পশ্চিমবঙ্গে ৪ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার
Published: 3rd, February 2025 GMT
ভারতের হায়দ্রাবাদ থেকে বাংলাদেশে যাওয়ার পথে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার সাঁতরাগাছি রেল স্টেশনে এক নাবালকসহ ৪ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার বিকেলে সাঁতরাগাছি রেলস্টেশনের চার ও পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রেলওয়ে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-মোহাম্মদ আলম (২৩), রিয়াসুল ইসলাম (২০), বেগম দিলবার (৩৪) ও এক নাবালক।
আরো পড়ুন:
সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের সময় ২ বাংলাদেশিসহ ১৯ রোহিঙ্গা উদ্ধার
মাগুরায় ২ রোহঙ্গিা গ্রেপ্তার, পেটে মিলল ইয়াবা
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে দীর্ঘদিন আগে তারা বাংলাদেশে এসেছিল। সেখানেই একটি রিফিউজি ক্যাম্পে ছিল তারা। এরপর গত বছরের শেষের দিকে বৈধ নথিপত্র ছাড়াই অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে ঢুকেই হায়দ্রাবাদে চলে যায় তারা। সেখানেই পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতো সকলে। কিন্তু হায়দ্রাবাদে কিছু সমস্যা হওয়ায় তারা ফের বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
রবিবার হায়দ্রাবাদ থেকে ট্রেনে করে সাঁতরাগাছি স্টেশনে নামে ওই ৪ জন। ভিড়ের মাঝে ৪ জনকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে গভর্মেন্ট রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি)। তাদের কাছ থেকে ভারতে প্রবেশের কোনো বৈধ নথিপত্র না মেলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তদের। আটক ব্যক্তিদের সোমবার হাওড়া জেলা আদালতে তোলা হয়।
ঢাকা/সুচরিতা/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রুয়া নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে তাঁরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই পক্ষের নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি চলতে থাকে।
এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করেন রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’, ‘প্রশাসন জবাব দে, রুয়া কি তোর বাপের রে’, ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে চলবে না’, ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
এ সময় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদেরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। পরে জামায়াত ইসলামীর কয়েকজন নেতাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। বিকেল ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ মে রুয়া নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ সেই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। যারা রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না, তারা রাকসু নির্বাচন কীভাবে বাস্তবায়ন করবে? ১০ মের নির্বাচন সেই একই তারিখে হতে হবে। এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’