একুশের বইমেলায় প্রিন্সের কাব্যগ্রন্থ ‘জোছনা ছুঁয়ে যায়’
Published: 1st, February 2025 GMT
অমর একুশে বইমেলায় এ এস এম এনামুল হক প্রিন্সের কাব্যগ্রন্থ “জোছনা ছুঁয়ে যায়” বের হয়েছে। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের একজন রোমান্টিক কবিতার সাধক এ এস এম এনামুল হক প্রিন্স। তার কবিতায় উঠে এসেছে মানুষের জীবনের প্রত্যাশা ও অচরিতার্থতার বেদনাবোধ। কবিতা যদি মানবিক আবেদনে পরিপূর্ণ হয় তা পাঠকের হৃদয়তন্ত্রীতে টান না মেরে পারে না। সাহিত্যের রোমান্টিক কথামালা সত্যের উত্তাপে খাটি মানবতাবাদী বাংলা কবিতার বিশাল ভুবনে লেখালেখির ভান্ডারে এ এস এম এনামুল হক প্রিন্সের অসংখ্য কবিতা। তিনি একাধারে কবি, সাংবাদিক, সংগঠক, প্রাবন্ধিক, সম্পাদক, প্রকাশক এবং রোমান্টিক সাহিত্যের আলোচিত ব্যক্তি। এ এস এম এনামুল হক প্রিন্স নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বুরুমদী গ্রামে ১৯৭০ সালে ১১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ব্যাংকার সুলতান উদ্দিন আহামেদ এবং মাতা রেজিয়া বেগম।
শিক্ষাজীবনে বিএ, বিএড সম্পন্ন করেন। তিনি সাপ্তাহিক মুক্ত আওয়াজ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক আজকের জন্মভূমি পত্রিকার সহ- সম্পাদক এং বর্ণ সাহিত্যপত্র সহ-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সাহিত্য, সাংবাদিকতা, সংগঠক ও সমাজ সেবার জন্য অর্ধশতাধিক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
এ এস এম এনামুল হক প্রিন্স দীর্ঘদিন যাবৎ কবিতার সাথে বসবাস। লিখে চলছেন এখনও বিভিন্ন পত্র- পত্রিকা ও লিটলম্যাগ গুলোতে। প্রকৃতিপ্রেমী এ লেখক প্রেমের কবিতাই লিখতে পছন্দ করেন বেশি। তাই তার কবিতা লেখা তাকে প্রেমের কবি হিসেবে পরিচিতি দিলেও বিভিন্ন সময়ে ফুটে ওঠে শব্দময় আলো-ছায়ার খেলা। সেই আলো-ছায়ায় দেখতে পাই কবির সে-সব কবিতা। যা অপনারা এই বইতে পাবেন। তার অনেক পঙক্তির মধ্যে আছে, ধমনির উষ্ণ রক্ত সঞ্চালনে টের পাই তোমার উপস্থিতি। তার লেখা কবিতার সংখ্যা তিন শতাধিক। প্রবন্ধ, ফিচার, নিবন্ধ ও বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি ইউনেস্কো ক্লাব অব নারায়ণগঞ্জ সাহিত্য সম্পাদক, কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) নারায়ণগঞ্জ জেলা কোষাধ্যক্ষ, আনন্দধাম সাহিত্য পরিচালক, ব্যাংকার সুলতান উদ্দিন আহমেদ ফাউন্ডেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), হাসিনা অটিজম চাইল্ড কেয়ার উপদেষ্টা, সাবিলা ফাউন্ডেশন সহ-সভাপতি, সাহিত্য রিপোর্টার্স ক্লাব সভাপতিসহ অর্ধশত সংগঠনের সহিত জড়িত রয়েছে। সাহিত্য সাংবাদিকতাসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ রয়েছে অর্ধশতাধিক। সামাজিক কর্মকান্ডে সমাজকর্মী হিসেবে কাজ করছেন দীর্ঘদিন যাবৎ। ৬৪ পৃষ্ঠার কাব্যগ্রন্থে ৫৬টি কবিতা রয়েছে। রোমান্টিক কবিতা ৪৬টি, মাকে নিয়ে কবিতা ২টি, চব্বিশের জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ৩টি, স্বাধীনতা নিয়ে ১টি, বিজয় নিয়ে কবিতা ১টি, একুশের কবিতা ১টি, বৈশাখের কবিতা ১টি, বসন্ত নিয়ে কবিতা ১টি স্থান পেয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ পাকিংয়ে তীব্র যানজট, জনদুর্ভোগ চরমে
বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো যানজট। এ যানজটের কারণে মাত্র ৫ মিনিটের রাস্তা পেরুতে সময় লেগে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। ফলে প্রতিনিয়ত চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে নারায়ণগঞ্জবাসীকে।
নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগ কিংবা সিটি কর্পোরেশন এ যানজট থেকে জেলাবাসীকে পরিত্রাণ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে দিন যতই বড়ছে ততই বাড়ছে নারায়ণগঞ্জবাসীর দুর্ভোগ।
নারায়ণগঞ্জে এমন কোন সড়ক নাই সেই সড়কে যানজট নাই। মূল সড়ক থেকে শুরু করে অলি-গলি সব জায়গায়ই যানজট আর যানজট। তবে এ যানজটের পেছনে মূল সড়কের যানজটকেই দায়ি করছেন অনেকে।
তারা বলছেন, মূল সড়ক যদি যানজট মুক্ত থাকতো তাহলে এর আশেপাশের সড়কগুলো যানজটের সুষ্টি হতো না। মূল সড়কে তীব্র যানজটের কারণেই এর প্রভাব পড়ছে অন্য সড়কগুলোতেও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে শহরের চাইতে চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কে যানজট ভয়াবহ আকার ধারণে করেছে। এ সড়ক দিয়ে চলাচলের কথা শুনলেই মানুষ আতকে উঠে। কারণ, যানজটের মাত্র পনেরো মিনিটের রাস্তা পাড় হতে সময় লাগে ঘন্টার পর ঘন্টা।
এ রাস্তায় এ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীকেও যানজটে আটতে থাকতে দেখা যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। একবার যানজটে আটকা পড়লেই দিন শেষ। কখন বাড়ী কিংবা অফিসে যাবেন তার কোন ঠিক নেই।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, এ যানজটের প্রধান কারণ হচ্ছে পঞ্চবটি-মুক্তারপুর ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ। ফ্লাইওভারের কর্মযজ্ঞের ফলে যানবাহনগুলোকে একটু ধীর গতিতে যেতে হয়। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
তবে এ যানজটের আরও একটি বড় কারণ চোঁখে পড়ে, আর তা হলো পঞ্চবটি এলাকায় ফ্লাইওভারের নিচে এবং চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কের দু’পাশে ট্রাক ও কভার্ডভ্যানগুলো অবৈধভাবে পাকিং করে রাখা।
এসব যানবাহনগুলো সড়কের দু’পাশে পার্কিং করে রাখার কারণে মূল সড়ক অনেকটাই সরো হয়ে যায়। ফলে এ সড়ক দিয়ে অন্যসব যানবাহনগুলো ঠিকমত চলাচল করতে পারে না। ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
অথচ, পঞ্চবটির খুব কাছেই রয়েছে ট্রাক ও কভার্ডভ্যান স্ট্যান্ড। যানবাহনের চালকরা ওই স্ট্যান্ডে গাড়ী না রেখে সড়কের পাশে অবৈধভাবে বাঁকাত্যাঁড়া গাড়ীগুলো রাখছেন। এর ফলে যে, ওই সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে এবং যানজটের কবলে পড়ে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে, এ বিষয়ে যেন তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই।
তাদের ভাব-নমুনা দেখা মনে হয় যে, তারাই যেন এ সড়কটির মূল মালিক। না পুলিশে তাদের কিছু বলে, না তারা জনগণের কোন কথা শোনে। তারা তাদের ইচ্ছেমত গাড়ীগুলো রেখে যানজটের সৃষ্টি করছেন।
চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কে চলাচল করা ভুক্তভোগী পথচারিরা বলছেন, এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করাটা বর্তমানে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এত ভয়াবহ যানজট আমরা কখনোই চোঁখে দেখিনি। পঞ্চবটি ফ্লাইওভারের নিচে যেভাবে ট্রাক-কভার্ডভ্যানগুলো রাখা হয় পুরো সড়কটা তারা কিনে নিয়েছে। পুলিশও কিছু বলে না।
এছাড়া চাষাঢ়া থকে পঞ্চবটি পর্যন্ত পুরো সড়কে দু’পাশেই তারা গাড়ীগুলো রাখছেন। রাস্তাটি পাশে এমনিতেই জায়গা কম, আবার যদি তারা এভাবে গাড়ী রাখেন তাহলে যানজটের সৃষ্টিতো হবেই। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহল বলেন, আসলে নিতাইগঞ্জ এলাকা থেকে ট্রাক স্ট্যান্ডটি সরিয়ে নেয়ার জন্য সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আইভী একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। তিনি শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে পঞ্চবটি এলাকাতে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে একটি ট্রাক স্ট্যান্ড গড়ে তোলেন এবং সেখানে এ স্ট্যান্ডকে স্থানান্তর করেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি।
এখন তারা কিছু গাড়ী ওই স্ট্যান্ডে রাখে বাকি গাড়ীগুলো সড়ক দখল করে এলোপাথারিভাবে রাখে। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলেও যেন কারো কোন কিছু বলার নেই। কারণ, এ সমস্যা নিয়ে বহুবার ডিসি-এসপির সাথে বসা হয়েছে, আলোচনা হয়েছে কিন্তু সুরাহা হয় নাই।
তবে, ৫ আগস্টে দেশে একটি বড় পরিবর্তনের পর আশা করছিলাম এবার হয়তো এর একটা সুরাহা হবে। কিন্তু না। সড়ক দখল করে রাখা ট্রাক-কভার্ডভ্যানগুলো বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে মানুষকে বাধ্য হয়েই যানজটের মত দুর্ভোগ দুর্দশাময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পথ চলতে হচ্ছে।
তারা বলেন, আসলে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য সেদিন ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এতবড় একটা পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলো। কিন্তু দেশের মানুষ যদি সেই শান্তি শৃঙ্খলা ভোগই করতে না পারে, তাহলে এত প্রাণ দিয়ে কি লাভ হলো?
আমরা জানিন না, প্রশাসন আসলে কাদেরকে খুশি করাতে চাচ্ছেন? মুষ্টিম কিছু চালকদের জন্য হাজার হাজার মানুষের এ কষ্ট কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি করবো, তারা যেন খুব শীঘ্রই এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়। নারায়ণগঞ্জবাসীকে যেন কিছুটা স্বস্তি দেয়।
এ বিষয়ে টিআই করিম বলেন, ৫ আগস্টের পর নারায়ণগঞ্জে যানজটের যে ভয়াবহতা সৃষ্টি হয়েছিলো বর্তমানে তা কমে আসছে। আশাকরছি, আগামীতে পরিস্থিতি আরও ভালো হবে। পঞ্চবটি সড়কে ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এজন্য এ রুটে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
এমতাবস্তায় যদি কোন চালক রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে গাড়ী পার্কিং করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো।