ঢাকায় বিভিন্ন সময়ে হারিয়ে যাওয়া ১০৬টি মোবাইল উদ্ধার করে মালিককে বুঝিয়ে দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ। এর মধ্যে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা ৬৫টি এবং হাতিরঝিল থানা ৪১টি মোবাইল উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত মোবাইলের আনুমানিক বাজারমূল্য ২২ লাখ টাকা। বিভিন্ন সময় মোবাইল হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় মালিকদের সাধারণ ডায়েরির (জিডি) প্রেক্ষিতে গত এক মাসে মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের সহকারী কমিশনারে কার্যালয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার ইবনে মিজান উদ্ধারকৃত মোবাইল মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিল্পাঞ্চল জোনের এসি রব্বানী হোসেন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি গাজী শামীমুর রহমান ও হাতিরঝিল থানার ওসি মোহাম্মদ রাজুসহ পুলিশ সদস্যরা।

জানা যায়, জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের সহকারী কমিশনার রব্বানী হোসেন দুই থানায় দুটি মোবাইল উদ্ধার টিম গঠন করেন। তিনি মাসে ১০০টি মোবাইল ফোন উদ্ধারের পরিকল্পনা করেন। তার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান এবং মোবাইল উদ্ধার টিমের সদস্যদের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে গত মাসে ১০৬টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

মোবাইল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপকমিশনার ইবনে মিজান বলেন, মোবাইল উদ্ধার কার্যক্রম আরও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে। তেজগাঁও বিভাগের ছয়টি থানাতেই টিম গঠন করে হারানো মোবাইল প্রকৃত মালিকদের কাছে দ্রুততম সময়ে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এসময় তিনি জনসাধারণকে আরও সচেতনভাবে মোবাইল ব্যবহার ও সংরক্ষণের অনুরোধ জানান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না, মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, 'আমাদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে একটা নেতিবাচক সংবাদ দেখলেই যাচাই-বাছাই না করে শেয়ার করে দেওয়া হয়। অত্যন্ত ভিত্তিহীন সংবাদও আমরা শেয়ার করে দেই।'

সিইসি বলেন, 'দয়া করে সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না। এই মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন। তথ্যটা যেন আগে যাচাই করে তারপরে শেয়ার করেন।'

আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন সিইসি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভুয়া সংবাদের প্রচার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপপ্রয়োগ রোধে করণীয় সম্পর্কে তিনি এসব কথা বলেন।

থানা আনসার কোম্পানি/প্লাটুন সদস্যদের আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণের (৪র্থ ধাপ) সমাপনী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইসি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো সংবাদ দেখা মাত্রই নাগরিকদের যাচাইবাছাই করতে আহ্বান জানান সিইসি। নিশ্চিত হওয়ার আগে শেয়ার না করতে বলেন তিনি।

জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে আনসার ভিডিপির ভূমিকাকে মূল শক্তি বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, 'এনারাই অধিক সংখ্যায় নিয়োজিত থাকেন। এবং আমাদের হিসেব করতে গেলে প্রথম এদেরকেই হিসেব করতে হয় যে, কতজন আনসার ভিডিপি সদস্য আমরা মোতায়েন করতে পারব। মূল কাজটা আঞ্জাম (সম্পাদন) দিতে হয় কিন্তু আনসার এবং ভিডিপির সদস্যদের।'

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। নির্বাচনকালীন জনগণের নিরাপত্তা, ভোট কেন্দ্রের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণে আনসার বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি। নির্বাচনে দেশজুড়ে প্রায় ৬ লাখ আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্বপালন করবেন বলেন মহাপরিচালক।

অনুষ্ঠানে মহড়ায় ঢাকা মহানগর আনসারের চারটি জোনের অধীন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩২০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য অংশ নেন।  আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা টহল, দায়িত্ব বণ্টন ও জরুরি প্রতিক্রিয়া অনুশীলনে অংশ নেন।

মহড়ায় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া, ভোটারদের শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ভোট প্রদানে সহায়তা, জাল ভোট প্রতিরোধ, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা এবং সেনা, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশের সঙ্গে দ্রুত সমন্বয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন জোনের অধিনায়ক এবং প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ