সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে টাকা নিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ভোটার করার অভিযোগে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয়ত্রপত্র (এনআইডি) নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর। 

আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান তিনি। এ সময় এনআইডি উইংয়ের কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসনানুজ্জামান, তকদিন আহমেদ, জনসংযোগ পরিচালক মো.

শরিফুল আলম ও সহকারী পরিচালক আশাদুল হক উপস্থিত ছিলেন।

বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন-উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান ও নির্বাচন অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর জুবায়ের।

ইসি মহাপরিচালক হুমায়ুন কবীর বলেন, শুধু জগন্নাথপুর উপজেলায় স্থানীয়দের বায়োমেট্রিক তথ্য ব্যবহার করে ১০৬ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে অবৈধভাবে ভোটার করার চেষ্টা হয়েছে। জনপ্রতি লাখ টাকার ওপরে অবৈধভাবে লেনদেন হয়েছে। তারা বাংলাদেশি নাগরিক হলেও প্রবাসে থাকেন। তাদের অনেকের ভুয়া বায়োমেট্রিক ও আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে। ঢাকা থেকে এনআইডি উইংয়ের একটি তদন্ত দল জগন্নাথপুরে গিয়ে সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ প্রমাণ পেয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপরই বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বাকিদের অজ্ঞাতপরিচয়ে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।‌ 

তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের অনিয়ম নিয়ে কঠোর অবস্থানে নির্বাচন কমিশন। অনিয়ম করলে কর্মকর্তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না। মানুষের ভোগান্তি কমাতে কাজ করছে কমিশন। এনআইডি সংশোধনে আরও সচেষ্ট হয়ে কাজ কার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। 

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, সারাদেশে ২০ জানুয়ারি থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ কাজ। 

এনআইডি ডিজি বলেন, ইতিমধ্যে গত ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৭ লাখ ৭ হাজার ৫৭০ জনের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়, আমাদের তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। এ কাজের সবার সহযোগিতা চান তিনি।  

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর মকর ত বরখ স ত বরখ স ত উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক

শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা  আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। 

আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন। 

আরো পড়ুন:

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি

৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন 

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।

শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”

আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টিউলিপ এখনো বাংলাদেশের ভোটার, আছে পাসপোর্ট–এনআইডিও
  • টিউলিপ এখনো বাংলাদেশের ভোটার, আছে পাসপোর্ট, এনআইডিও
  • শেখ হাসিনার পরিবারের ১০ সদস্য ভোট দিতে পারবেন না: ইসি সচিব
  • শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক