ভৈরব নদে ৮৫০ টন সার নিয়ে জাহাজডুবি
Published: 9th, February 2025 GMT
যশোরের নওয়াপাড়ায় ভৈরব নদে ইউরিয়া সার বোঝাই একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। রোববার সকালে উপজেলার শুভরাড়া এলাকায় ইউরিয়া সার বোঝাই এমভি সেভেন সিজ-৪ কার্গো জাহাজটি তলা ফেটে ডুবে যায়। এ সময় জাহাজে প্রায় ৮৫০ টন ইউরিয়া সার ছিল।
জাহাজে থাকা সার বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) আমদানি করেছে। ঢাকার পরিবহন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সামিট অ্যাসোসিয়েটস এসব সারের পরিবহন ঠিকাদার।
ডুবে যাওয়া জাহাজের মাস্টার জুয়েল হোসেন জানান, গত বুধবার রাতে ভৈরব নদের শুভরাড়া খেয়াঘাট এলাকায় পৌঁছায় জাহাজটি। এরপর শনিবার ৯০০ বস্তা সার নামানোর পর রাত ৮টার দিকে নদে ভাটা হলে সেটি নদের তলদেশে ঠেকে যায়। এ সময় নিচে থাকা শক্ত কোনো কিছুর আঘাতে জাহাজের তলা ফেটে যায়। রাত ১২টার দিকে জোয়ার এলে জাহাজে পানি উঠতে থাকে এবং জাহাজটি ধীরে ধীরে তলিয়ে যেতে থাকে। ভোর ৫টার দিকে সম্পূর্ণ ডুবে যায়। রোববার সারাদিনে জাহাজটি থেকে ভিজে যাওয়া প্রায় ৪০০ টন ইউরিয়া সার নামানো হয়েছে।
পরিবহন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সামিট অ্যাসোসিয়েটসের ব্যবস্থাপক ওবায়দুল হক বলেন, জাহাজ ডুবে যাওয়ার কোনো খবর আমরা পাইনি। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারাও কোনো তথ্য দিতে পারেননি।
এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি ভৈরব নদের সিদ্দিপাশা এলাকায় গম বোঝাই এমভি ওয়েস্টার্ন-২ নামে একটি কার্গো জাহাজ ৭০০ টন গম নিয়ে ডুবে গিয়েছিল।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউর য়
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?