সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় চারটি প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদন সমিতির সভাপতিকে দেওয়া কারণ দর্শানো নোটিশের (শোকজ) জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় ফের নোটিশ দিয়েছে মিল্ক ভিটা কর্তৃপক্ষ। সরকারি গোচারণ ভূমিতে ঘাসের পরিবর্তে নিয়মবহির্ভূতভাবে শসার চাষ করায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
চারজন হলেন– শাহজাদপুর উপজেলার বৃ-আঙ্গারু প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল হাকিম মানিক, মধ্যপাড়া প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতির সভাপতি তাহেজ প্রমাণিক, সরকারপাড়া প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতির সভাপতি ফারুক আহমেদ ও দক্ষিণ বাঙ্গালপাড়া প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আব্দুল মজিদ আকন্দ।
মিল্ক ভিটার উপমহাব্যবস্থাপক (সমিতি) ছাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চার সভাপতিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও জবাব সন্তোষজনক হয়নি। এ কারণে ফের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ১৬ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) লিটুস লরেন্স চিরান সরেজমিন গোচারণ ভূমির বাথান পরিদর্শন করেছেন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
মিল্ক ভিটার আওতায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ১ হাজার ৬৮ দশমিক ১৪ একর গোচারণ ভূমি রয়েছে। এসব ভূমি ৪৯টি প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতিকে সরকারিভাবে প্রতি একর ২ হাজার টাকায় বার্ষিক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি