যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ভালো করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) অনেকটাই বেড়েছে।

২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৬৮ টাকায়; গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ১০ দশমিক ৮৬ টাকা। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ। একইভাবে ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৯২ টাকা; ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল যা ১৮ দশমিক ৪৬ টাকা। অর্থাৎ এই সময়ে ইপিএসের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

কোম্পানির নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো পার শেয়ার বা শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহেও উন্নতি হয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই-ডিসেম্বরে তা ছিল ৭৪ দশমিক ১৩ টাকা; ২০২৩ সালের একই সময়ে যা ছিল মাত্র ৮ দশমিক ৪১ টাকা। এই উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি কোম্পানির নগদ প্রবাহ ব্যবস্থাপনায় উন্নতির লক্ষণ বলেই মনে করছেন বাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

এ ছাড়া যমুনা অয়েলের নিট অ্যাসেট ভ্যালু পার শেয়ার বা শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্যেও ইতিবাচক উন্নতি দেখা গেছে। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষে এনএভি দাঁড়িয়েছে ২৫৯ দশমিক ৫৭ টাকা; ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেষে যা ছিল ২২৮ দশমিক ৬১ টাকা। অর্থাৎ ৬ মাসে এনএভি বেড়েছে ১৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

আর্থিক প্রবৃদ্ধির কারণ

কোম্পানির মতে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংক জমায় সুদ–আয় বৃদ্ধির কারণে ইপিএস বেড়েছে। অন্যদিকে এনওসিএফপিএসের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির কারণ হলো ঋণ ও জমার পরিমাণ বৃদ্ধি। এটা কোম্পানির আর্থিক স্বাস্থ্য উন্নতির লক্ষণ বলে মনে করেন বাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

গত এক বছরে যমুনা অয়েলের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ২১৪ টাকা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৬৫ টাকা। এ ছাড়া কোম্পানিটি ২০২৩ সালে ১৩০ শতাংশ এবং ২০২২, ২০২১ ও ২০২০ সালে ১২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ২০২৪ স ল র বছর র একই র একই সময় দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

সার আমদানি ও জমি হস্তান্তরের প্রস্তাব অনুমোদন

সরকারি পর্যায়ে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ইউরিয়া সার আমদানি চুক্তি অব্যাহত রাখা এবং চট্টগ্রাম জেলার ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্রে জানা যায়, ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে জি টু জি চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের সাবিক এগ্রো-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ইউরিয়া সারের আমদানির নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।

প্রান্তিক চাষিদের মাঝে ইউরিয়া সারের সাপ্লাইচেইনে নিরবচ্ছিন্নভাবে সারের যোগান বজায় রাখতে জি-টু-জি ভিত্তিতে সৌদি আরব থেকে চুক্তির মাধ্যমে ইউরিয়া সার আমদানি করা হচ্ছে। সাবিক-সৌদি আরবের সাথে বিদ্যমান চুক্তির মেয়াদ ৩০/০৬/২০২৫ শেষ হয়। ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে নিরবচ্ছিন্ন ইউরিয়া সার সরবরাহের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে জি-টু-জি চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে সর্বমোট ৬ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। দেশটি থেকে প্রতি লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার ক্রয় করা হবে।২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে বিভিন্ন দেশে থেকে মোট ৩০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে।

সভায়, চট্টগ্রাম জেলার ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড নামে মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ১৯৬১ সালে ৫৪.৯৯ একর জমির ওপর স্থাপিত হয়।১৯৭২ সালে মিলটি জাতীয়করণ করা হয় এবং পরিচালনার দায়িত্ব বিটিএমসির অধীনে ন্যস্ত হয়।পরবর্তীতে মিলটি বেসরকারি খাতে পরিচালনার দায়িত্ব অর্পন করা হলেও চুক্তি ভঙ্গ করার কারণে পুনরায় পুনঃগ্রহণ করে বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণে ন্যস্ত করা হয়। চট্টগ্রাম এরিয়ায় বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি (বিওএফ) সম্প্রসারণের জন্য বিটিএমসির জলিল টেক্সটাইল মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের অনুরোধ করে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে সেনাবাহিনী প্রধান আলোচনা ও মৌখিক সম্মতি গ্রহণ করেন।

‘গত ২৪/১২/২০১৮ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় জমি বিক্রয়ের অনুমোদনের প্রস্তাব করা হলে মিলটির অব্যবহৃত জমি বিক্রয় না করে সরকারের উন্নয়নমূলক/জনহিতকর কাজে উক্ত জমি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়।’ মিলের জমিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি স্থাপন করা হলে মিলের জমি সরকারের উন্নয়নমূলক ব্যবহৃত হবে।

এমতাবস্থায়, জলিল টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেড এর ৫৪.৯৯ একর জমি মিলের কাছে সরকারি পাওনা বাবদ ১৭ কোটি ৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বিটিএমসিকে প্রদানপূর্বক মিলের জমি প্রতীকী মূল্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তরের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। বর্ণিত ৫৪.৯৯ একর জমির মৌজা মূল্য প্রায় ১১১ কোটি ৪৪ লাখ ৩২ হাজার ৬৫৫ টাকা।

ঢাকা/হাসনাত/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নীতি সুদহার অপরিবর্তিত, বেসরকারি খাতের জন্য সুখবর নেই
  • জুলাইয়ের ৩০ দিনে রেমিট্যান্স ২৩৬ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে
  • নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা, নীতি সুদহার অপরিবর্তিত
  • ৮ ব্যাংকের অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
  • সবজির দামে স্বস্তি, মজুরি বৃদ্ধির হার এখনো কম
  • ৭ ব্যাংকের অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
  • ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের লভ্যাংশ ঘোষণা
  • সার আমদানি ও জমি হস্তান্তরের প্রস্তাব অনুমোদন
  • সরকারি পলিটেকনিকে ভর্তি: ২০২৩, ২০২৪ ও ২০২৫ সালে এসএসসি উত্তীর্ণদের সুযোগ
  • ৪ ব্যাংকের অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ