লেইটন অরিয়েন্ট ১ : ২ ম্যান সিটি

ভুলে যাওয়ার মতো এক মৌসুম পার করছে পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। এমনকি তৃতীয় স্তরের দলের বিপক্ষেও হারের আতঙ্ক নিয়ে পার করতে হচ্ছে অর্ধেকের বেশি সময়। আজ শনিবার এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে লেইটন অরিয়েন্ট নামের অখ্যাত দলের বিপক্ষে ৫৫ মিনিট পিছিয়ে ছিল সিটি।

শেষ পর্যন্ত অবশ্য অঘটন শিকার হতে হয়নি বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়নদের। আবদুকোদির খুসানভ ও কেভিন ডি ব্রুইনার গোলে ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে সিটি।

লেইটনের মাঠ ব্রিসবেন রোডে শুরু থেকেই বলের দখল ছিল সিটির কাছে। কিন্তু আক্রমণগুলোকে পরিণতি দিতে পারছিল না তারা। এর মধ্যে ১৬ মিনিটে অবিশ্বাস্য এক গোলে পিছিয়ে পড়ে ইতিহাদের ক্লাবটি।

আরও পড়ুনগার্দিওলার বিচ্ছেদই সিটির বাজে অবস্থার বড় কারণ, মনে করেন অঁরি০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রায় ৪৫ গজ দূরে বল পেয়ে সেখান থেকেই শট নেন জেমি ডনলি। সামনের দিকে এগিয়ে আসা সিটি গোলরক্ষক ওর্তেগা পিছিয়ে গিয়েও বলের নাগাল পাননি। ওপরের পোস্টে লেগে বল অবশ্য বাইরের দিকেই চলে আসছিল, কিন্তু ওর্তেগার গায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে জড়িয়ে যায় জালে। রেফারি তাই আত্মঘাতী গোলই দিয়েছেন। চোখধাঁধানো এই গোলেই এগিয়ে যায় লেইটন।

পিছিয়ে পড়ার পর ম্যাচে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সিটি। আক্রমণের পর আক্রমণে গিয়ে কাঁপিয়ে দেয় প্রতিপক্ষকে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলটি মেলেনি কোনোভাবেই। পিছিয়ে থেকেই গার্দিওলার দলকে যেতে হয়েছে বিরতিতে। ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ অবশ্য লেইটনও পেয়েছিল।

কিন্তু তারাও সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। প্রথমার্ধে সিটি ৭৬ শতাংশ বলের দখল রেখে ১৩টি শট নিয়ে ৪টি লক্ষ্যে রাখে। বিপরীতে ২৩ শতাংশ বলের দখল রাখা লেইটন ৪টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখে ২টি।

আরও পড়ুনএমিরেটসে বিধ্বস্ত গার্দিওলার সিটি, আর্সেনালের ৫-১ গোলে জয়০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিরতির পর গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে সিটি। আক্রমণের পর আক্রমণে যায় তারা। শেষ পর্যন্ত ৫৬ মিনিটে খুসানভের গোলে সমতায় ফেরে তারা। এরপর সিটিকে ৭৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি এনে দেন ডি ব্রুইনা। শেষ দিকে অবশ্য সমতা ফেরানোর দারুণ এক সুযোগ এসেছিল লেইটনের সামনে, যদিও তা কাজে লাগেনি। শেষ পর্যন্ত কষ্টের এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টানা চারবারের প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল ইটন অবশ য

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

এশিয়া কাপে আজকের রাত যেন এক নাটকীয় অধ্যায়। ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবুধাবির মাঠে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া এই লড়াই কেবল দুই দলের নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ভাগ্যও। কোটি টাইগার সমর্থক তাই আজ তাকিয়ে থাকবে টিভি পর্দায়। কারণ, এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে, বাংলাদেশ কি সুপার ফোরে উড়াল দেবে, নাকি গ্রুপ পর্বেই শেষ হবে স্বপ্নযাত্রা।

গ্রুপের সমীকরণ এখন টানটান নাটকের মতো। তিন ম্যাচে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শ্রীলঙ্কা। সমান ৪ পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ঝুলিতে আছে ২ পয়েন্ট; এক জয় ও এক হারের ফল। হংকং অবশ্য তিন ম্যাচেই হেরে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে।

আরো পড়ুন:

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান

এখন হিসাবটা এমন—
আফগানিস্তান হেরে গেলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই সুপার ফোরে।
আফগানিস্তান জিতলে সমীকরণ জটিল হবে। তখন শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান ৪ হলেও নেট রান রেটে স্পষ্ট এগিয়ে থাকবে আফগানরা (২.১৫০)। শ্রীলঙ্কার রান রেট ১.৫৪৬, আর বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে -০.২৭০-তে।

অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি জেতে, তবে বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে এক অসম্ভব সমীকরণের দিকে। সেটা হলো- লঙ্কানদের অন্তত ৭০ রানের ব্যবধানে হারতে হবে এবং তা করতে হবে ৫০ বল হাতে রেখে। অন্যথায় রান রেটের খেলায় পিছিয়েই থাকতে হবে টাইগারদের। তবে বৃষ্টি যদি হানা দেয় কিংবা ম্যাচ কোনো কারণে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দু’দলই নিশ্চিতভাবেই চলে যাবে সুপার ফোরে।

ম্যাচকে ঘিরে দুই শিবিরেই চাপ-উত্তেজনার আবহ। আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব মনে করেন, চাপটা আসলে শ্রীলঙ্কার ওপরই বেশি, “আমরা এসব টুর্নামেন্ট খেলতে অভ্যস্ত, আমাদের কোনো চাপ নেই। শ্রীলঙ্কা ভালো দল ঠিকই, তবে তারাও চাপে থাকবে। আমার মনে হয় দারুণ একটা ম্যাচ হবে।”

অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। হ্যাঁ, বাংলাদেশের সমর্থকরা আমাদের জয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরাও জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব।”

হংকংয়ের বিপক্ষে জিতলেও শ্রীলঙ্কাকে ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা বলছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টা সহজ হবে না তাদের জন্যও। শেষ পর্যন্ত কারা হাসবে জয়ের হাসিতে, আর কোন সমীকরণে দাঁড়াবে বাংলাদেশের ভাগ্য; এই প্রশ্নের উত্তরই দেবে আজকের আবুধাবির রাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ