জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের বিভিন্ন সুপারিশ জনবিরোধী আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ। বিসিএস প্রশাসন ছাড়া বাকি ২৫ ক্যাডার নিয়ে গঠিত এই পরিষদের নেতারা বলেছেন, উপসচিব পদে পদোন্নতিতে কোনো কোটা মানা হবে না। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের নেতারা এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিষদের সমন্বয়ক মো.

শওকত হোসেন মোল্যা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ ও বাকি ২৫ ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা দিয়ে হাস্যকর ও অযৌক্তিক প্রস্তাব করেছে। এমন কোটা মানা হবে না– ঘোষণা দিয়ে কমিশনের এই প্রস্তাব সংশোধন করে শতভাগ পদোন্নতি সব ক্যাডারের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।

শওকত হোসেন বলেন, বিসিএস ২৫টি ক্যাডার কর্মকর্তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতপ্রকাশ করায় ঢালাওভাবে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত বরখাস্ত করা হয়েছে ১৪ কর্মকর্তাকে। কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম চলছে। কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়া সামান্য অজুহাতে এ ধরনের প্রজ্ঞাপন জারি করা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সাময়িক বরখাস্ত করা মৌলিক অধিকার ও চাকরিবিধির পরিপন্থি।

তিনি বলেন, এভাবে বরখাস্ত অব্যাহত থাকলে সিভিল সার্ভিসে অসন্তোষ দেখা দেবে, যা সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে পারে। এক সপ্তাহের মধ্যে বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করা না হলে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদভুক্ত ক্যাডার কর্মকর্তারা কর্মবিরতিসহ ধারাবাহিক কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবেন।

তিনি অভিযোগ করেন, প্রশাসন ক্যাডারের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ থাকলেও সে বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এক প্রশ্নের জবাবে পরিষদ নেতারা বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কিছু প্রস্তাব সংবিধান ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। প্রতিবেদনের কিছু প্রস্তাব পরস্পরের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ। কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব পেলে খুঁটিনাটি যাচাই করে লিখিত প্রস্তাব দেওয়া হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণপূর্ত ক্যাডারের মো. জামিলুর রহমান, স্বাস্থ্য ক্যাডারের ডা. মোহাম্মদ নেয়ামত হোসেন, শিক্ষা ক্যাডারের ড. মুহম্মদ মফিজুর রহমান, প্রাণিসম্পদ ক্যাডারের ড. মুহাম্মদ আহসান হাবিব, কৃষি ক্যাডারের মো. মমিনুল হক ও ফাতেহা নূর।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বরখ স ত

এছাড়াও পড়ুন:

তিন জেলার ডিসি প্রত্যাহার

দেশের তিন জেলার জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহার করা হয়েছে। জেলাগুলো হলো কক্সবাজার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও মাদারীপুর। তাঁদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে বদলি করা হয়েছে।

সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

কক্সবাজারের ডিসি মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনকে যুগ্ম সচিব হিসেবে ‘জাতীয় বেতন কমিশন-২০২৫’–এ দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে অর্থ বিভাগে পদায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের ডিসি মো. আবদুস সামাদকে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আর মাদারীপুরের ডিসি মোছা. ইয়াসমিন আক্তারকে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের যুগ্ম সচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

অন্যদিকে কক্সবাজারের নতুন জেলা প্রশাসক করা হয়েছে জাতীয় বেতন কমিশনের চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব (উপসচিব) মো. আ. মান্নানকে।

কক্সবাজারের ডিসি মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনকে যুগ্ম সচিব হিসেবে ‘জাতীয় বেতন কমিশন-২০২৫’–এ দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে অর্থ বিভাগে পদায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের ডিসি মো. আবদুস সামাদকে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আর মাদারীপুরের ডিসি মোছা. ইয়াসমিন আক্তারকে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের যুগ্ম সচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

অন্যদিকে কক্সবাজারের নতুন জেলা প্রশাসক করা হয়েছে জাতীয় বেতন কমিশনের চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব (উপসচিব) মো. আ. মান্নানকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এই সরকারও আমলাতন্ত্রের চাপে!
  • ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পের বিমা দাবি নিষ্পত্তির অনুরোধ বিটিএমএর
  • অকার্যকর ডেমু ট্রেন কেনায় রেলওয়ের সাবেক মহাপরিচালকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা
  • পুরোনো পথে সরকার, প্রশাসনে পদ ছাড়াই পদোন্নতি
  • এই সরকারও পুরোনো পথে, প্রশাসনে পদ ছাড়াই পদোন্নতি
  • তিন জেলার ডিসি প্রত্যাহার