জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা আজ শুরু, শিক্ষার্থীদের জন্য ৯ নির্দেশনা
Published: 9th, February 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। পরীক্ষা চলবে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৯ ফেব্রুয়ারি পাঁচ শিফটে ‘ডি’ (জীববিজ্ঞান অনুষদ) ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন মেয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন ১০ ফেব্রুয়ারি একই ইউনিটের ছেলেশিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা প্রথম চার শিফটে অনুষ্ঠিত হবে। একই তারিখে পঞ্চম শিফটে আইবিএ-জেইউর (ছেলে-মেয়ে উভয়) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
১১ ফেব্রুয়ারি দুই শিফটে ‘ই’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন তৃতীয় শিফট থেকে পঞ্চম শিফট পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটে (গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি) আবেদনকারী মেয়েশিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ১২ ফেব্রুয়ারি পাঁচ শিফটে ‘এ’ ইউনিটে (গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি) আবেদনকারী ছেলেশিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ছয় শিফটে ‘সি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত কলা ও মানবিকী অনুষদ, আইন অনুষদ এবং তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিন ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম শিফটে ‘সি-১’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত নাটক ও নাট্যতত্ত্ব এবং চারুকলা বিভাগের (ছেলে-মেয়ে উভয় শিক্ষার্থী) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং পরের তিন শিফটে ‘বি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া ‘সি-১’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে উপস্থিত থাকতে হবে। চারুকলা বিভাগে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৫ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।
কলা ও মানবিকী অনুষদের অন্তর্ভুক্ত নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ এবং চারুকলা বিভাগের এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সময়সূচি অনুযায়ী ব্যবহারিক পরীক্ষার সময় প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সঙ্গে আনতে হবে। কোনো প্রার্থীর দুটি বিভাগে একই সময়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে প্রার্থী সংশ্লিষ্ট সভাপতির কাছে লিখিতভাবে আবেদন করে তারিখ ও সময় সমন্বয় করে নিতে পারবেন।
ছবি: প্রথম আলো.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই ডকুমেন্টরিতে ‘ফুটেজ’ না থাকায় জাবি ছাত্রদল নেতার হট্টগোল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে নির্মিত দেশের প্রথম স্মৃতিস্তম্ভ ‘অদম্য ২৪’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রচারিত ডকুমেন্টরিতে ফুটেজ না থাকায় এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে হট্টগোল করা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের (২০০৯-১০ সেশন) সাবেক শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন ফজিলাতুন্নেসা হলের সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডকুমেন্টরি প্রদর্শন শেষে এ হট্টগোল করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
জুলাই শহীদ পরিবারদের সংবর্ধনা দিল জাবি
জুলাই শহীদদের স্মরণে জাবি ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের শিল্প, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
ডকুমেন্টরি প্রদর্শন শেষে ওই ছাত্রদল নেতা উত্তেজিত কণ্ঠে বলতে থাকেন, “এই ডকুমেন্টরিতে ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে। ডকুমেন্টরিতে ছাত্রদলের অবদানকে অস্বীকার করা হয়েছে। আমরাও আন্দোলন মাঠে ছিলাম, জেল-জুলুম, মামলা আমরাও খেয়েছি।”
এ সময় তার সঙ্গে শাখা ছাত্রদলের বর্তমান কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক রোমান রাশিদুল ও হাসান শাহরিয়ার রমিমকেও হট্টগোল করতে দেখা যায়।
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, ডকুমেন্টরি নির্মাণের জন্য তাদের দুইদিন সময় দেওয়া হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে একটি মাত্র ক্যামেরা দিয়ে ২৫ থেকে ৩০ জনের ইন্টারভিউ নেওয়া খুবই কষ্টসাধ্য কাজ ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে পর্যাপ্ত ইকুইপমেন্ট ও সময় না পাওয়ায় তাদের পূর্ণাঙ্গ ডকুমেন্টরি নির্মাণ কাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
তবে এ ঘটনার পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের এক প্রভাবশালী শিক্ষকের হাত রয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষক।
তারা জানান, ডকুমেন্টরি নির্মাণের পূর্বে তারা জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ছবি ও ভিডিও ফুটেজ চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সব পাবলিক ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করেছিলেন। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের পাঠানো ও সাংবাদিকদের থেকে সংগৃহীত ছবি ও ফুটেজ দিয়ে ডকুমেন্টরি নির্মাণ করা হয়েছে। যে ব্যক্তি দাবি করেছেন তার ছবি বা ফুটেজ দেয়া হয়নি, তার ছবি বা ফুটেজ তাদের কাছে কেউ দেয়নি। এজন্য তারা ডকুমেন্টরিতে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেননি?
এ নিয়ে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, “আজ যে একটা বিশেষ পরিস্থিতি দেখেছি, এটাও জাহাঙ্গীরনগরের বৈশিষ্ট্য, এটাও ২৪ এর অর্জন। খারাপভাবে দেখার প্রয়োজন নেই। প্রত্যেকটি কাজের মধ্যে ভুল থাকতে পারে, এখানে শিক্ষার বিষয় রয়েছে। ঠিক একইসঙ্গে প্রতিবাদের যে ভাষা, সেখানেও শিক্ষিত হবার প্রয়োজন রয়েছে।”
তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে সমালোচনা ও কুৎসার পার্থক্য শিখবে। একইসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশংসা ও পূজার পার্থক্য শিখবে ও বুঝবে।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী