দিনাজপুরের হাকিমপুরে দুষ্কৃতিকারীদের হামলায় বন্ধ হওয়া নারী ফুটবল খেলা ৮ দিন পর অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় উপজেলার বাওনা গ্রামের অস্থায়ী মাঠে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে রংপুর জেলা নারী ফুটবল একাদশ এবং দিনাজপুর জেলা নারী ফুটবল একাদশ অংশগ্রহণ করে।

খেলায় রংপুর জেলা নারী ফুটবল একাদশ ১-০ গোলে দিনাজপুর জেলা নারী ফুটবল একাদশকে পরাজিত করে। খেলাটি পুনরায় চালু করতে পেরে খুশি খেলোয়াড়,আয়োজক ও দর্শক। বৃহস্পতিবার খেলা দেখতে ভিড় করে নারী শিশুসহ সমবয়সী মানুষ।

আয়োজকরা জানান, হাকিমপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী ফুটবল খেলায় হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) বিবৃতি দেন। এরপর তারা প্রশাসনের সহযোগিতায় আবারও খেলার সিদ্ধান্ত নেন। সুষ্ঠুভাবে খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ায় খুশী তারা। 
খেলাটির আয়োজন করে উপজেলার বাওনা গ্রামের ছাত্র কল্যাণ সমবায় সমিতি।

হাকিমপুর থানা ওসি সুজন মিঞা জানান, খেলাটি যেন পুনরায় অনুষ্ঠিত হয় সে জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি উপজেলার বাওনা গ্রামের ছাত্রকল্যাণ সমবায় সমিতি প্রমীলা ফুটবল প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করে। নারীদের ফুটবল খেলা ‘বেহায়াপনা’ আখ্যা দিয়ে ভাঙচুর চালায় কয়েকশ লোক। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসন খেলাটি বন্ধ ঘোষণা করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ