হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট ও মাধবপুরে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়েছে। পৃথক পৃথক সময়ে ম্যুরালগুলো ভাঙচুর করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে নিমতলায় থাকা শেখ মুজিবের ম্যুরাল এবং চুনারুঘাট উপজেলা শহরের শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়।  শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মাধবপুর উপজেলার ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া চা-বাগানের স্মৃতিসৌধের সামনে শেখ মুজিবুর রহমানে ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে নিমতলায় থাকা শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙার প্রাক্কালে  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সাকিব হোসাইন নেতৃত্ব দেন।

এ সময় তিনি বলেন, “হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালসহ বিভিন্ন চিহ্ন রয়েছে। এসব ম্যুরাল ও চিহ্ন অচিরেই ভেঙে ফেলতে হবে। এদেশের মাঠিতে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের কোনো চিহ্ন থাকতে পারবে না।” 

হবিগঞ্জ জেলা শহরের পর চুনারুঘাট উপজেলা শহরে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে মানচিত্রের ছবি টানিয়ে দেওয়া হয়। 

বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা শহরের শহীদ মিনারের পূর্বদিকে স্থাপিত ম্যুরাল ভেঙে ফেলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। এতে শত শত ছাত্রজনতা অংশ নেন।

তারপর শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মাধবপুর উপজেলার ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া চা-বাগানের স্মৃতিসৌধের সামনে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা।

এ সময় বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সমন্বয়ক তারেক রহমান বলেন, “ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের অশুভ চিহ্ন বাংলার মাটি থেকে মুছে ফেলা হবে।”

ঢাকা/মামুন/টপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ খ ম জ ব র রহম ন র ম য র ল ম ধবপ র র স মন উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ