যশোরের অভয়নগর উপজেলার ভৈরব নদে ইউরিয়া সারবোঝাই একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। আজ রোববার ভোরে উপজেলার শুভরাড়া এলাকায় ভৈরব নদে এমভি সেভেন সিজ-৪ কার্গো জাহাজটির তলা ফেটে পানিতে ডুবে যায়। এ সময় জাহাজে প্রায় ৮৫০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার ছিল।

ডুবে যাওয়া ইউরিয়া সারগুলো বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প সংস্থা (বিসিআইসি) আমদানি করেছে। ঢাকার পরিবহন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সামিট অ্যাসোসিয়েটস সারগুলোর পরিবহন ঠিকাদার।

এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি অভয়নগর উপজেলার সিদ্দিপাশা এলাকায় ভৈরব নদে গমবোঝাই এমভি ওয়েস্টার্ন-২ কার্গো জাহাজটি কাত হয়ে পানি ঢুকে নদের পানিতে ডুবে যায়। ডুবে যাওয়ার সময় জাহাজে প্রায় ৭০০ মেট্রিক টন গম ছিল।

বিসিআইসি সূত্র জানায়, সাধারণত বিদেশ থেকে বড় জাহাজে করে আমদানি করা ইউরিয়া সার চট্টগ্রাম বন্দরে এবং মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়ায় আনা হয়। সেখানে বড় জাহাজ থেকে ইউরিয়া সার ছোট জাহাজে (কার্গো জাহাজ) করে অভয়নগরের নওয়াপাড়ায় আনা হয়। নওয়াপাড়ায় কার্গো জাহাজ থেকে নামিয়ে ওই সার ট্রাকে করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলার বাফার গুদামে নেওয়া হয়।

সূত্র জানায়, মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়া থেকে কার্গো জাহাজ এমভি সেভেন সিজ-৪ ইউরিয়া সার বোঝাই করে ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে অভয়নগর উপজেলার শুভরাড়া খেয়াঘাট এলাকায় ভৈরব নদের ঘাটে নোঙর করে। গতকাল শনিবার রাতে শক্ত কোনো কিছুর সঙ্গে তলদেশের আঘাত লেগে কার্গো জাহাজটির তলা ফেটে যায়। এতে জাহাজে পানি উঠতে থাকে। এরপর নদে জোয়ার শুরু হয়। এ সময় জাহাজটি ধীরে ধীরে নদের পানিতে তলিয়ে যেতে থাকে। আজ রোববার ভোর পাঁচটার দিকে জাহাজটি নদের পানিতে তলিয়ে যায়।

এমভি সেভেন সিজ-৪–এর মাস্টার জুয়েল হোসেন বলেন, ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ইউরিয়া সারবোঝাই করে রওনা দিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে অভয়নগর উপজেলার শুভরাড়া খেয়াঘাট এলাকায় পৌঁছান তাঁরা। এর পর থেকে থেকে কার্গো জাহাজটি শুভরাড়া খেয়াঘাটের পাশে ভৈরব নদে নোঙর করা ছিল। গতকাল শনিবার জাহাজ থেকে ইউরিয়া নামানোর কাজ শুরু হয়। ৯০০ বস্তা সার নামানো হয়। গতকাল রাত আটটার দিকে নদে ভাটা ছিল। এ সময় নদে পানি একেবারেই কমে যায়। জাহাজের তলদেশ নদের মাটির সঙ্গে ঠেকে ছিল। মাটিতে পাথর কিংবা শক্ত কোনো বস্তু ছিল। জাহাজের তলদেশের সঙ্গে ওই পাথর কিংবা শক্ত কোনো বস্তুর সজোরে আঘাত লাগে। এতে কার্গো জাহাজটির তলদেশ ফেটে যায়। রাত ১২টার দিকে নদে জোয়ার আসতে শুরু করে। এতে জোয়ারের সময় জাহাজে পানি উঠতে থাকে এবং জাহাজটি ধীরে ধীরে নদের পানিতে তলিয়ে যেতে থাকে। আজ ভোর পাঁচটার দিকে জাহাজটি নদের পানিতে ডুবে যায়। তিনি আরও বলেন, কার্গো জাহাজে পানি ঢুকে অনেক সার ভিজে গেছে। আজ রোববার জাহাজ থেকে প্রায় ৪০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার নামানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অভয়নগর উপজ ল র র উপজ ল র সময় জ হ জ এল ক য় ইউর য়

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু

যশোরের মনিরামপুরে খেলা করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রায়সা খাতুন নামে ১৮ মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে  উপজেলার ডাকুরিয়া ইউনিয়নের গাবুখালী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত রায়সা খাতুন উপজেলার গাবুখালী গ্রামের রাজু আহম্মেদের ছোট মেয়ে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে মায়ের সঙ্গে বাড়ির উঠানে খেলা করছিল ছোট্ট রায়সা। এ সময় মায়ের চোখের আড়ালে গিয়ে ঘরের পাশে বৈদ্যুতিক আর্থিং এ হাত দেয় সে এবং কিছুক্ষণের মধ্যে নিথর হয়ে পড়ে। এ সময় পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. শোভন বিশ্বাস বলেন, ‘‘সকালে মৃত অবস্থায় রায়সা নামে এক শিশুকে হাসপাতালে আনা হয়। তার ডানহাতে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। শরীরে আলামত দেখে ও পরিবারের কাছ থেকে জেনেছি, সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে।’’

আরো পড়ুন:

বরগুনায় দুই শিশুকে কুপিয়ে হত্যায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

ফরিদপুরে বাবার গাড়ির নিচে চাপা পড়ে সন্তানের মৃত্যু

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে শিশুর মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। মনিরামপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। 
 

ঢাকা/প্রিয়ব্রত/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যশোরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু