খুলনার স্পিন বিষে রংপুরের পুঁজি ৮৫
Published: 3rd, February 2025 GMT
১,০,৪,১,৮। রংপুর রাইডার্সের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের রান। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে রীতিমত বিধস্ত রংপুর রাইডার্স। দুই অঙ্কের ঘর পেরিয়েছেন কেবল কাজী নুরুল হাসান সোহান ও আকিফ জাভেদ। সোহান ২৩ রানে আউট হওয়ার পর আকিফের ৩২ রানে রংপুরের পুঁজি কেবল ৮৫। যা এই আসরে তাদের সর্বনিম্ন দলীয় রান।
এলিমিনেটর ম্যাচে হারলেই বিদায়। এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে খুলনা ও রংপুর মাঠে নামে মিরপুর শের-ই-বাংলায়। দুই দলই একাধিক তারকা নিয়ে মাঠে নেমেছে। রংপুর আন্দ্রে রাসেল, টিম ডেভিড, জেমস ভিন্সকে উড়িয়ে এনেছে। খুলনা নিয়েছে জেসন হোল্ডার ও শিমরন হেটমায়ারকে। ব্যাটিংয়ে রংপুরের হয়ে নিয়মিত রান করছিলেন ইফতেখার আহমেদ। তাকে না খেলানোর কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে রংপুর যে ভুল করেছে তা বুঝতে বাকি রইল না স্কোরবোর্ডের দিকে তাকালে।
ভিঞ্চ, ডেভিড ও রাসেল প্রত্যেকেই ফ্লপ। ভিঞ্চ ৭ বলে ১ রানে আউট হওয়ার আসে সৌম্যকে ভুল ডাকে রান আউট করান। অস্ট্রেলিয়ার টিম ডেভিড নাসুমের বলে ক্যাচ দেন সীমানায়। ৯ বলে তার রান মাত্র ৭। নিয়মিত বিপিএল খেলা রাসেল ৯ বলে ৪ রান করে নেওয়াজের বোল্ড হন।
আরো পড়ুন:
রাসেল, ডেভিড, হেটমায়ারদের নিয়ে এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি খুলনা-রংপুর
পালিয়ে যাওয়ার গুঞ্জন
রাজশাহীর মালিককে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ
বিদেশীরা যেখানে আড়ালে সেখানে দায়িত্ব নিতে পারেননি স্থানীয়রাও কেউ। টপ ও মিডল অর্ডারে ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করেছে রংপুর। মাহেদী, সাইফ উদ্দিনকে উপরে তুলে এনেছিলেন। কিন্তু ১ ও ৮ রানের বেশি করতে পারেনি। সাইফ হাসান ১০ বলে ৪ রানে থেমে যান। সোহান চেষ্টা করেছিলেন। ২৫ বলে ২৩ রান করেছিলেন ২ বাউন্ডারিতে। কিন্তু বিপর্যয়ের দিনে তিনিও ভুল শট খেলতে গিয়ে ফেরেন সাজঘরে। শেষ পর্যন্ত আকিফ জাভেদ তাদের ত্রাতা হয়ে আসেন। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ১৮ বলে ৩২ রান করে যখন আউট হন তখন খুশির আমেজ খুলনা ড্রেসিংরুমে। কেননা প্রথম পরীক্ষায় তারা পাশ।
খুলনার বোলিং ছিল দুর্দান্ত। উইকেট হাই স্কোরিং ছিল না। বল থেমে থেমে আসছিল। ধীর গতির। স্পিনাররা সেই সুবিধা কাজে লাগিয়েছেন। মিরাজ ও নাসুম পেয়েছেন ৩টি করে উইকেট। মিরাজ ১০ ও নাসুম দিয়েছেন ১৬ রান। এছাড়া নাওয়াজ, হাসান ও মুশফিকের পকেটে গেছে ১টি করে উইকেট। স্কোরবোর্ডে স্বল্প পুঁজি নিয়ে রংপুর ম্যাচটা জমিয়ে তুলতে পারে কিনা সেটাই দেখার।
ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল র ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ শুরু হচ্ছে শনিবার মধ্যরাতে
তিন মাস দুই দিন পর কাপ্তাই হ্রদে শুরু হচ্ছে মৎস্য আহরণ। শনিবার (২ আগস্ট) মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরতে পারবেন জেলেরা।
কাপ্তাই হ্রদে পর্যাপ্ত পানি থাকায় কয়েক বছরের মধ্যে এবার নির্দিষ্ট সময়ে মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে জেলা প্রশাসন। অন্যান্য বছর ২-৩ দফা সময় বাড়িয়ে প্রায় চার মাস পর মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতো। কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, প্রজনন এবং অবমুক্ত করা মাছের বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দেয় জেলা প্রশাসন।
এদিকে, মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর শুধু জেলে পাড়া নয়, কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে জেলার সবচেয়ে বড় মৎস্য অবতরণকেন্দ্র বিএফডিসি ঘাট। মাছ পরিবহন ও সংরক্ষণের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ড্রাম, বরফ ভাঙার মেশিন। দীর্ঘ ৯২ দিনের কর্মহীন জীবনের অবসান ঘটাতে প্রহর গুনছেন জেলেরা। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সেরে রেখেছেন ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)।
বিএফডিসি সূত্র বলছে, কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন, অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য ১ মে থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়। এ সময়ে হ্রদে প্রায় ৬০ মেট্রিক টন কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন প্রায় ২৬ হাজার জেলে।
রাঙামাটির শহরের পুরান পাড়া জেলা পল্লীর বাসিন্দা নেপাল দাশ জানিয়েছেন, মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞাকালে যে সরকারি সহায়তা পাওয়া যায়, তাতে পরিবার নিয়ে চলা কঠিন। দীর্ঘ তিন মাস পর মাছ ধরতে নামতে পারব, এতে খুশি আমরা।
নতুন পাড়ার জেলে অমর কান্তি দাশ বলেছেন, হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পাবে। তবে, পানিতে ঢেউ থাকায় শুরুতে বেশি মাছ পাওয়া যাবে না। পানি কিছু কমে আসলে ও স্থির হলে ভালো মাছ পাব, আশা করি। হ্রদে নামার জন্য যা যা প্রস্তুতি, সবকিছু শেষ করেছি। জাল ও নৌকা মেরামত করা হয়েছে। এখন শুধু লেকে নামার অপেক্ষা।
রাঙামাটি মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি উদয়ন বড়ুয়া বলেছেন, এবার নিষেধাজ্ঞার শুরু থেকে পর্যাপ্ত বৃষ্টির ফলে কাপ্তাই হ্রদে যথেষ্ট পানি থাকায় মাছ প্রথম থেকেই প্রজনন এবং বড় হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। আশা করছি, এবার পর্যাপ্ত মাছ পাওয়া যাবে। ব্যবসায়ীরা সব প্রস্ততি নিয়েছেন। রবিবার সকাল থেকে বিএফডিসি ঘাটে মাছ আসবে।
বিএফডিসির রাঙামাটি অঞ্চলের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. ফয়েজ আল করিম বলেছেন, নিষেধাজ্ঞাকালীন আমাদের উপকেন্দ্রগুলোর যেসব অবকাঠামো সংস্কারের প্রয়োজন ছিল, সেসব আমরা শেষ করেছি। অন্যান্য যেসব প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন, সেসবও শেষ হয়েছে। আশা করছি, গত বছরের মতো এবছরও ভালো মাছ পাওয়া যাবে।
ঢাকা/শংকর/রফিক