তৃতীয় স্তরের দলের বিপক্ষেও ঘাম ঝরিয়ে জিতল ম্যান সিটি
Published: 8th, February 2025 GMT
লেইটন অরিয়েন্ট ১ : ২ ম্যান সিটি
ভুলে যাওয়ার মতো এক মৌসুম পার করছে পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। এমনকি তৃতীয় স্তরের দলের বিপক্ষেও হারের আতঙ্ক নিয়ে পার করতে হচ্ছে অর্ধেকের বেশি সময়। আজ শনিবার এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে লেইটন অরিয়েন্ট নামের অখ্যাত দলের বিপক্ষে ৫৫ মিনিট পিছিয়ে ছিল সিটি।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য অঘটন শিকার হতে হয়নি বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়নদের। আবদুকোদির খুসানভ ও কেভিন ডি ব্রুইনার গোলে ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে সিটি।
লেইটনের মাঠ ব্রিসবেন রোডে শুরু থেকেই বলের দখল ছিল সিটির কাছে। কিন্তু আক্রমণগুলোকে পরিণতি দিতে পারছিল না তারা। এর মধ্যে ১৬ মিনিটে অবিশ্বাস্য এক গোলে পিছিয়ে পড়ে ইতিহাদের ক্লাবটি।
আরও পড়ুনগার্দিওলার বিচ্ছেদই সিটির বাজে অবস্থার বড় কারণ, মনে করেন অঁরি০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫প্রায় ৪৫ গজ দূরে বল পেয়ে সেখান থেকেই শট নেন জেমি ডনলি। সামনের দিকে এগিয়ে আসা সিটি গোলরক্ষক ওর্তেগা পিছিয়ে গিয়েও বলের নাগাল পাননি। ওপরের পোস্টে লেগে বল অবশ্য বাইরের দিকেই চলে আসছিল, কিন্তু ওর্তেগার গায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে জড়িয়ে যায় জালে। রেফারি তাই আত্মঘাতী গোলই দিয়েছেন। চোখধাঁধানো এই গোলেই এগিয়ে যায় লেইটন।
পিছিয়ে পড়ার পর ম্যাচে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সিটি। আক্রমণের পর আক্রমণে গিয়ে কাঁপিয়ে দেয় প্রতিপক্ষকে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলটি মেলেনি কোনোভাবেই। পিছিয়ে থেকেই গার্দিওলার দলকে যেতে হয়েছে বিরতিতে। ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ অবশ্য লেইটনও পেয়েছিল।
কিন্তু তারাও সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। প্রথমার্ধে সিটি ৭৬ শতাংশ বলের দখল রেখে ১৩টি শট নিয়ে ৪টি লক্ষ্যে রাখে। বিপরীতে ২৩ শতাংশ বলের দখল রাখা লেইটন ৪টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখে ২টি।
আরও পড়ুনএমিরেটসে বিধ্বস্ত গার্দিওলার সিটি, আর্সেনালের ৫-১ গোলে জয়০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫বিরতির পর গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে সিটি। আক্রমণের পর আক্রমণে যায় তারা। শেষ পর্যন্ত ৫৬ মিনিটে খুসানভের গোলে সমতায় ফেরে তারা। এরপর সিটিকে ৭৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি এনে দেন ডি ব্রুইনা। শেষ দিকে অবশ্য সমতা ফেরানোর দারুণ এক সুযোগ এসেছিল লেইটনের সামনে, যদিও তা কাজে লাগেনি। শেষ পর্যন্ত কষ্টের এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টানা চারবারের প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে
একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।
এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।
আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।
সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়