পাবনার ঈশ্বরদীতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলার অভিযোগে করা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনসহ বিএনপির ৪৭ নেতা-কর্মীর সবাই খালাস পেয়েছেন।

বুধবার বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম ও বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। 

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী কায়সার কামাল, জামিল আক্তার এলাহী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান মামুন, গাজী তৌহিদুল ইসলাম, মো.

মাকসুদ উল্লাহ প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান।

এর আগে আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন), আপিল ও জেল আপিলের ওপর গত ৩১ জানুয়ারি শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায়ের জন্য আজকের দিন রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ রায় ঘোষণা করা হয়।

মামলায় ২০১৯ সালের ৩ জুলাই রায় দেন স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক ও পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রুস্তম আলী। রায়ে ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা সবাই বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক-বর্তমান নেতা-কর্মী।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আবু সাঈদের মামলায় ৪ জনসহ ১১ আসামি ট্রাইব্যুনালে হাজির

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চার আসামিকে হাজির করা হয়েছে।

এই চারজনসহ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মোট তিনটি মামলায় ১১ জনকে আজ রোববার সকালে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

আবু সাঈদের মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনা চার আসামি হলেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী (আকাশ)।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘটনায় অন্য দুটি মামলায় আরও সাতজনকে হাজির করা হয়েছে।

আরও পড়ুনপুলিশের ছররা গুলিতেই আবু সাঈদের মৃত্যু২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন যখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন গত বছরের ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন আবু সাঈদ। ২৫ বছর বয়সী আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।

আরও পড়ুনপুলিশের বেপরোয়া গুলি, বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার আবু সাঈদ: জাতিসংঘ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নিরস্ত্র আবু সাঈদের পুলিশ কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হন বহু মানুষ, যাতে আরও গতিশীল হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুনগুলিতে ঝাঁঝরা সাঈদের বুক, পুলিশ বলছে উল্টো কথা২৭ জুলাই ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আবু সাঈদের মামলায় ৪ জনসহ ১১ আসামি ট্রাইব্যুনালে হাজির