প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপে হিলিতে নারী ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু
Published: 3rd, February 2025 GMT
অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিবৃতির পর দিনাজপুরের হিলিতে তৌহিদী জনতার বাধায় পণ্ড হওয়া প্রমিলা নারী ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঘটনার সাত দিন পর একই ইউনিয়নের অন্য একটি অস্থায়ী মাঠে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় ইটাই ভূমিহীন বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড এবং ইটাই মৎস্যচাষি সমবায় সমিতি লিমিটেডের আয়োজনে উপজেলার আলীহাট ইউনিয়নের ইটাই গ্রামে খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
খেলায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বনাম জয়পুরহাট নারী ফুটবল দল। খেলা দেখতে নারী-পুরুষসহ নানা বয়সী মানুষ ভিড় করে।
আরো পড়ুন:
অ্যাস্টন ভিলায় রাশফোর্ড
প্রিমিয়ার লিগে রেকর্ডের সপ্তাহ
খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দিনাজপুর জেলা মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা হাশমাতুন নাহার শুভ্রা। এছাড়াও জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিনা বেগম, সহ-সাংগঠনিক নুর জাহান চৌধুরী পুতুল, সাবেক হাকিমপুর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারুল নাহার প্রমুখ খেলা উপভোগ করেন।
আজকের খেলায় ঢাকা নারী ফুটবল দল ৩-০ জয়পুরহাট নারী ফুটবল দলকে পরাজিত করে।
গত ২৮ জানুয়ারি হিলির বাওনা গ্রামে নারী ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করায় আয়োজক কমিটি ও তৌহিদী জনতার মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। তৌহিদী জনতার ব্যানারে নারীদের ফুটবল খেলায় বিরোধিতা করা হয়।
ঢাকা/মোসলেম/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
ক্রান্তিকালে বিসিবির প্রস্তুতির অভাব দেখছেন তামিম
জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের নির্ভরতার প্রতীক তামিম ইকবাল মনে করছেন, সাকিব-মুশফিক-রিয়াদদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত ছিল না বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), টাইগার্স ও ‘এ’ দলের কাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘পাঁচজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সরে গেছে, যাদের অভিজ্ঞতা ১৫-১৭ বছরের। তারা হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে। এই মানের ক্রিকেটারদের বিদায়ে শূন্যতা আসবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বোর্ড কি এই ক্রান্তিকালের জন্য প্রস্তুত ছিল?’
তামিমের মতে, জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন ৭-১০ বছর ধরে খেলছেন। এই সময়টাতে তাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প খেলোয়াড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলকে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা দিন, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে এইচপি, টাইগার্স ও “এ” দলে বেশি ফোকাস করুন। এই জায়গাগুলোতে ভালো বিনিয়োগ না হলে জাতীয় দল সবসময় ধুঁকতেই থাকবে।’
তবে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী তামিম। তার ভাষায়, ‘আমরা কখনোই তিন সংস্করণে একসঙ্গে ভালো করিনি। এই দলটাকেও যদি সময় দেওয়া হয়, তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’
ভবিষ্যৎ তারকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম বেশ কয়েকজনের নাম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেস বিভাগে তাসকিন আছে, নতুন নাহিদ রানা ভালো করছে। তাইজুল চমৎকার স্পিনার। হৃদয়, জাকের আলীরাও সম্ভাবনাময়। এদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ বড় তারকা হয়ে উঠতে পারে।’
সবশেষে তিনি বোর্ডের প্রতি ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস দিন, বোঝান– তারা বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে।’