নির্বাচিত সরকারকে হাসিনার বিচার করার সুযোগ দিন: জালাল
Published: 31st, January 2025 GMT
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব ড. মো. জালাল উদ্দিন বলেছেন, “একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে নেতৃত্ব তুলে দিন এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিচার করার সুযোগ দিন। আর সময় ক্ষেপণ না করে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিন। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ নিজের ভোট নিজে দিয়ে যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে।”
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে চাঁদপুরের মতলব নিউ হোস্টেল মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড.
আরো পড়ুন:
ফ্যাসিবাদের সহযোগীদের বিএনপিতে স্থান নেই: ফরিদ আহমেদ
গাজীপুরে যুবদলের শীতবস্ত্র বিতরণ
তিনি আরো বলেন, “পাশের দেশ ভারত থেকে নানা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে হাসিনাসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা। তাই ষড়যন্ত্র ঠেকাতে দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচন দেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।”
মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল হক বাদলের সভাপতিত্বে ও পৌর বিএনপির সভাপতি শোয়েব আহমেদ সরকারের পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপি নেত্রী ইঞ্জিনিয়ার শাহনাজ শারমিন রিতু, মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সাগর, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন প্রধান (ভিপি জাকির), জেলা যুবদলের সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমদাদ হোসেন খান, ছেংগারচর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর প্রধান।
ঢাকা/অমরেশ/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র স র ব এনপ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে বিএনপি নেতা তাওলাদের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে আল্টিমেটাম
বন্দর উপজেলা বিএনপি নেতা তাওলাদ মাহমুদকে প্রকাশ্য দিবালোকে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দোসরা হামলা চালিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে।
সে ঘটনা মামলা করা হলো এখনো বন্দর থানা পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত মূল হোতাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ঘটনার সাথে জড়িত হামলাকারীদের আগামী ৭২ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়েছে বন্দর উপজেলা বিএনপি।
শনিবার ( ১ নভেম্বর) সকালে মদনপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটন তাওলাদ মাহমুদের উপর নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে হামলার সাথে জড়িত আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দোসরদের গ্রেপ্তারের এই দাবি জানান।
সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ফ্যাসিস শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেল কিন্তু তার দোসরা এখনো রয়ে গেছে। মুছাপুর ইউনিয়ন তথা বন্দর উপজেলার বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা দীর্ঘ ১৭টি বছর আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দোসর দ্বারা নির্যাতিত হয়েছিল।
এখনো আওয়ামী লীগের দোষরদের দ্বারা বিএনপি নেতা কর্মীরা নির্যাতিত হবে এটা খুবই দুঃখজনক। ৫ তারিখের পরও কিন্তু তারা আত্মগোপনে ছিল। কিন্তু কতিপয় কিছু নেতা ও প্রশাসনের কারণে তারা এখনো আবারো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তারা আবারও নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য বিএনপি নেতাকর্মী ও নিরীহ জনগণের উপর হামলা চালাচ্ছে।
তারা আরও বলেন, তাওলাদ মাহমুদ উপর হামলার ঘটনায় মামলাআওয়ামী লীগে ও জাতীয় পার্টির দোসরদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ঘটনায় মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক মামলা রয়েছে। কিন্তু বন্দর থানা পুলিশ প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপে নিচ্ছে না।
ফলে প্রতিনিয়ত তারা হামলা মামলা নির্যাতন সহকারে বিভিন্ন অপরাধ করে বেড়াচ্ছ । মুছাপুরের জনগণ তাদের হাত থেকে মুক্তি চায়। অবিলম্বে বিএনপি নেতা তাওলাত মাহমুদের ঘটনার সাথে জড়িত সকল আসামীদের গ্রেপ্তারের ৭২ ঘণ্টার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে সব সময় বেঁধে দিলাম আমরা উপজেলা বিএনপি।
যদি আগামী ৭২ ঘণ্টার মাধ্যমে তাওলাদ মাহমুদের উপর হামলাকারী মূল হোতাদেরকে গ্রেফতার করা না হয় তাহলে আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো। তার জন্য কিন্তু সকল দায়ভার পুলিশ প্রশাসনকেই নিতে হবে।