চিটাগং

দুর্নামের দায়ভার নিল বিসিবি, নজরদারিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা 

আরেক ওপেনার সৌম্য জীবন পাওয়ার পরও ভালো করতে পারেননি। ১৭ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৩ রান করেন। শরিফুলকে তিনে নামা সাইফ পরপর দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ভালো শুরু করেছিলেন। কিন্তু ওই রানেই থেমে যেতে হয় তাকে। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের সংগ্রামী ইনিংস শেষ হয় বাজে শটে। ২১ বলে মাত্র ৯ রান করেন তিনি।

ইরফান শুক্কুর পারেননি সুযোগটি কাজে লাগাতে। ২ বলে ১ রান করে শামীমের বলে এলবিডব্লিউ হন। ১২.

২ ওভারে পথ ভোলা রংপুরকে সেখান থেকে শেষ পর্যন্ত টেনে নেন ইফতেখার ও মাহেদী। তাদের ব্যাটেই বলার মতো পুঁজি পেয়েছে রংপুর। বোলাররা তাদের জয়ে স্বাদ দিতে পারেন কিনা সেটা সময় বলবে।

ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল র ন কর ন ইফত খ র উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।  

প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।  কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।

মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।

নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ