পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২১টি কোম্পানি পরিচালনা পর্ষদ চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৪) ও অর্ধবার্ষিক (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলোচ্য প্রন্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে।

কোম্পানিগুলো হলো— জেএমআই সিরিঞ্জ, মতিন স্পিনিং,ডমিনেজ স্টিল, ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইং ইন্ডাস্ট্রিজ, আমান কটন, এনভয় টেক্সটাইল, লিগ্যাছি ফুটওয়্যার, স্টাইল ক্রাফট, ড্রাগন সোয়েটার, অগ্নি সিস্টেমস, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, খুলনা পাওয়ার, এমজেএল বাংলাদেশ, কোহিনুর কেমিক্যাল, মনোস্পুল পেপার, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং, কেডিএস এক্সেসরিজ, নাভানা ফার্মা, বিকন ফার্মা, বঙ্গজ ও এপেক্স স্পিনিং।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে, বুধবার (২৯ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।

জেএমআই সিরিঞ্জ: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১.

৭১ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.১৫ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ১০৪০ শতাংশ।

মতিন স্পিনিং: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২.৬১ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.৫৮ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ৩৫০ শতাংশ।

ডমিনেজ স্টিল: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.০৯ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.০২ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ৩৫০ শতাংশ।
 
ফারইস্ট নিটিং: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৭৩ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল (০.৩২) টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ৩২৮ শতাংশ।

আমান কটন: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.১৩ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.০৫ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ১৬০ শতাংশ।
 
এনভয় টেক্সটাইল: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৩.৫৮ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ১.৪৫ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ১৪৭ শতাংশ।
 
লিগ্যাছি ফুটওয়্যার: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.০১ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল (০.১২) টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ১০৮ শতাংশ।

স্টাইল ক্রাফট: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.০৭ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল (২.৫৮) টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ১০৩ শতাংশ।

ড্রাগন সোয়েটার: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৩৪ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.১৮ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ৮৯ শতাংশ।
 
অগ্নি সিস্টেমস: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৯২ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.৫৮ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ৫৯ শতাংশ।
 
আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১.৫০ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.৯৮ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ৫৩ শতাংশ।

খুলনা পাওয়ার: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.০৮ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.০৪ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ৫০ শতাংশ।
 
এমজেএল বাংলাদেশ: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৬.৬৬ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ৫.০১ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ৩৩ শতাংশ।
 
কোহিনুর কেমিক্যাল: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৭.৫৬ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ৬.০৬ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ২৫ শতাংশ।
 
মনোস্পুল পেপার: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৭২ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.৬১ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ১৮ শতাংশ।
 
ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৭৩ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.৬৩ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ১৬ শতাংশ।

কেডিএস এক্সেসরিজ: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১.০৫ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.৯১ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ১৫ শতাংশ।

নাভানা ফার্মা: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২.২৫ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ২.০৯  টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ৮ শতাংশ।

বিকন ফার্মা: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৩.৪৭ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ৩.২৫  টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ৭ শতাংশ।

বঙ্গজ: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.১৫ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.১৪  টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ৭ শতাংশ।

এপেক্স স্পিনিং: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২.০১ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ১.৯১ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ৫ শতাংশ।

ঢাকা/এনটি/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ম প ন ট র চলত

এছাড়াও পড়ুন:

১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা ৫ বছরে, অস্ট্রেলিয়ার বিনোদন বাজার বাড়ছে

অস্ট্রেলিয়ার ভিডিও স্ট্রিমিং বাজার আগামী ছয় বছরে রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে। মিডিয়া পার্টনার্স এশিয়ার (এমপিএ) সাম্প্রতিক গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০৩০ সাল নাগাদ দেশটির ভিডিওশিল্পের আয় দাঁড়াবে ১২ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে এই বাজারের ৬২ শতাংশই দখল করে আছে অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলো।
গবেষণা তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার মোবাইল ও কানেক্টেড টিভি ব্যবহারকারীরা মোট ৭ দশমিক ১ বিলিয়ন মিনিট ভিডিও কনটেন্ট স্ট্রিম করেছেন। এর মধ্যে এককভাবে সবচেয়ে বেশি ৩৩ শতাংশ দখল করে আছে গুগলের মালিকানাধীন ইউটিউব। বৈশ্বিক স্ট্রিমিং জায়ান্ট নেটফ্লিক্স রয়েছে চতুর্থ স্থানে। দেশীয় প্রতিষ্ঠান ফক্সটেল ও নাইন এন্টারটেইনমেন্ট যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান ধরে রেখেছে।

ভ্যারাইটির এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই খাতের বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। এই সময়কালে অনলাইন ভিডিওর বাজার অংশীদারত্ব ৩২ থেকে বেড়ে ৬২ শতাংশে পৌঁছেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অস্ট্রেলিয়ার ৮২ শতাংশ পরিবারে কানেক্টেড টিভির উপস্থিতি এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট–সুবিধা এই প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করছে।

কথা হয় সিডনিতে ফক্সটেল গ্রুপের সফটওয়্যার কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্সের প্রধান নির্বাহী বাংলাদেশি যুবক ইফতেখারুল আলমের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্ট্রিমিং এখন শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি অস্ট্রেলিয়ানদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। আগামী দিনগুলোতে আরও উন্নত প্রযুক্তির সম্প্রসারণ এই বাজারকে আরও গতিশীল করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ধীরে ধীরে বয়স্ক দর্শকেরাও এই পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছেন এবং অন ডিমান্ড কনটেন্ট দেখার সুবিধায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন, ফলে তাঁরা ঐতিহ্যবাহী আইপি বা স্যাটেলাইট টিভি থেকে সরে আসছেন। স্ট্রিমিং এখন শুধু সিনেমা বা টিভি সিরিজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, খেলাধুলার হাইলাইটস, স্পোর্টস শো ও লাইফস্টাইল প্রোগ্রামগুলোও দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ফক্সটেলে আমরা এই পরিবর্তনশীল দর্শক চাহিদা পূরণে আমাদের স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলোকে ক্রমাগত উন্নত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে সব ধরনের দর্শকই উচ্চমানের সুবিধাজনক বিনোদন উপভোগ করতে পারেন।’

ভ্যারাইটিকে মিডিয়া পার্টনার্স এশিয়ার (এমপিএ) নির্বাহী পরিচালক বিবেক কৌতোর ভাষ্যে, ‘অস্ট্রেলিয়ার বাজার বিশ্লেষণে আমরা দেখতে পেয়েছি যে গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের বিশাল ব্যবহারকারীকে ভিত্তি করে বিজ্ঞাপনভিত্তিক মডেলের মাধ্যমে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। তবে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রিমিয়াম স্পোর্টস কনটেন্ট এবং স্থানীয় প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে টিকে আছে।’
যদিও বাজার দ্রুত বাড়ছে, কিন্তু অর্থনৈতিক মন্দা এবং ভোক্তা খরচ কমে যাওয়ার মতো বিষয়গুলো এই প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা ৫ বছরে, অস্ট্রেলিয়ার বিনোদন বাজার বাড়ছে
  • বিদেশি ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ২৪ শতাংশ
  • চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে বিদেশি ঋণ শোধ ৩০০ কোটি ডলার ছাড়াল
  • তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফা কমেছে স্কয়ার ফার্মার
  • ৯ মাসে ১৪ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা
  • শিক্ষার মানোন্নয়নে জিডিপির ৪ শতাংশ বরাদ্দ প্রয়োজন
  • ২০২৭ সালের জুনের পর ‘করছাড়’ থাকবে না
  • ৯ মাসে জেএমআই সিরিঞ্জের মুনাফা বেড়েছে ২৩৬ শতাংশ
  • ৯ মাসে ৪,৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা ওয়ালটনের
  • যমুনা অয়েলের মুনাফা বেড়েছে ৩৮ শতাংশ