অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিবৃতির পর দিনাজপুরের হিলিতে তৌহিদী জনতার বাধায় পণ্ড হওয়া প্রমিলা নারী ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঘটনার সাত দিন পর একই ইউনিয়নের অন্য একটি অস্থায়ী মাঠে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়। 

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় ইটাই ভূমিহীন বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড এবং ইটাই মৎস্যচাষি সমবায় সমিতি লিমিটেডের আয়োজনে উপজেলার আলীহাট ইউনিয়নের ইটাই গ্রামে খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

খেলায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বনাম জয়পুরহাট নারী ফুটবল দল। খেলা দেখতে নারী-পুরুষসহ নানা বয়সী মানুষ ভিড় করে। 

আরো পড়ুন:

অ্যাস্টন ভিলায় রাশফোর্ড 

প্রিমিয়ার লিগে রেকর্ডের সপ্তাহ 

খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দিনাজপুর জেলা মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা হাশমাতুন নাহার শুভ্রা। এছাড়াও জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিনা বেগম, সহ-সাংগঠনিক নুর জাহান চৌধুরী পুতুল, সাবেক হাকিমপুর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারুল নাহার প্রমুখ খেলা উপভোগ করেন।

আজকের খেলায় ঢাকা নারী ফুটবল দল ৩-০ জয়পুরহাট নারী ফুটবল দলকে পরাজিত করে।

গত ২৮ জানুয়ারি হিলির বাওনা গ্রামে নারী ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করায় আয়োজক কমিটি ও তৌহিদী জনতার মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। তৌহিদী জনতার ব্যানারে নারীদের ফুটবল খেলায় বিরোধিতা করা হয়। 
 

ঢাকা/মোসলেম/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ