টিকটক করায় মেয়েকে গুলি করে হত্যা
Published: 29th, January 2025 GMT
টিকটক ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করায় পাকিস্তানে কিশোরীকে গুলি করে হত্যা করেছে বাবা। মঙ্গলবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কোয়েটার একটি রাস্তায় এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে বুধবার জানিয়েছে এএফপি।
পুলিশ কর্মকর্তা বাবর বালুচ জানিয়েছেন, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পরিবারকে পাকিস্তানে ফিরিয়ে এনেছিলেন আনোয়ার উল-হক নামের এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছিলেন, অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা তার আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারী ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে গুলি করে হত্যা করেছে। তার বর্ণনায় সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। বুধবার তিনি স্বীকার করেছেন যে তিনি তার কিশোরী মেয়েকে টিকটক কন্টেন্ট তৈরি করতে নিষেধ করেছিলেন। আদেশ না মানায় তিনি মেয়েকে গুলি করে হত্যা করেছেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা জোহাইব মহসিন বলেন, “আমাদের তদন্তে এখনো পর্যন্ত দেখা গেছে যে পরিবারের সদস্যরা মেয়েটির পোশাক, জীবনযাত্রা এবং সামাজিক যোগাযোগের প্রতি আপত্তি জানিয়েছিলেন। আমাদের কাছে তার ফোন আছে। আমরা অনার কিলিং (সম্মান রক্ষার্থে হত্যা) সহ সব দিক তদন্ত করছি।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের
গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত ও শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। একই সঙ্গে তারা বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবিও জানায়।
মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা, নির্বাহী সদস্য আফজাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য ও বোম্বে সুইটস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রতন মিয়া প্রমুখ।
সমাবেশে নেতারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে গার্মেন্টস উইংয়ের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এবং রিকশা শ্রমিকদের রুটি–রুজির আন্দোলনে সংহতি জানানোর অপরাধে চট্টগ্রামে রিকশা সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি আল কাদেরি জয়, মিরাজ উদ্দিন ও রোকন উদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা শ্রমক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়ন করবে।
এ সময় নেতারা শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হচ্ছে কি না, তা জানতে চান। তাঁরা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া বন্ধ না হলে, শ্রমিকের ওপর নিপীড়ন বন্ধ না হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র পরিচালনা বা বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি শ্রমজীবী মানুষের কাছে প্রতারণা হিসেবে পরিগণিত হবে।
মে দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮৫ শতাংশ শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রম খাতের দুর্দশার যে ভয়ানক চিত্র ফুটে উঠেছে, তা প্রমাণ করে স্বাধীনতা–পরবতী প্রতিটি সরকার শ্রম শোষণকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
এ সময় গ্রেপ্তার সব শ্রমিকের মুক্তি, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং মে দিবসের প্রকৃত চেতনায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা।