মালদ্বীপে আড্ডু সিটিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কল্যাণ ক্যাম্প
Published: 10th, February 2025 GMT
সম্প্রতি মালদ্বীপের আড্ডু সিটি ভ্রমণ করে মালদ্বীপ বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রতিনিধি দল। এতে নেতৃত্ব দেন ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ সোহেল পারভেজ।
সফরকালে উক্ত দ্বীপে অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য স্থানীয় ভিস্তাবিচ হোটেলে ২ দিন ব্যাপি ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলার ও কল্যাণ ক্যাম্প আয়োজন করা হয়। সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন মিশনের তৃতীয় সচিব জিল্লুর রহমান, কল্যাণ সহকারী আল মামুন পাঠান ও কনস্যুলার সহকারী এবাদউল্লাহ।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ সোহেল পারভেজ উক্ত ক্যাম্প উদ্বোধন করেন।
সেবা ক্যাম্পে মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে ৫৫ টি ই পাসপোর্ট, ১২টি এমআরপি আবেদন এনরোলমেন্ট করা হয়। এছাড়াও ৩৪ জন প্রবাসী বাংলাদেশীকে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মেম্বারশিপ কার্ড তাৎক্ষণিকভাবে প্রদান করা হয় ।
সিটি কাউন্সিল সেক্রেটারিয়েটে আড্ডু সিটির মেয়র ও কাউন্সেলরবৃন্দের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত
পরবর্তীতে আড্ডু সিটি মেয়র আলী নিজার এই ক্যাম্প ভিজিট করেন এবং আগত প্রবাসীদের হাতে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মেম্বারশিপ কার্ড তুলে দেন। তিনি এই ধরনের ভ্রাম্যমান ক্যাম্প আরও আয়োজনের জন্য অনুরোধ জানান।
ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার ক্যাম্পে আসা প্রবাসী বাংলাদেশি সবাইকে বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরণ, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড এর সদস্যপদ গ্রহণ, ই-পাসপোর্ট গ্রহণসহ স্থানীয় আইন কানুন মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেন।
এছাড়াও তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিয়ে স্থানীয় আইন কানুন মেনে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান। ক্যাম্পে আসা কর্মীদের মাঝে তথ্য সম্বলিত লিফলেট সহ প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মীদের খেলাধুলার জন্য ফুটবল বিতরণ করা হয়।
সিটি কাউন্সিল সেক্রেটারিয়েটে আড্ডু সিটির মেয়র ও কাউন্সেলরবৃন্দের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এখানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময় আনডকুমেন্টেড কর্মীদের দ্রুত বৈধকরণে নিয়োগকর্তাদের উদ্বুদ্ধকরণের জন্য কাউন্সিলকে অনুরোধ জানানো হয়। স্থানীয় কাউন্সিলরবৃন্দ প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাজের প্রশংসা করেন ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ঢাকা/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য কল য ণ
এছাড়াও পড়ুন:
‘আরও দ্রুত মুছে ফেলব’, ইরানকে আবার হামলার হুমকি দিলেন ট্রাম্প
পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরানকে আবারও হামলার হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ইরানের পারমাণবিক সম্ভাবনাকে এত দ্রুত মুছে ফেলার হুমকি দিয়েছেন যে কেউ আঙুল তোলার আগে সেটা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
গতকাল সোমবার স্কটল্যান্ডে এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুমকি দেন ট্রাম্প। সম্প্রতি তেহরান বলেছে, তারা বেসামরিক উদ্দেশ্যে পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি নিয়ে এ বছর তেহরানের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের আলোচনা চলছিল। জুনে ইরানে ইসরায়েলের হামলার পর ওই আলোচনা ভেস্তে যায়।
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে একটি আলোচনার আগে দিয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি জোর দিয়ে বলেছিলেন, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অধিকার আছে।এ প্রসঙ্গে স্কটল্যান্ডে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ইরান খুব খারাপ সংকেত দিচ্ছে, খুবই বাজে বার্তা পাঠাচ্ছে।
ট্রাম্পের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘তাদের (ইরান) এটা করা উচিত নয়। আমরা তাদের পারমাণবিক সম্ভাবনাকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছি। তারা আবার এটা শুরু করতে পারে। যদি তারা করে, আপনি আঙুল তোলার আগেই আমরা সেটা নিশ্চিহ্ন করে দেব। আমরা এটা আনন্দের সঙ্গেই করব—খোলাখুলিভাবে ও নির্দ্বিধায়।’
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে একটি আলোচনার আগে দিয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি জোর দিয়ে বলেছিলেন, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অধিকার আছে। এ আলোচনাকে ইরানি কর্মকর্তারা ‘গুরুত্বপূর্ণ, খোলামেলা ও বিস্তারিত’ বলে বর্ণনা করেছেন।
আমি এখান থেকে ‘স্বৈরশাসক’ খামেনিকে স্পষ্ট করে বার্তা দিতে চাই, আপনি যদি ইসরায়েলকে হুমকি দেওয়া অব্যাহত রাখেন, আমাদের লম্বা হাত আরও শক্তিশালী হয়ে আবারও তেহরান অবধি পৌঁছে যাবে। এবার ব্যক্তিগতভাবে আপনার কাছেও পৌঁছে যাবে।ইসরায়েল কাৎজ, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীগত জুনে ইরানের তিনটি বড় পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর এটা ছিল পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে তেহরানের প্রথম বড় কোনো কূটনৈতিক আলোচনা। তবে আলোচনা থেকে তেমন কোনো অগ্রগতি বা সাফল্যের ঘোষণা আসেনি।
ট্রাম্পের গতকালের বক্তব্যের পর আরাগচি বলেন, ইরান কখনোই হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো ভাষায় সাড়া দেবে না। তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেন, চিকিৎসা ও বেসামরিক কারণে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রয়োজন। যদি ইরান আবারও হামলার শিকার হয়, তাহলে আরও দৃঢ়ভাবে তার প্রতিক্রিয়া জানাতে তেহরান দ্বিধা করবে না।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের ওপর ইসরায়েলের আবার যেকোনো ধরনের হামলা শুরু করার জন্য কার্যত যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।গত সপ্তাহে আল–জাজিরার সঙ্গে কথা বলার সময় ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানও বলেছিলেন, ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি ত্যাগ করবে না। তবে আলোচনার দরজা খোলা রাখবে। ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘাতের পর যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে, সেটি স্থায়ী হওয়া নিয়ে তিনি খুব বেশি আশাবাদী নন বলেও জানান তিনি।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ইরানে আবারও হামলা শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছেন। এর মধ্যে দেশটির নেতৃত্বকে সরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে হামলার পরিকল্পনাও রয়েছে।
আরও পড়ুনইসরায়েল কি ইরানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় যুদ্ধের পরিকল্পনা করছে২৫ জুলাই ২০২৫গত রোববার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে একটি বার্তা পাঠাতে চান। তাঁর বরাত দিয়ে ইসরায়েলের একটি পত্রিকায় বলা হয়, ‘আমি এখান থেকে “স্বৈরশাসক” খামেনিকে স্পষ্ট করে একটি বার্তা দিতে চাই, আপনি যদি ইসরায়েলকে হুমকি দেওয়া অব্যাহত রাখেন, আমাদের লম্বা হাত আরও শক্তিশালী হয়ে আবারও তেহরান অবধি পৌঁছে যাবে। এবার ব্যক্তিগতভাবে আপনার কাছেও পৌঁছে যাবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের ওপর ইসরায়েলের আবার যেকোনো ধরনের হামলা শুরু করার জন্য কার্যত যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
আরও পড়ুনখামেনিকে হত্যার হুমকি দিলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী: আনাদোলু২৮ জুলাই ২০২৫