পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সিটি ব্যাংক পিএলসি ৮০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়বে। রোববার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে দেওয়া ঘোষণা অনুসারে, বন্ডটি হবে সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড। ব্যাসেল-৩–এর সঙ্গে সংগতি রেখে মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী ও ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি চলমান রাখতে ওই অর্থ ব্যবহার করা হবে।

আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ (বিএসইসি) সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর অনুমতি সাপেক্ষে বন্ড ইস্যুর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

সাব–অর্ডিনেটেড বন্ড সাধারণত কোনো প্রতিষ্ঠান (যেমন ব্যাংক বা করপোরেশন) ইস্যু করে থাকে। এই বন্ডের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এগুলো সাধারণ বন্ড বা অন্যান্য ঋণের চেয়ে কম অগ্রাধিকার পায়। অর্থাৎ ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানটি যদি দেউলিয়া হয় বা তার সম্পদ বিক্রি করতে হয়, তাহলে সাব–অর্ডিনেটেড বন্ডধারীদের দাবি অন্য ঋণদাতাদের (যেমন সিকিউরড ক্রেডিটর বা সাধারণ বন্ডধারী) দাবি পরিশোধের পরই পূরণ করা হয়।

কম অগ্রাধিকারের কারণে সাব–অর্ডিনেটেড বন্ডে সাধারণত উচ্চ হারে সুদ দেওয়া হয়, বিনিয়োগকারীদের জন্য যা আকর্ষণীয়। সে কারণে কিছু ঝুঁকিও বহন করতে হয়, বিশেষ করে যদি প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক সংকটে পড়ে।

আর্থিক অবস্থা

২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে সিটি ব্যাংকের সমন্বিত পরিচালন মুনাফা বেড়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় পরিচালনা মুনাফা বেড়েছে ৭৭ শতাংশ।

২০২৩ সালের প্রথম ৯ মাসে সিটি ব্যাংক মুনাফা করেছিল ৯৩২ কোটি টাকা; ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা। সতর্কতার সঙ্গে ঋণের বিপরীতে বেশি প্রভিশন সংরক্ষণের কারণে কর-পরবর্তী মুনাফা বেড়েছে ১৯ শতাংশ। ২০২৩ সালে প্রথম ৯ মাসে মুনাফা ছিল ৩৭৯ কোটি টাকা, ২০২৪ সালে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫১ কোটি টাকা।

ব্যাংকটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সুদ আয়ের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি, সরকারি বিল-বন্ডে বিনিয়োগ থেকে ভালো অঙ্কের আয় ইত্যাদি কারণেও পরিচালনা মুনাফা বেড়েছে। ৯ মাসে ব্যাংকের আয় ৪০ শতাংশ বাড়লেও ব্যয় বেড়েছে মাত্র ৮ দশমিক ৮ শতাংশ। ফলে আয়-ব্যয়ের অনুপাত আগের বছরের ৫৪ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমে ৪২ শতাংশে নেমে এসেছে।

গত এক বছরে সিটি ব্যাংকের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ২৬ টাকা ৭০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৭ টাকা ৩০ পয়সা। এ ছাড়া কোম্পানিটি ২০২৩ সালে ১৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস; ২০২২ সালে ১০ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ বোনাস; ২০২১ সালে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ বোনাস; ২০২০ সালে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ নগদ ও দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

অন্য বছরের চেয়ে এই জুনে ডেঙ্গু বেশি

জুন মাসের মাঝামাঝি আসতেই এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্য জুনে পরিস্থিতি এমন হয়নি। সে বছর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মৃত্যুও সবচেয়ে বেশি ছিল।

গতকাল শনিবার আরও ১৬৯ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম। আরও একজনের মৃত্যুর কথাও বলেছে। এই নিয়ে এ বছর ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সারা দেশে ৫ হাজার ৫৩৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর মারা গেছেন ২৯ জন।

গত বছর এই সময়ে অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩ হাজার ১৯৩ জন ভর্তি হয়েছিলেন। এই সময়ে ডেঙ্গুতে মারা গিয়েছিলেন ৩৯ জন।

এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯। আর মারা গিয়েছিলেন ১ হাজার ৭০৫ জন। ওই বছর ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত

হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৮০২। আর ওই সময়ের মধ্যে মারা গিয়েছিলেন ২৮ জন।

সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, তিন বছরের মধ্যে এ বছরের জুনে রোগীর সংখ্যা বেশি। প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি রোগী বাড়ছে।

ঢাকা মহানগরে কম

অন্য প্রায় সব বছরে দেখা গেছে, ডেঙ্গু প্রকোপ প্রথমে ঢাকা শহরে বা দেশের বড় শহরগুলোতে দেখা দেয়। এরপর তা ক্রমান্বয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এ বছর দেখা যাচ্ছে, বেশি রোগী ঢাকা শহরের বাইরে, বিশেষ করে বরিশাল বিভাগে। এর মধ্যে বরগুনা জেলায় রোগী বেশি। দেশের দক্ষিণের এই জেলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬০৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অন্যদিকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৫০ জন।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক মো. হালিমুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বরগুনা শহরে ডেঙ্গু বেশি হওয়ার তিন কারণ আমরা আপাতত শনাক্ত করতে পেরেছি। পৌর কর্তৃপক্ষ মশা নিধনে কোনো কাজ করেনি। শহরে জলাবদ্ধতা আছে। এ ছাড়া মানুষ বৃষ্টির পানি ধরে রাখে। এগুলো মশার বংশ বৃদ্ধিতে সহায়ক।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১৫ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়ে তিন গুণ
  • খেলাপি ঋণ ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
  • সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে
  • অন্য বছরের চেয়ে এই জুনে ডেঙ্গু বেশি
  • সংশোধিত সাইবার অধ্যাদেশও আন্তর্জাতিক মানের হয়নি
  • জার্মানির ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে পড়াশোনা, জেনে নিন সব তথ্য
  • ২০২৪ সালে মেটার কাছে ৩৭৭১ অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে সরকার
  • কয়েক দশকের ছায়াযুদ্ধ থেকে এবার প্রকাশ্য সংঘাতে ইরান-ইসরায়েল
  • তিন চ্যাম্পিয়ন দলসহ যেসব তারকাকে দেখা যাবে না ক্লাব বিশ্বকাপে
  • ৫ বছরে ঋণের স্থিতি বাড়বে ৫৩.৭৭ শতাংশ: অর্থবিভাগ