সাগরে মিলল তরুণের লাশ, পরিবারের দাবি হত্যা
Published: 5th, February 2025 GMT
কক্সবাজারের মহেশখালীতে সাগর থেকে এক তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর নাম নাজমুল হাসান (১৮)। আজ বুধবার সকাল সাতটার দিকে উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙার পশ্চিমে বহদ্দারের মুখ এলাকায় সাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত নাজমুল হাসান মহেশখালী পৌরসভা এলাকার ঘোনারপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ ফেরদৌসের ছেলে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে একটি নৌযানে লবণ বোঝাই করতে ওই তরুণ ঘর থেকে বের হয়েছিলেন। পরে তাঁর পরিবারকে জানানো হয়, কাজ করার একপর্যায়ে নৌযান থেকে পানিতে পড়ে রাত ১১টার দিকে নিখোঁজ হন নাজমুল।
নাজমুল হাসানের বাবা মোহাম্মদ ফেরদৌস বলেন, তিনি জেনেছেন রাতে ওই নৌযানে থাকা অন্য শ্রমিকেরা তাঁর ছেলেকে মারধর করেন। মারধরের সময় সাগরের পানিতে ডুবে তাঁর ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
নাজমুল হাসান যে নৌযানে লবণ বোঝাই করতে গিয়েছিলেন, এর মালিক মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, তিনজন শ্রমিক নিয়ে কুতুবজোম ইউনিয়নের তাজিয়াকাটা খালে তাঁর নৌযানটি লবণ বোঝাই করতে নেওয়া হয়। সেখানে নৌযানটি নোঙর করার জন্য রশি বাঁধার একপর্যায়ে নাজমুল পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন। রাতে তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ সকালে লাশটি সাগরে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। মারধরের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ অভিযোগ সত্য নয়। তাঁকে কেউ মারধর করেনি।
জানতে চাইলে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাইছার হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় নিহত নাজমুলের চোখে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম রধর
এছাড়াও পড়ুন:
জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।
মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।