ঢাকা বোট ক্লাব জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার/অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (সিকিউরিটি) পদে দুজন পুরুষ কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

পদের নাম: ম্যানেজার/অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (সিকিউরিটি)

পদসংখ্যা: ২

যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। অত্যধিক অভিজ্ঞ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিলযোগ্য। হোটেল, রেস্টুরেন্ট, পার্টি/কমিউনিটি সেন্টার, ক্লাবে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অন্তত পাঁচ থেকে ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অ্যাডমিন অ্যান্ড প্রটোকল, সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট ও সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্টে অভিজ্ঞ হতে হবে।

বয়স: ৩০ থেকে ৫০ বছর

চাকরির ধরন: ফুলটাইম

কর্মস্থল: ঢাকা

বেতন: মাসিক বেতন ২৫,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা

সুযোগ-সুবিধা: বছরে দুটি উৎসব বোনাস, মুঠোফোন বিল, দুপুরের খাবারে ভর্তুকি ও বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির সুযোগ আছে।

আরও পড়ুনজীবন বীমা করপোরেশন চাকরি, পদ ৩০১৬ ঘণ্টা আগেআবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের এই লিংক থেকে নিয়োগ–সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে Apply Now বাটনে ক্লিক করে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।

আরও পড়ুনমিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে চাকরি, ১৫ জেলায় কর্মী নিয়োগ৩ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল

২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার

সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ,  ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।

কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।

শেখ আবদুল আজিজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ