দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফা বেড়েছে যমুনা অয়েলের
Published: 10th, February 2025 GMT
যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ভালো করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) অনেকটাই বেড়েছে।
২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৬৮ টাকায়; গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ১০ দশমিক ৮৬ টাকা। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ। একইভাবে ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৯২ টাকা; ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল যা ১৮ দশমিক ৪৬ টাকা। অর্থাৎ এই সময়ে ইপিএসের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
কোম্পানির নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো পার শেয়ার বা শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহেও উন্নতি হয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই-ডিসেম্বরে তা ছিল ৭৪ দশমিক ১৩ টাকা; ২০২৩ সালের একই সময়ে যা ছিল মাত্র ৮ দশমিক ৪১ টাকা। এই উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি কোম্পানির নগদ প্রবাহ ব্যবস্থাপনায় উন্নতির লক্ষণ বলেই মনে করছেন বাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
এ ছাড়া যমুনা অয়েলের নিট অ্যাসেট ভ্যালু পার শেয়ার বা শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্যেও ইতিবাচক উন্নতি দেখা গেছে। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষে এনএভি দাঁড়িয়েছে ২৫৯ দশমিক ৫৭ টাকা; ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেষে যা ছিল ২২৮ দশমিক ৬১ টাকা। অর্থাৎ ৬ মাসে এনএভি বেড়েছে ১৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
আর্থিক প্রবৃদ্ধির কারণকোম্পানির মতে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংক জমায় সুদ–আয় বৃদ্ধির কারণে ইপিএস বেড়েছে। অন্যদিকে এনওসিএফপিএসের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির কারণ হলো ঋণ ও জমার পরিমাণ বৃদ্ধি। এটা কোম্পানির আর্থিক স্বাস্থ্য উন্নতির লক্ষণ বলে মনে করেন বাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
গত এক বছরে যমুনা অয়েলের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ২১৪ টাকা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৬৫ টাকা। এ ছাড়া কোম্পানিটি ২০২৩ সালে ১৩০ শতাংশ এবং ২০২২, ২০২১ ও ২০২০ সালে ১২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ২০২৪ স ল র বছর র একই র একই সময় দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ে বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ বিএসইসির
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। শুভেচ্ছা বিনিময়কালে পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি ও বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
রবিবার (১৫ জুন) দুপুর ১২টায় ঢাকার আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এ জন্য দেশের পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। উভয় পক্ষের এ বৈঠকে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু সুপারিশ অন্তুর্ভুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। এ বৈঠকে বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, “বিএসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে আজকে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে আমরা পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা আনার লক্ষ্যে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরব। বিশেষ করে প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে কিছু সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আমরা বিএসইসি চেয়ারম্যানের কাছে দাবি জানাবো। আলোচনার মাধ্যমেই যে কোনো সমস্যার সমাধান হতে পারে।”
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি আ ন ম আতাউল্লাহ নাঈম রাইজিংবিডিকে বলেন, “ঈদের আগেই এ বৈঠকের বিষয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিএসইসি। আমরা বিএসইসির সঙ্গে আলোচনা করব। আলোচনার মাধ্যমে পুঁজিবাজারের সমস্যাগুলোর সমাধান করা হবে।”
তবে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমআইএ) সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “আমরা বিএসইসির এ আমন্ত্রণকে প্রত্যাখ্যান করেছি। একই সঙ্গে আমরা বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করছি।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম রাইজিংবিডিকে বলেন, “বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করা হবে। এ জন্য আজকে বিনিয়োগকারীদের সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।”
ঢাকা/এনটি/ইভা