আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘোষণার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
Published: 30th, January 2025 GMT
ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘোষণার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীর।
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টায় মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।
এসময় তারা ‘দিয়েছি তো রক্ত- আরো দেব রক্ত', ‘খুনি লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না', ‘বিচার চাই বিচার চাই, খুনি হাসিনার বিচার চাই' এমন নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
সমাবেশে মুহসিন হলের শিক্ষার্থী নোমান বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শহীদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এই সরকারের কাজ ছিল খুনিদের বিচার কার্যক্রম করা। কিন্ত তারা তা করে নাই। এখন আবার আওয়ামী লীগ রাজপথে কর্মসূচি দিয়েছে। দ্রুত এই সরকার যেন গণআদালতে তাদের বিচার কার্যকর করে সেই আহ্বান জানাই।”
সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থী আজিজুল ইসলাম বলেন, “জুলাই বিপ্লবে আমার ২ হাজারেরও অধিক ভাই-বোনদের রক্ত ঝরেছে। তার দাগ এখনো শুকায় নাই। এরপরও তারা কীভাবে বাংলাদেশে কর্মসূচি দেয় তা অবাক করার বিষয়।”
এ এফ আর হলের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান আল ফাহাদ বলেন, “সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ আমার ভাই-বোনদের নির্যাতন করে ক্যাম্পাস ছাড়া করেছিল তারা আবার আগুন সন্ত্রাসের খেলা করার জন্য প্রকাশ্য দিবালোকে কর্মসূচি দিয়েছে। অনতিবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে।”
এ সময় তিনি আওয়ামী লীগকে জুলাই গণহত্যার দায়ে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি তোলেন।
গত ২৮ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
মোট ১০টি দাবিতে আগামী ১ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হরতাল অবরোধসহ ৫ ধরনের কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
তাদের কর্মসূচিগুলো হলো—১ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে লিফলেট বা প্রচারপত্র বিলি, ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ, ১০ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ, ১৬ ফেব্রুয়ারি অবরোধ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক কঠোর হরতাল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ অন্যান্য মামলা প্রত্যাহার এবং 'প্রহসনমূলক বিচার' বন্ধেরও দাবি জানানো হয়।
দলের পক্ষ থেকে এর আগে গত ১০ নভেম্বর রাস্তায় নামার ঘোষণা দিয়েও নামতে পারেনি আওয়ামী লীগ।
এমন অবস্থার মধ্যেই মঙ্গল হরতাল, অবরোধ, সমাবেশ ও বিক্ষোভের ডাক দিলো আওয়ামী লীগ।
যদিও ৫ অগাস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের কোথাও দলটির সক্রিয় কোন কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি। দলটির বেশিরভাগ শীর্ষ নেতাই দেশের বাইরে, পলাতক অথবা কারাগারে রয়েছেন। গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে যাওয়ার পর থেকে সেখানেই রয়েছেন।
ঢাকা/সৌরভ/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫