যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য। শিক্ষার মান, ইংরেজিভাষী দেশ, ফান্ডিং সুবিধা ও জীবনযাত্রার মান এর অন্যতম কারণ। তাই প্রতিবছর দেশটিতে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশটিতে যাঁরা পড়াশোনা করতে চান, বা যাঁরা পড়তে যাচ্ছেন তাঁদের অনেকেরই প্রশ্ন থাকে ‘দেশটিতে ইন্টার্নশিপের সুযোগ আসলে কেমন’, ‘যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করার সময় কি ইন্টার্নশিপ প্রয়োজন’, প্রয়োজন হলে কীভাবে খুঁজে পাব? পড়াশোনার ফাঁকে ইন্টার্নশিপ নিজেদের শিক্ষাগত এবং পেশাদার যাত্রার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। ইন্টার্নশিপ কেবল শিক্ষার্থীকে আর্থিক সহায়তাই প্রদান করে না বরং শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা অর্জন এবং পেশাদার সংযোগ তৈরিতেও সহায়তা করে। কিছু কিছু প্রোগ্রামে, ইন্টার্নশিপ পাঠ্যক্রমের অংশ হিসেবে বাধ্যতামূলক, যা শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত সুযোগগুলো কীভাবে খুঁজতে হয়, তা বুঝতে সহায়তা করে।

আরও পড়ুনলুক্সেমবার্গে বৃত্তি, আইইএলটিএস ছাড়াই আবেদন, ১০ হাজার ইউরোর সঙ্গে নানা সুবিধা২৮ জানুয়ারি ২০২৫

ইন্টার্নশিপ কেন গুরুত্বপূর্ণ—

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টার্নশিপগুলোর একাধিক উদ্দেশ্য থাকে। কিছু একাডেমিক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন নিশ্চিতে বাধ্যতামূলক হিসেবেও প্রয়োজন হয় ইন্টার্নশিপের। ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামগুলো নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ তৈরি করে, যা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং অভিজ্ঞ পরামর্শদাতাদের কাছ থেকে নানান শেখার সুযোগ তৈরি হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, ইন্টার্নশিপ পূর্ণ সময়ের চাকরির দিকে যাওয়ার পথ তৈরি করে।

আরও পড়ুনব্রুনেই ওআইসি শিক্ষার্থীদের দেবে বৃত্তি, আবেদনের সময় বৃদ্ধি ১১ দিন০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে কীভাবে ভালো বেতনের ইন্টার্নশিপ খুঁজবেন—

* কোম্পানির তালিকা করুন এবং পর্যালোচনা করুন।

* নিজের কাঙ্ক্ষিত ক্যারিয়ারের লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কোম্পানিগুলো চিহ্নিত করুন।

* অধ্যাপক এবং সিনিয়রদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে নিন যাঁরা সঠিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে সহায়তা করতে পারেন।

* একটি সিভি বা জীবনবৃত্তান্ত প্রস্তুত করে রাখুন।

* শিক্ষাজীবনে সাফল্য, প্রাসঙ্গিক দক্ষতা এবং পূর্ববর্তী যেকোনো কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে হবে।

* নির্দিষ্ট ক্ষেত্র বা নির্দিষ্ট কোম্পানিতে আবেদনের জন্য নিজের জীবনবৃত্তান্ত তৈরি করুন।

* আবেদন করুন অনলাইনে।

* শর্টলিস্ট করা কোম্পানিগুলোর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারুন এবং ইন্টার্নশিপের জন্য শূন্য পদগুলোর খোঁজ রাখুন।

* ইন্টার্নশিপের খোঁজে লিংকডইন, ইন্টার্নশিপ ডটকম, ইন্টারম্যাচ ডটকম, ইউটার্ন এবং আইডিয়ালিস্ট–এর মতো পেশাদার নেটওয়ার্কিং এবং চাকরির পোর্টালগুলোয় ঢুঁ মারুন।

এসব পদক্ষেপ অনুসরণ করে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীরা ভালো ইন্টার্নশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারেন। আর এতে করে নতুন নতুন ক্যারিয়ারের পথ খুলবে। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

আরও পড়ুনবেসরকারি মেডিকেলে ভর্তিতে আবেদন শুরু, মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ জেনে নিন বিস্তারিত০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপে আবেদন শুরু, আইএলটিএসে ৬.

৫ অথবা টোয়েফলে ৮৪ হলে আবেদন ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

এশিয়া কাপে আজকের রাত যেন এক নাটকীয় অধ্যায়। ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবুধাবির মাঠে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া এই লড়াই কেবল দুই দলের নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ভাগ্যও। কোটি টাইগার সমর্থক তাই আজ তাকিয়ে থাকবে টিভি পর্দায়। কারণ, এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে, বাংলাদেশ কি সুপার ফোরে উড়াল দেবে, নাকি গ্রুপ পর্বেই শেষ হবে স্বপ্নযাত্রা।

গ্রুপের সমীকরণ এখন টানটান নাটকের মতো। তিন ম্যাচে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শ্রীলঙ্কা। সমান ৪ পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ঝুলিতে আছে ২ পয়েন্ট; এক জয় ও এক হারের ফল। হংকং অবশ্য তিন ম্যাচেই হেরে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে।

আরো পড়ুন:

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান

এখন হিসাবটা এমন—
আফগানিস্তান হেরে গেলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই সুপার ফোরে।
আফগানিস্তান জিতলে সমীকরণ জটিল হবে। তখন শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান ৪ হলেও নেট রান রেটে স্পষ্ট এগিয়ে থাকবে আফগানরা (২.১৫০)। শ্রীলঙ্কার রান রেট ১.৫৪৬, আর বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে -০.২৭০-তে।

অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি জেতে, তবে বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে এক অসম্ভব সমীকরণের দিকে। সেটা হলো- লঙ্কানদের অন্তত ৭০ রানের ব্যবধানে হারতে হবে এবং তা করতে হবে ৫০ বল হাতে রেখে। অন্যথায় রান রেটের খেলায় পিছিয়েই থাকতে হবে টাইগারদের। তবে বৃষ্টি যদি হানা দেয় কিংবা ম্যাচ কোনো কারণে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দু’দলই নিশ্চিতভাবেই চলে যাবে সুপার ফোরে।

ম্যাচকে ঘিরে দুই শিবিরেই চাপ-উত্তেজনার আবহ। আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব মনে করেন, চাপটা আসলে শ্রীলঙ্কার ওপরই বেশি, “আমরা এসব টুর্নামেন্ট খেলতে অভ্যস্ত, আমাদের কোনো চাপ নেই। শ্রীলঙ্কা ভালো দল ঠিকই, তবে তারাও চাপে থাকবে। আমার মনে হয় দারুণ একটা ম্যাচ হবে।”

অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। হ্যাঁ, বাংলাদেশের সমর্থকরা আমাদের জয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরাও জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব।”

হংকংয়ের বিপক্ষে জিতলেও শ্রীলঙ্কাকে ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা বলছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টা সহজ হবে না তাদের জন্যও। শেষ পর্যন্ত কারা হাসবে জয়ের হাসিতে, আর কোন সমীকরণে দাঁড়াবে বাংলাদেশের ভাগ্য; এই প্রশ্নের উত্তরই দেবে আজকের আবুধাবির রাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ