পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মাছুয়া ইউনিয়নের কাটাখালে জেলেপল্লির সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতের সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ করে হাতেখড়ি ফাউন্ডেশন। সহযোগিতায় ছিলেন সমাজসেবক এ আর মামুন খান। অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে এ উপকরণ তুলে দেয় হাতেখড়ি ফাউন্ডেশন। 
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসকিয়া জানায়, শীতের সুরক্ষাসামগ্রী উপহার পেয়ে অনেক উপকার হয়েছে। তার বাবা নদীতে মাছ ধরে সব সময় কিনে দিতে পারেন না সুরক্ষাসামগ্রী। তাদের সেই অভাব পূরণ হয়েছে।
হাতেখড়ি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক রুবেল মিয়া নাহিদ বলেন, ‘সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কল্যাণে নানা আয়োজন করে থাকে হাতেখড়ি ফাউন্ডেশন। তারই ধারাবাহিকতায় এই উদ্যোগ। আমরা আজ শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার গুরুত্ব ও নিজেদের শরীরের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। এসব সামগ্রী শিশুদের মুখে এক চিলতে হাসি ফুটিয়ে তুলবে। এটিই আমাদের চাওয়া।’
সমাজসেবক এ আর মামুন খান বলেন, ‘সমাজের সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এভাবে এগিয়ে এলে জেলেপল্লির শিশুরা উৎসাহ পাবে এবং ঝরে পড়ার হারও কমে আসবে।’
দক্ষিণাঞ্চলের বলেশ্বর নদীতীরবর্তী জেলেদের সন্তানদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করছে হাতেখড়ি ফাউন্ডেশন। নিজস্ব সংস্কৃতি বিকাশ ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করতে বিভিন্ন সুযোগ সৃষ্টি করাসহ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর শিশুদের শিক্ষা, বৈষম্য দূর করাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার আওতায় নিয়ে আসতে চেষ্টা করে যাচ্ছে সংগঠনটি। এছাড়াও বাল্যবিয়ে রোধ, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচারণা, বিনা মূল্যে 
রক্তদানসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজেও রয়েছে হাতেখড়ি ফাউন্ডেশনের বিচরণ। ২০১৮ সালের ১৭ মার্চ হাতেখড়ি ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন প্রজেক্টের মাধ্যমে কাজ করছে সংগঠনটি। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় দফা দাবিতে ‘আমরা ভোলাবাসী’র আন্দোলন ‘সরকারি আশ্বাসে’ স্থগিত

ভোলায় গ্যাস ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবিতে চলমান ছয় দফা আন্দোলন স্থগিত করেছে ‘আমরা ভোলাবাসী’। সরকারি আশ্বাসের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন নেতারা।

সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও আমরা ভোলাবাসীর জ্যেষ্ঠ নির্বাহী সদস্য রাইসুল আলম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. এনামুল হক, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মোতাসিন বিল্লাহ, ভোলা জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী, ভোলা আলিয়া মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মোবাশ্বিরুল হক নাঈম, ইসলামী আন্দোলনের ভোলা উত্তর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম, ভোলা সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. কামাল হোসেন ও আমরা ভোলাবাসীর সদস্যসচিব মীর মোশাররফ হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ভোলার গ্যাস স্থানীয়ভাবে ব্যবহারের দাবিসহ ছয় দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে। সরকারের সঙ্গে একাধিক বৈঠকের মাধ্যমে দাবি আদায়ে অগ্রগতি হয়েছে।

আমরা ভোলাবাসীর দাবির মধ্যে রয়েছে, ভোলায় মেডিকেল কলেজ স্থাপন, বিদ্যমান ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার সুবিধা নিশ্চিত করা, ভোলা–বরিশাল সেতু নির্মাণ, ঘরে ঘরে গ্যাস সরবরাহ, গ্যাসভিত্তিক শিল্পকারখানা স্থাপন ও নদীভাঙন প্রতিরোধ।

সংগঠনটি জানায়, আন্দোলনের আগে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটিতে মাত্র আট চিকিৎসক কর্মরত ছিলেন, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ জন। আরও চিকিৎসক, নার্স ও যন্ত্রপাতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। মেডিকেল কলেজ স্থাপনের বিষয়ে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে নতুন মেডিকেল কলেজ হলে, সেটি ভোলায় হবে। ভোলা–বরিশাল সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রেও ফিজিবিলিটি স্টাডি ও নকশা সম্পন্ন হয়েছে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

সার কারখানা ও ইপিজেড স্থাপনের জন্য জমি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানিয়েছেন নেতারা। গ্যাস–সংযোগের বিষয়ে জানানো হয়, সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানিকে ডিমান্ড নোট জমা দেওয়া ২ হাজার ১৪৫ গ্রাহককে গ্যাস–সংযোগ দেওয়া হবে এবং ন্যায্যমূল্যে ২০ হাজার সিলিন্ডার বিতরণ করা হবে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী দুই মাসের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে আবার কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের থেকে তরুণদের দূরে থাকতে হবে: মজিবুর রহমান
  • শিশু নাঈমের পাশে ইবি ক্রিকেট ক্লাব
  • ছয় দফা দাবিতে ‘আমরা ভোলাবাসী’র আন্দোলন ‘সরকারি আশ্বাসে’ স্থগিত