নওগাঁয় ১৬ বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। এ উপলক্ষে জেলা শহরে বর্ণাঢ্য একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় শহরের কাজীর মোড় থেকে শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তির মোড় এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। এতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির নওগাঁ শাখার সভাপতি সারোয়ার হোসাইন, জেলা সেক্রেটারি আবদুর রাকিবসহ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের অন্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের জেলা সেক্রেটারি আবদুর রাকিব বলেন, ‘এ পর্যন্ত ছাত্রশিবিরের লোকজন যত জায়গায় অবস্থান নিয়েছে, সেখানে তারা সততার পরিচয় দিয়েছে। বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জন্য ইসলামী ছাত্রশিবির অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করে যাবে। সর্বশেষ ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে পারলেও দীর্ঘ ১৬ বছর আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে পারিনি।’

সংগঠনটির শাখা সভাপতি সারোয়ার হোসাইন বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য সৎ, দক্ষ ও আদর্শিক নাগরিক তৈরির মাধ্যমে জাতির প্রত্যাশা পূরণ। এ লক্ষ্য পূরণে মহান আল্লাহ তাআলার প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস, সীমাহীন ত্যাগ, সর্বোচ্চ ধৈর্য এবং গঠনমূলক কাজের মাধ্যমে ছাত্রশিবিরের লক্ষাধিক জনশক্তি এগিয়ে চলছে। সময়ের ব্যবধানে ছাত্রশিবির আজ দেশে সর্ববৃহৎ সুশৃঙ্খল ছাত্রসংগঠনে পরিণত হয়েছে। সীমাহীন প্রতিকূলতার মধ্যেও আমাদের অবস্থানও সুদৃঢ়।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সচিবালয় অভিমুখে মিছিল, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সচিবালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে যাওয়ায় পুলিশের বাধার মুখে পড়েছেন ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ একাধিক সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে ও লাঠিপেটা করে। এতে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা। এ ঘটনায় রাজধানীর প্রেসক্লাব এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

আজ রোববার বেলা সোয়া একটার দিকে প্রেসক্লাব সংলগ্ন সচিবালয়ের ৫ নম্বর ফটকের কাছে এ ঘটনা ঘটে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আলোচনার জন্য সচিবালয়ের ভেতরে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।

সকাল থেকেই ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের মধ্যে যাঁদের আবেদন করার বয়স শেষ হয়ে গেছে, তাঁরা আবেদনকারীর বয়সসীমা ৩৫ বছর পর্যন্ত বাড়িয়ে তাঁদের একবার আবেদন করার দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। বেলা দেড়টার দিকে তাঁরা সচিবালয়ের দিকে পদযাত্রা শুরু করেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সচিবালয় এলাকা গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা অঞ্চল। এখানে ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে। মিছিলকারীরা তা অমান্য করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের হালকা শক্তি প্রয়োগ করতে হয়েছে।’

আজকের ঘটনায় পাঁচ থেকে ছয়জন আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। ডিসি মাসুদ বলেন, ‘মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের এক থেকে দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে হয়েছে। এতে আমাদের দু-একজন পুলিশ সদস্যও সামান্য আহত হয়েছেন।’

আন্দোলনকারীদের একজন রাজ্জাকুল হায়দার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানালেও সরকার আমাদের দাবি মেনে নিচ্ছে না। এখন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে, অথচ আমাদের ১৭তম ব্যাচের সমস্যার সমাধান করছে না।’

এই আন্দোলনকারী বলেন, দেয়ালে আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে। তাই তিন দফা দাবি দিয়ে তাঁরা সচিবালয়ের দিকে যান। কিন্তু পুলিশ লাঠিপেটা করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।

নিবন্ধনধারীদের তিনটি প্রধান দাবি হলো

১. আপিল বিভাগের রায় অনুসারে সনদের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে করোনা মহামারির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছরের আওতায় এনে ১৭তম ব্যাচের প্রার্থীদের জন্য বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অন্তত একবার আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে।

২. ১৭তম ব্যাচের বিষয় নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এনটিআরসিএর ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হবে।

৩. আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএর রূপরেখা বাস্তবায়ন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ