ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অভিনেত্রী সাই পল্লবী। সাধারণত রোমান্টিক-ড্রামা ঘরানার সিনেমায় বেশি দেখা যায় তাকে। ভার্সেটাইল অভিনয়শিল্পী হিসেবেও দারুণ খ্যাতি কুড়িয়েছেন।
সাই পল্লবী বেছে বেছে কাজ করে থাকেন। ২০১৮ সালে তার অভিনীত ৪টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল। কিন্তু তারপর আর এমনটা দেখা যায়নি। এখন বলা যায়, বছরে তার অভিনীত একটি সিনেমা মুক্তি পায়। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তার অভিনীত নতুন সিনেমা ‘থান্ডেল’। এরই মাঝে জানা গেল, পারিশ্রমিক বাড়িয়েছেন সাই পল্লবী।
সিয়াসাত ডটকমের তথ্য অনুসারে, “থান্ডেল’ সিনেমার জন্য ৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ কোটি ৯৯ লাখা টাকার বেশি) পারিশ্রমিক নিয়েছেন সাই পল্লবী। এ অভিনেত্রী তার অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘আমরণ’ সিনেমার জন্য পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন ৩ কোটি রুপি। এ হিসাব অনুযায়ী, প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে সাই পল্লবীর পারিশ্রমিক। এতে করে বোঝা যাচ্ছে, সাই পল্লবীর জনপ্রিয়তা, অভিনয় দক্ষতা এবং প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানার ক্ষমতাও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাণিজ্যিক সাফল্যের পরিবর্তে শক্তিশালী ভূমিকার উপর ভিত্তি করে সিনেমা বেছে নেন এই অভিনেত্রী।
আরো পড়ুন:
‘পুষ্পা থ্রি’ সিনেমার আইটেম কন্যা সাই পল্লবী নাকি জাহ্নবী?
সাই পল্লবীর সিনেমার আয় ৪০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে
‘থান্ডেল’ সিনেমায় নাগা চৈতন্যর বিপরীতে অভিনয় করছেন সাই পল্লবী। এটি পরিচালনা করছেন তরুণ পরিচালক চান্দু মন্ডেটি। সিনেমাটির আইটেম গানে দেখা যাবে এ জুটিকে। এতে ১ হাজার নৃত্যশিল্পীর সঙ্গে পারফর্ম করেছেন নাগা-সাই। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
তা ছাড়া হিন্দি ভাষার ‘রামায়ণ’ ও ‘এক দিন’ সিনেমার কাজ সাই পল্লবীর হাতে রয়েছে। নিতেশ তিওয়ারি পরিচালিত ‘রামায়ণ’ সিনেমায় সীতা চরিত্র্রে অভিনয় করছেন সাই পল্লবী। তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন বলিউড অভিনেতা রণবীর কাপুর। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের ৬ নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে এটি। অন্যদিকে ‘এক দিন’ সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন সাই পল্লবী।
২০০৫ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে পা রাখেন সাই পল্লবী। ২০১৪ সালে মালায়ালাম ভাষার ‘প্রেমাম’ সিনেমায় প্রথম কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন। এতে অভিনয় করে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জিতে নেন এই অভিনেত্রী। ২০১৭ সালে তেলেগু ভাষার ‘ফিদা’ সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের নজর কাড়েন সাই পল্লবী। তার পরের গল্প সবারই জানা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গজারিয়ায় পরিবারকে জিম্মি করে অর্ধলক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার একটি বাড়িতে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে স্বর্ণালংকারসহ অর্ধলক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা।
রবিবার (২ নভেম্বর) মধ্যরাত ৩টার দিকে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি দক্ষিণপাড়া এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ফজলুল হকের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
ভাড়া নেওয়ার কথা বলে বাসায় ঢুকে গৃহবধূকে বেঁধে ডাকাতি
বগুড়ায় বৃদ্ধাকে খুন করে ডাকাতি: গ্রেপ্তার ৪, টাকা উদ্ধার
ভুক্তভোগী সাথী বেগম বলেন, “রাত ১টার দিকে একটি শব্দ পেয়ে আমার ঘুম ভাঙে। সে সময় বিষয়টি সেভাবে আমলে নেইনি। রাত ৩টার দিকে উঠে তাহাজ্জুতের নামাজ পড়তে বসলে জানালার গ্রিল কেটে বাসার ভেতরে প্রবেশ করে দুই যুবক। তারা প্রথমে আমাকে, পরে আমার ছেলে সাবিদকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। পরে তারা আমাদের বিল্ডিংয়ের চারটি ফ্ল্যাটের প্রত্যেকটিতে একের পর এক লুট করতে থাকে। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে এই ডাকাতি।”
তিনি বলেন, “ডাকতরা নগদ ৩ লাখ টাকা, ৩২ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৯টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা আমাদের সবাইকে একটি রুমে আটকে রেখে বাহির থেকে তালা লাগিয়ে যায়।”
প্রত্যক্ষদর্শী সাবিদ বলেন, “জানালার গ্রিল কেটে রুমের ভেতরে প্রবেশ করে দুইজন। পরে ডাকাত দলের আরো ২২-২৩ জন সদস্য বাসার ভেতরে প্রবেশ করে। বাইরে আরো কয়েকজন পাহারায় ছিল। ডাকাত দলের অধিকাংশ সদস্যের মুখে মাস্ক ও গামছা ছিল। তারা অস্ত্রের মুখে আমাকে জিম্মি করে আমাকে দিয়েই অন্যান্য ফ্ল্যাটের দরজা খোলান। আমার চোখের সামনে একের পর এক রুমে ডাকাতি হয়।”
অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ফজলুল হক বলেন, “আমার তিন ছেলে দেশের বাহিরে থাকে। তাদের পাঠানো প্রায় ৩২ ভরি স্বর্ণালংকার, কয়েকদিন আগে ব্যাংক থেকে তোলা নগদ ৩ লাখ টাকা ও ৯টি মোবাইল সেট লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। তারা আমাদের পরিবার সম্পর্কে অনেক কিছু জানত। কোন রুমে কী আছে, আমরা কবে ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছি এমনকি বাসায় ওয়াইফাই বন্ধ সবই জানত। আমার ধারণা, স্থানীয় লোক এর সঙ্গে জড়িত। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দেব।”
ভুক্তভোগীর প্রতিবেশী লাক মিয়া বলেন, “আমরা ভোর ৫টার দিকে বিষয়টি প্রথমে বুঝতে পারি। পরবর্তীতে বাইরে থেকে লক করা রুম খুলে আমরা আটকে থাকা পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করি। তারপর বিষয়টি জানাজানি হয়।”
রবিবার (৩ নভেম্বর) গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, “সকাল ৬টার দিকে দিকে আমি ৯৯৯ থেকে একটি কল পেয়ে এ বিষয়ে জানতে পারি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।”
ঢাকা/রতন/মাসুদ