১৭ লাখের বেশি ভোটারের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ
Published: 29th, January 2025 GMT
দেশে গত এক সপ্তাহে ১৭ লাখ ৭ হাজার ৫৭০ জন নতুন ভোটারের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সারাদেশে তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। ভোটার তালিকা হালনাগাদের এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে গত ২০ জানুয়ারি, যা চলবে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
জাতীয় পরিচয়ত্রপত্র (এনআইডি) নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর এসব তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের অনিয়ম নিয়ে কঠোর অবস্থানে নির্বাচন কমিশন। অনিয়ম করলে কোনো কর্মকর্তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। মানুষের ভোগান্তি কমাতে কাজ করছে কমিশন। এনআইডি সংশোধনে আরও সচেষ্ট হয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্ম নেওয়া নাগরিক কোনো কারণে বাদ পড়লে নির্ভুল তথ্য ও কাগজপত্র দিয়ে ভোটার হতে হবে। তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হলে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ছবি তুলে নিবন্ধন সম্পন্নের কাজ শুরু হবে, যা চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ দু’জন বরখাস্ত
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে টাকা নিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ভোটার করার অভিযোগে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান মহাপরিচালক। গ্রেপ্তার দু’জন হলেন– উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান ও নির্বাচন অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর জুবায়ের।
ইসি মহাপরিচালক বলেন, শুধু জগন্নাথপুর উপজেলায় স্থানীয়দের বায়োমেট্রিক তথ্য ব্যবহার করে ১০৬ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে অবৈধভাবে ভোটার করার চেষ্টা হয়েছে। জনপ্রতি লাখ টাকার ওপরে অবৈধভাবে লেনদেন হয়েছে। তারা বাংলাদেশি নাগরিক হলেও প্রবাসে থাকেন। তাদের অনেকের ভুয়া বায়োমেট্রিক ও আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে। ঢাকা থেকে এনআইডি উইংয়ের একটি তদন্ত দল জগন্নাথপুরে গিয়ে সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ প্রমাণ পেয়েছে। বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এনআইডি অনুবিভাগের কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসনানুজ্জামান, তকদিন আহমেদ, জনসংযোগ পরিচালক মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক
শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা।
আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন।
আরো পড়ুন:
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি
৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।
শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”
আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ