কাজের চেয়ে ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ নিয়েই বেশি চর্চিত নাম  চিত্রনায়িকা পরীমণি। সম্প্রতি মামলা ও প্রেম নিয়ে আবারও নেটিজেনদের আলোচনায় তিনি।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) মারধর, হত্যাচেষ্টা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা মামলায় জামিন পান পরী।  সেই জামিননামায় স্বাক্ষর করা দু’জন জামিনদার হলেন অভিনেত্রীর আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত ও তরুণ সংগীতশিল্পী শেখ সাদী। আদালতে শুরু থেকেই পরীর পাশে ছিলেন সাদী। এতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর রটে পরীমণির সঙ্গে প্রেম করছেন এই তরুণ গায়ক। সব মিলিয়ে, বেশ কঠিন সময় পার করছেন ‘স্বপ্নজাল’খ্যাত এই চিত্রনায়িকা। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) নায়িকার এক ফেসবুক পোস্ট সেই ইঙ্গিত দেয়। 

পরী মণি লিখেছেন, ‘আজ কোনো এক কারণে নিজেকে নিজের মতো করে অনেকগুলো প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করল আমার। নিজের সঙ্গে কথোপকথন হলো খুব। নিজেকে আক্রমণাত্মক প্রশ্ন করলাম সবগুলোই।’

নিজেকে করা প্রশ্নগুলো তুলে ধরে তিনি লেখেন—

১। পরী, আপনি কর্মজীবনে কি এমন কাজ করেছেন বলে মনে করেন যার জন্য সাধারণ জনগণের আপনাকে নিয়ে এত মাতামাতি? বা পাশাপাশি গণমাধ্যমে আপনাকে নিয়ে এত সম্প্রচার কেন হয় বলে মনে করেন?

২। আপনার কাজের থেকে লোকে আপনার ব‍্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে কেন পছন্দ করে?

৩। আপনার আগের জেনারেশনের থেকেও যদি আরও একটু আগে চলে যাই, যেমন- শাবানা, ববিতা, কবরী, রোজিনাদের আমলে কি তারা তাদের কাজ নিয়ে যতটা ফোকাসে থাকতেন ততটা কি তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ফোকাসে থাকতেন?

যোগ করে তিনি আরও লেখেন, ‘নিজেকে থামিয়ে দিলাম এ রকম হাজারও প্রশ্নের থেকে। কারণ, জীবনে কখনও কখনও নিজের কর্ম অবস্থানের থেকে খুব বেশি জরুরি হয়ে পড়ে ওই জীবনটা। প্রত্যেকটা জীবনের অধিকার আছে সুন্দর করে বেঁচে থাকার। আমার প্রথম অনুরোধ, প্লিজ এবার একটু ছেড়ে দেন আমাকে। আমার কাজের বাইরে আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আর টানাটানি কইরেন না আল্লার ওয়াস্তে।’

নায়িকা বলেন, ‘বিশ্বাস করেন এখানে আমার জীবনটাই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এখন। আমার সাকসেসফুল ক্যারিয়ারের থেকেও জরুরি আমার সুস্থ জীবন-যাপনের। কারণ আমার বাচ্চাদের আমি একটা সুন্দর সুস্থ জীবন দিতে চাই। আমি আমার বাচ্চাদের মা/একমাত্র অভিভাবক হয়ে আমি তার সর্বোচ্চটা দিতে চাই। যেমন করে হয়তো সব মায়েরাই চায়!

গত তিন/চারটা মাস আমার জীবনের সব থেকে কঠিন সময় পার করেছি আমি। কেন/কী জন্যে সেটার ডেসক্রিপশনটা দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে ধরে নিচ্ছি।’

মানুষের কাছে প্রার্থনা জানিয়ে নায়িকা বলেন, ‘আমি নায়িকা, আমি মেয়ে, সবকিছু ছাড়িয়ে আমি মানুষ। আমি এই পৃথিবীর সমস্ত মানুষের কাছে প্রার্থনা করছি—হে মানুষ, হে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণ, তোমরা আমার ওপর এবার একটু রহম কর। আগে আমি সুন্দর করে একটু বাঁচি তারপর এমন হাজারও প্রশ্নের উত্তর দেব।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ জিসানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের ক্ষুদে ফুটবলার জিসানের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। স্থানীয়রা ফুটবলে জিসানের দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে তাকে ‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ বলে ডাকেন। 

তারেক রহমানের পক্ষে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জিসানের গ্রামের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। তিনি জিসানের বাবা ও এলাকাবাসীকে এ খবরটি জানিয়ে আসেন।

উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের অটোরিকশাচালক জজ মিয়ার ছেলে জিসান। মাত্র ১০ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান ফুটবলারের অসাধারণ দক্ষতার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। স্থানীয় চর ঝাকালিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র সে। 

কখনও এক পায়ে, কখনও দু’পায়ে, কখনও পিঠে ফুটবল রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কসরত করে জিসান। দেখে মনে হবে, ফুটবল যেনো তার কথা শুনছে। এসব কসরতের ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

অনলাইনে জিসানের ফুটবল নৈপুণ্য দেখে মুগ্ধ হন তারেক রহমান। তিনি জিসানের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার পক্ষে গতকাল সোমবার বিকেলে জিসানের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। 

জিসানকে উপহার হিসেবে বুট, জার্সি ও ফুটবলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তুলে দেন তিনি। এছাড়া জিসানের পরিবারকে আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়।

জিসানের ফুটবল খেলা নিজ চোখে দেখে মুগ্ধ আমিনুল হক বলেন, “জিসান ফুটবলে ন্যাচারাল ট্যালেন্ট। তারেক রহমান জিসানের প্রশিক্ষণ, লেখাপড়া ও ভবিষ্যতের সকল দায়িত্ব নিয়েছেন। তাছাড়া প্রতিমাসে জিসানের লেখাপড়া, ফুটবল প্রশিক্ষণ ও পরিবারের ব্যয়ভারের জন্য টাকা পাঠানো হবে।”

জিসান জানায়, মোবাইলে ম্যারাডোনা, মেসি ও রোনালদোর খেলা দেখে নিজেই ফুটবলের নানা কৌশল শিখেছে। নিজ চেষ্টায় সে এসব রপ্ত করেছে।

জিসানের বাবা জজ মিয়া বলেন, “আমি বিশ্বাস করতাম, একদিন না একদিন কেউ না কেউ আমার ছেলের পাশে দাঁড়াবে। আজ আমার সেই বিশ্বাস পূর্ণ হয়েছে।”

ঢাকা/রুমন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর  করতে ডায়েটে যে পরিবর্তন আনতে পারেন
  • অনুষ্ঠান করে স্ত্রীকে বিয়ে দিলেন স্বামী
  • ‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ জিসানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান